Loading AI tools
সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইবারবুলিং ঘটনা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নীল তিমি বা সিনিয় কিত বা ব্লু হোয়েল (রুশ: Синий кит, প্রতিবর্ণীকৃত: Siniy kit (সিনিয় কিত)) একটি অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলার নাম, এটি "নীল তিমি প্রতিযোগিতা (ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ)" নামেও পরিচিত। নীল তিমি বা ব্লু হোয়েল একবিংশ শতকের অনলাইন গেমগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দাবীকৃত। মূল নাম সিনিয় কিত থেকে ধারণা করা হয় একটি রুশ অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলা। সোশ্যাল গেমিং পাতার প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক ৫০ (পঞ্চাশ) দিন ধরে বিভিন্ন কাজ করতে হয় এবং সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে অংশগ্রহণকারীকে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়ে ১৩৩ জনেরও বেশি কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করা হয়।[1][2][3]
নীল তিমি নিজেই জীবনের একটি পর্যায়ে চলে আসে সমুদ্র তীরে, শুকনা ভূমিতে ধীরে ধীরে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ সালে ৫৫টি নীল তিমি একযোগে সমুদ্র সৈকতে চলে আসে, উদ্ধারকারীরা তাদেরকে সাগরে ফেরত পাঠালেও তারা তীরের দিকে বারবার চলে আসে। আপাতভাবে মনে হয় আত্মহত্যাই যেন তাদের উদ্দেশ্য।[4] ধাপে ধাপে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া এই গেমটির নাম তাই ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন।
এই খেলাটির মূল নাম সিনিয় কিত। খেলাটি রাশিয়ায় ২০১৩ সালে প্রথম শুরু বলে জানা যায়, ফিলিপ বুদেইকিন নামে মনোবিজ্ঞানের এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে। একুশ বছরের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগে, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবে, তাঁদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ তৈরি করাই এই খেলার ভাবনা।[5]
ব্লু হোয়েল গেমটি ২০১৬ সালের মে মাসে রুশ পত্রিকা ন্যভায়া গ্যাজেটা (রুশ: Новая газета, আ-ধ্ব-ব: [ˈnovəjə ɡɐˈzʲetə]) মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে সেখানে ভিকোন্তাকে নামের সামাজিক মাধ্যমের এফ৫৭ (এফ৫৭ মূলত ডেথ গ্রুপ নামে পরিচিত) নামের একটি গোষ্ঠীর অনুসারী কমপক্ষে ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যাকে এই গেমটির সাথে সম্পৃক্ততা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি রাশিয়ার উপর একটি নৈতিক ভীতির ঝড় তোলে[6] অসংখ্য প্রতিবেদন তৈরি হয় কিন্তু এখনও এর কোনটিই সরাসরি আত্মহত্যার সাথে নিদৃষ্ট গোষ্ঠীর কার্যক্রমকে কে দায়ী করার মতো যথেষ্ট মজবুত নয়।[6][7][8]
এই গেমের সবচেয়ে আলোচিত দুই ভিকটিম হলেন, ইউলিয়া কোন্সটান্টিনোভা (১৫) ও ভেরোনিকা ভলকোভা (১৬)। তারা দুই জন একই সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, পাকিস্তান, ইতালি সহ আরও ১৪টি দেশে বিভিন্ন নামে এই গেমটি চলছে।[9]
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, প্রশাসকগন অংশগ্রহণকারীদের ৫০ (পঞ্চাশ) দিনের জন্য পঞ্চাশটি ঝুঁকিপূর্ণ টাস্ক বা কাজ দিয়ে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা সেই সব নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে প্রমাণস্বরূপ ছবি বা ভিডিও পাঠান বা নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়ায় সেগুলি প্রকাশ করেন। সর্বশেষ, পঞ্চাশতম চ্যালেঞ্জটি হলো আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা করতে পারলেই খেলোয়াড় বিজয়ী। মজার ব্যাপার হলো ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি একবার ডাউনলোড করার পর তা আর সহজে আনইন্সটল করা যায় না। এমনকি কেউ বন্ধ করলে তাকে অনবরত নিজের এবং তার পরিবারের মৃত্যুর ভয় দেখানো হয়। অ্যাডমিনদের সাথে অংশগ্রহণকারীদের যোগাযোগ করার উপায় সম্পর্কে কাউকে বলা নিষেধ। নির্ধারিত কাজটি শেষ করার সমস্ত প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার নির্দেশনা থাকে।[9] শুরুর দিকের কাজগুলো বেশ সহজ এবং অন্যান্য গেমের চেয়ে আলাদা হওয়ায় অংশগ্রহণকারীরা মজা পেয়ে যায়। ২০১৫ সালে গেমটির জের ধরে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে এবং প্রতিদিন ইন্সটাগ্রামে ব্লু হোয়েল গেমটিতে কে কোন লেভেলে আছে তা পোস্ট করার রীতিমতো একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা করতে দেখা যায়।
ধারাবাহিকভাবে, প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা, ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হয়, অংশগ্রহণকারীকে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আঁকতে হয় আগেই কাগজে আঁকা তিমির ছবিটা, একা একা ভূতের চলচ্চিত্র দেখতে হয়, চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে প্রতিদিন একেকটি দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং প্রতিটি দিনের মধ্যেই শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে।
এই খেলার অংশগ্রহণকারীকে তাৎক্ষনিক ভাবে আত্মহত্যায় প্রলোচিত করা হয় না, কিন্তু একজন কিশোরকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায় অসহায় এবং কঠোর এক পারিপার্শ্বিকতায়। রুশ মনোবিজ্ঞানী ন্যাতালে ল্যাভেদেভা তার আভিজ্ঞতা থেকে জানান, খেলাটিতে আসক্ত অংশগ্রহণকারীদের মানসিক অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে যায় এবং খেলার চ্যলেঞ্জগুলি তাদের স্বাভাবিক পারিবারিক ও দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাকে অনেক ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় নিয়ে যায় ও আত্মহত্যায় প্রলোচিত করে।[10]
২০১৬ সালে ফিলিপ বুদেইকিন নামে মনোবিজ্ঞানের এক প্রাক্তন ছাত্র (যাকে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল) ব্লু হোয়েল গেমের আবিস্কারক হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয়। সে দাবী করে, তার খেলার শিকারদের ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েস্ট’ বলে দাবি করেন এবং তিনি সমাজকে আবর্জনামুক্ত করছেন বলে জানান, তার উদ্দেশ্য মূল্যহীন মানুষদের আত্মহত্যায় উৎসাহিত করে সমাজকে পরিচ্ছন্ন করা।[11][12] বুদেইকিন নির্দোষ এবং এটাকে নিছক মজা দাবী করলেও ২০১৬ এর মে মাসে সে নুন্যতম ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার উস্কানিদাতা হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয় এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ[11] পরবর্তীতে সে দুইজন নাবালক আত্মহত্যার উস্কানির জন্যে দোষী প্রমাণিত হয়।[13]
আর্জেন্টিনার সান জুয়ান প্রদেশে মে ২০১৭ এ, ব্লু হোয়েল এ অংশগ্রহণ করে ১৪ বছরের এক কিশোর ইন্সেন্টিভ কেয়ারে ভর্তি হবার দাবী উঠে।[14]
খেলা সম্পর্কিত আত্মহত্যার চেষ্টা সম্পর্কে অনেক সংবাদ প্রতিবেদন বাংলাদেশী মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। [15][16] ২০১৪সালের অক্টোবরে খেলাটির আসক্তি থেকে একটি কিশোরী মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।[17] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রকে এই খেলার জন্য বাংলাদেশী পুলিশ গ্রেফতার করে। [18]
কিশোরদের ব্লু হোয়েল এ সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে নিজের ক্ষতি এবং আত্মহত্যার বেশ কিছু প্রতিবেদন ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছে। সরাসরি কোন নিশ্চয়তা না থাকলেও পুলিশের বেশকিছু তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।[19][20][21] এই খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে সর্বমোট আটটি আত্মহনন ও স্ব-অঙ্গহানির ঘটনা ব্রাজিল থেকে তালিকাভুক্ত হয়েছে[22]
চিলির প্রচার মাধ্যমে কিশোরদের মাঝে ব্লু হোয়েলের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আন্তফাগাস্তা (Antofagasta) এ এক মা দাবী করেন তার ১২ বছরের মেয়ে হাতে ১৫টি গভীর ক্ষতের মাধ্যমে তিমি মাছের প্রতিকৃতি আকার চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎকারে মেয়েটি জানায় সে খেলাটি অংশগ্রহণ করেছিল এবং খেলার প্রশাসকের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করছিল।[23] প্যাডরে লাস কাসেস (Padre Las Casas) এ ১৩ বছরের কিশোরী দাবী করে সে তার তিন বন্ধুকে নিয়ে খেলাটিতে অংশগ্রহণ করেছিল। সে ১০ ধাপে পৌঁছেছিল এবং তার হাতে ক্ষত সৃষ্টি করেছিল।[24] তিমাকোতে (Temuco) ১১ বছরের এক কিশোরী দাবী করেছিল সে অপরিচিত এক মহিলার কাছ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে খেলাটিতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পায়, কিন্তু ব্যালেনা আজুল নামের অপর একজনের সাথে পরিচিত হবার পর আমন্ত্রণটি প্রত্যাখ্যান করে।[25]
২০১৭ সালের মে মাসে চচিয়াং প্রদেশের নিংপো শহরে ১০ বছর বয়সী কিশোরীর মাধ্যমে একটি আত্মহত্যাকারী গোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া যায়; যেখানে সে ব্লু হোয়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট তার স্বেচ্ছায় অঙ্গহানির বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে।[26] তখন থেকেই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ খেলাটিকে বিভিন্ন ফোরাম ও সরাসরি প্রচার সক্ষম মাধ্যমকে নজরদারীতে রেখেছে।[27]
ভারতের প্রচার মাধ্যমে ব্লু হোয়েল ২০১৭ সালে ব্যপক প্রচার পায় এবং বেশকিছু কিশোর-কিশোরীর অংশগ্রহণের প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেখান নিজেকে আঘাত করা এবং আত্মহত্যার বেশ কিছু ঘটনার সংশ্লিষ্টতা ব্লু হোয়েলে অংশগ্রহণের সাথে তুলে ধরা হয়।[28][29][30][31] although no case has been officially confirmed.[32] অগাস্ট ২০১৭ এ ভারত সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বড় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে (গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক সহ) খেলাটির যাবতীয় সংযুক্তি তুলে নেওয়ার জন্যে সরকারীভাবে অনুরোধ জানায়।[33] তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সামাজিক ও ইন্টারনেট গোষ্ঠি কিছু প্রতিবেদনের মাধ্যমে দাবী করে ভারত সরকার নিজেই এই পদক্ষেপের মাধ্যমে খেলাটির প্রচার ও ভীতি ছড়িয়ে ফেলেছে।[33] এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে ভারতে সর্বমোট মৃত্যুর ২য় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা। [32]
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায়ে (কেপিকে) প্রথমবারের মতো দুইজন ব্লু হোয়েলের শিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।[34]
সেপ্টেম্বর ২০১৭, ব্লু হোয়েলের প্রভাব পাইরজুসের (Pyrzyce) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রের স্বীয় ক্ষতির প্রতিবেদন তালিকাবদ্ধ হয়।[35][36]
এপ্রিল ২০১৭, অ্যালবুফেরায় (Albufeira) ১৫ বছরের একজন কিশোর ও ১৮ বছর কিশোরী পর্তুগালে ১ম ব্লু হোয়েলের শিকার বলে দাবী করা হয়। কিশোর ছেলেটির হাতে তিমি মাছের ছবি ধারাল কিছু দিয়ে আঁকান অবস্থায় হসপিটালে পাওয়া যায় এবং মেয়েটি ওভারপাস থেকে রেললাইনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পুলিশ, বাবা-মা এবং বন্ধুরা দাবী করে মেয়েটি ইন্টারনেটের "ব্লু হোয়েল" দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।[37] পর্তুগালের মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারের সময় মেয়েটি জানায়, সে খুব একাকীত্বের মাঝে ছিল এবং স্নেহের অভাব অনুভব করত।[38] তাই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
মার্চ ২০১৭, রোমানিয়ান অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী কারমেন ড্যান এই গেমের বিষয়ে তার গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।[39] বুখারেস্ট এর মেয়র গাব্রিয়েলা ফায়ারা গেমটিকে "অত্যন্ত বিপজ্জনক" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[40]
ব্রাজিলে, ব্লু হোয়েলের বিপরীতে সাও পাওলোতে ব্যলিয়া রোজা (পর্তুগিজ: Baleia Rosa বা পিঙ্ক হোয়েল) নামে একটি সক্রিয় গোষ্ঠী শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে এগিয়ে আসে। তাদের মূলমন্ত্রই ছিল ইতিবাচক কাজ, জীবনের মূল্যবোধ তুলে ধরা এবং বিষণ্নতার সাথে যুদ্ধ।[41]
অগাস্ট ২০১৭, ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক মাধ্যমগুলিকে (গুগল, ইয়াহু, ফেসবুকসহ আরও বিভিন্ন) আনুষ্ঠানিকভাবে এই গেমটির এবং অংশগ্রহণকারীর মাঝের সকল ধরনের সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন করার অনুরোধ জানায়।[33]
রুশ অনলাইন প্রোজেক্টে কর্মরত মনোবিজ্ঞানী ন্যাতালে ল্যাভেদেভা জানান, আক্রান্ত দেশগুলিতে কিশোর আত্মহত্যা একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত। তার ব্যক্তিগত সমীক্ষায় উঠে এসেছে শুধু ২০১৬ সালে রাশিয়ায় ৭২০ অল্প বয়সী আত্মহত্যা করেছে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে উঠে আসে যে এগুলির প্রধান কারণ উপেক্ষিত ভালবাসা, পারিবারিক কোন্দল এবং কিছুক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যগত দুর্বলতা। উপযুক্ত দিক নির্দেশনা, উন্মুক্ত মাদক ও মদের প্রাপ্যতা এ সামাজিক সমস্যার সুত্রপাত করে। সমস্যার সমাধানে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় এবং কিশোর সন্তানকে নজরদারীতে রাখার জন্যে অনুরোধ করেন।[10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.