![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3d/Fields_of_Pharmacology.png/640px-Fields_of_Pharmacology.png&w=640&q=50)
ঔষধবিজ্ঞান
ঐষধ সম্পর্কিত জীববিজ্ঞানের শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ঔষধবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষ আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যার মূল আলোচ্য বিষয় হল ঔষধের ধর্ম এবং দেহের উপর ঔষধের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।[1] ব্যাপকতর অর্থে ঔধধবিজ্ঞান হল বহিরাগত রাসায়নিক পদার্থের সাথে দেহের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া কীভাবে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, তার গবেষণা। যদি রাসায়নিক পদার্থটি দেহের জন্য উপকারী ঔষধ হয়, তাহলে তার গবেষণাকে আরোগ্যবিজ্ঞান (Therapeutics) বলে। অন্যদিকে যদি রাসায়নিক পদার্থটি দেহের জন্য মূলত ক্ষতিকর হয়, তাহলে তার গবেষণাকে বিষক্রিয়াবিজ্ঞান (Toxicology) বলা হয়। তবে সাধারণ অর্থে উপকারী ঔষধ, অর্থাৎ যেসব রাসায়নিক পদার্থের রোগ নিরাময়যোগ্য গুনাগুণ রয়েছে এবং যার ব্যবহার চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ, সেগুলি সংক্রান্ত সকল জ্ঞানই ঔষধবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ঔষধবিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা ফার্মাকোলজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ফার্মাকন ("Pharmacon", যার অনেকগুলি আভিধানিক অর্থের একটি হল "ঔষধ") এবং "লোগোস" ("Logos", যার অর্থ "বিজ্ঞান") থেকে।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3d/Fields_of_Pharmacology.png/320px-Fields_of_Pharmacology.png)
ঔষধবিজ্ঞানীরা ঔষধসমূহের আরোগ্যসূচক (therapeutic index) নির্ধারণ করেন। অর্থাৎ তারা বিভিন্ন মাত্রায় প্রদত্ত ঔষধের বিষক্রিয়ার সাপেক্ষে আপেক্ষিক উপকারিতা নির্ধারণ করেন।[2] এর ফলে কোন্ মাত্রায় ঔষধ প্রদান করলে রোগীর সর্বোচ্চ উপকার হবে তা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয়। যেমন অনেক ঔষধ বয়স্ক ব্যক্তিদেহের দেহে অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে বিপাচিত হয়, ফলে ঐসব ঔষধ অপেক্ষাকৃত কম ঘনঘনভাবে প্রদান করতে হয়।[3] আবার অনেক রাসায়নিক পদার্থ বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে রেচিত বা নিষ্কাশিত হয় বলে যেসব ব্যক্তির বৃক্কজনিত ব্যধি আছে, তাদের ঔষধ নিষ্কাশনে সমস্যা হতে পারে। এসবই ঔষধবিজ্ঞানীদের বিবেচনাধীন থাকে।[4]
যেসমস্ত চিকিৎসক ঔষধবিজ্ঞানে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন, তাদেরকে "নিদানিক ঔষধবিজ্ঞানী" বলা হয়। হাসপাতালে যেসব ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহারবিদরা কাজ করেন, তারাও ঔষধবিজ্ঞানে বিশেষ জ্ঞান রাখেন, এবং তারা ঔষধের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে চিকিৎসকদের পরামর্শ দিতে পারেন।