পাশা (উসমানীয় তুর্কি: پاشا, তুর্কি: paşa, আলবেনীয়: Pashë, আরবি: باشا) ছিল উসমানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যবস্থায় একটি ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদা যা সাধারণত রাজ্যপাল, সেনানায়ক, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি এবং অন্যান্যদের দেওয়া হয়। সম্মানসূচক উপাধি হিসাবে পাশাকে ব্রিটিশ পিয়ারেজ (ইংরেজি: peerage, "আভিজাত্য") বা নাইটহুডের অনুরূপ বলা যায় এবং এটি বিংশ শতাব্দীতে মিশর রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ উপাধিও ছিল।
ব্যুৎপত্তি
"অনলাইন ব্যুৎপত্তি অভিধান (Online Etymology Dictionary)" অনুযায়ী পাশা শব্দটি পূর্বতন বাশা (basha) নামক শব্দ থেকে প্রাপ্ত , যা নিজেই তুর্কি শব্দ "বাশ" (তুর্কি: baş, bash, উসমানীয় তুর্কি: باش, "প্রধান, কর্তা") হতে উদ্ভূত যেখানে বাশ শব্দটি স্বয়ং প্রাচীন ফার্সি শব্দ "পাতি" (যার অর্থ "মালিক", প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শব্দ পতি) এবং ফার্সি শব্দ "শাহ" (ফার্সি: شاه) থেকে এসেছে।[1] অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে পাশা শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে মধ্য ১৭শ শতকে যা পাহলভী ভাষার শব্দযুগল পাতি এবং শাহ এর সমন্বিত রূপ।[2] জোসেফ ডব্লিউ. মেরি'র মতে "শব্দটি বরং ফার্সি শব্দ পাদিশাহ (বাংলা: বাদশাহ, ফার্সি: پادشاه, তুর্কি: Padişah)" থেকে উদ্ভূত।[3] নিকোলাস ওসলারও একই ধরনের মতামত পোষণ করে বলেন যে, পাশা শব্দটি ফার্সি শব্দ পাদিশাহ এরই সংক্ষিপ্ত রূপ।[4] ব্যুৎপত্তিবিদ সেভান নিশানিয়ান এর মতে শব্দটি তুর্কি শব্দ "বেশে, beşe" (উসমানীয় তুর্কি: بچّه, "বালক, শাহজাদা") হতে প্রাপ্ত যা ফার্সি শব্দ "বাসসে, bačče" (بچّه) এর সমার্থক।[5] পুরাতন তুর্কি ভাষায় ব এবং প এর মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট পার্থক্য নেই এবং ১৫শ শতকেও শব্দটি "বাশা" (তুর্কি: başa) হিসেবেই বানান করা হতো।[6] পশ্চিম ইউরোপে পাশা উপাধিটির প্রথম ব্যবহারের সময় তা "ব (b)" দিয়ে লিখা হয়েছিল। আরব বিশ্বে উসমানীয় প্রভাব বিদ্যমান থাকায় আরবিতেও পাশা উপাধিটি ব্যবহৃত হতো, যদিও আরবি ভাষায় প ধ্বনির অনুপস্থিতির কারণে তা উচ্চারিত হতো বাশা হিসেবে।
উসমানীয় এবং মিশরীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভূমিকা
উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে একমাত্র সুলতানদেরই কোনো ব্যক্তিকে পাশা পদবিটি প্রদানের অধিকার ছিল। লুসি মেরী জেইন গারনেট ১৯০৪ সালের গ্রন্থ "টার্কিশ লাইফ ইন টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি"তে লিখেন যে পদবিটি ছিল একমাত্র "তুর্কি পদবি যা কোনো নির্দিষ্ট পদমর্যাদা এবং অগ্রাধিকার বহন করে।"[7]
১৫১৭ সালে উমানীয়রা মিশর বিজয়ের মধ্য দিয়েই মিশরে এই পদবিটির (মিশরীয় আরবি: ˈbæːʃæ) ব্যবহার শুরু হয়েছিল। ১৮০৫ সালে আলবেনীয় সামরিক অধিনায়ক মুহাম্মদ আলি পাশার মিশরের ক্ষমতায় আরোহণের ফলে মিশর কার্যকরভাবে একটি সত্যিকারের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে তা তখনও উসমানীয় সুলতানের নিকট প্রায়োগিকভাবে অনুগত ছিল। অধিকন্তু, মুহাম্মদ আলি কনস্টান্টিনোপলে উসমানীয় রাজবংশকে দমন করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছিলেন এবং তার মিশরীয় রাজ্যকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি সালতানাত হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছিলেন। ঊদাহরণস্বরূপ তিনি পাশা পদবি গ্রহণ করার পাশাপাশি "ওয়ালি" নামক দাপ্তরিক পদবি এবং "খেদিভ" নামক স্বঘোষিত পদবি ধারণ করেছিলেন। মুহাম্মদ আলির মিশরীয় ও সুদানীয় সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ইবরাহিম, আব্বাস, সাইদ এবং ইসমাইলও এই পদবি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। ১৮৬৭ সাল নাগাদ পাশা এবং ওয়ালি পদবিদ্বয় ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়, যখন উসমানীয় সুলতান আবদুল আজিজ ইসমাইলকে সরকারীভাবে "খেদিভ" হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পাশা উপাধিটি মূলত সামরিক অধিনায়ক এবং উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন সুলতানদের পরিবারকেই কেবল ধারণ করতে দেখা যায়, তবে এ পদবি দ্বারা পরবর্তীকালে কোনো উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা এবং দরবারে সম্মানিত বেসরকারী ব্যক্তিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হতো।
পদবিটি "কাপুদান পাশা" (উসমানীয় নৌবহরের নৌ-সেনাপতি) নামক দাপ্তরিক পদবিরও অংশ ছিল। পাশাগণ বে এবং আগাদের অপেক্ষা উচ্চপদস্থ ছিলেন কিন্তু খেদিভ এবং উজিরদের নিম্নপদস্থ ছিলেন।
পাশাগণ তিনটি পদমর্যাদায় বিভক্ত ছিলেন; ঘোড়ার পুচ্ছ বহনের সংখ্যা দ্বারা তাদের পদমর্যাদা নির্দিষ্ট করা হতো (তিনটি, দুটি এবং একটি ঘোড়ার পুচ্ছলোম বহনকারী পাশা; তুর্ক-মঙ্গোল ঐতিহ্যের একটি প্রতীক), তারা বিশ্বাস করতেন যে ঘোড়ার পুচ্ছলোম বা লেজের চুল নিয়ে ঘুমালে তা পরিপূর্ণ ঘুম এবং পুরুষোচিত গুনসম্পন্ন হতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে ময়ূরের পালকও ব্যবহৃত হতো যার ধারকগণ এটিকে অভিযানের সময় সামরিক কর্তৃত্বের প্রতীকস্বরূপ তাদের মর্যাদাক্রম হিসেবে প্রদর্শন করতো। একমাত্র সুলতানই সার্বভৌম সর্বাধিনায়ক হিসেবে চারটি পুচ্ছের অধিকারী ছিলেন।
নিম্নলিখিত সামরিক পদসমূহের অধিকারীগণ পাশা হিসেবে আখ্যায়িত হতেন (এর চেয়ে নিম্নপদস্থ ব্যক্তিগণ বে বা কেবল এফেন্দি শৈলীযুক্ত ছিলেন):
- উজির-ই-আজম (উজিরে আজম বা প্রধানমন্ত্রী, তবে প্রায়শই তিনি অনুমতিক্রমে সুলতানের পরিবর্তে সর্বাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন)
- মুশির (প্রধান সেনাপতি)
- ফেরিক (সেনাবাহিনী লেফট্যানেট জেনারেল বা প্রধান নৌসেনাপতি)
- লিভা (মেজর জেনারেল বা রিয়ার-অ্যাডমিরাল)
- কিযলার আগা (প্রধান কৃষ্ণ খোজা, তোপকাপি প্রাসাদের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা; রাজকীয় সেনাবাহিনীতে পরশুধারী সৈন্যবাহিনী-"বালতাজি বাহিনীর" (তুর্কি: baltacılar) অধিনায়ক হিসেবে তিন পুচ্ছবহনকারী)
- ইস্তাম্বুলের শাইখ-উল-ইসলাম (ইসলামের ব্যাপারে ব্যাপারে উচ্চ কর্তৃত্বমূলক ব্যক্তিত্ত্ব)
যদি একজন পাশা প্রাদেশিক অঞ্চল শাসন করতেন তবে এটি তার সামরিক শিরোনামের পরে পাশালুক নামে অভিহিত হতো
এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চলকে নির্দেশ করার ক্ষেত্রে এর ধরন অনুযায়ী প্রশাসনিক শব্দসমূহ যেমন: এয়ালেত, ভিলায়েত" ছাড়াও যদি একজন পাশা প্রাদেশিক অঞ্চল শাসন করেন তবে এটি তার সামরিক শিরোনামের পরে পাশালুক নামে অভিহিত হতো। বেয়লারবেগণ এবং ওয়ালিগণ উভয়ই পাশা পদবির (সাধারণত দুটি পুচ্ছ বহনকারী) অধিকারী ছিলেন।
পাশালিক শব্দটি দ্বারা কোন প্রদেশ কিংবা পাশা দ্বারা প্রশাসিত কোনো অঞ্চলকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল, যেমন: ত্রিপোলির পাশা বা বাশা।
উসমানীয় ও মিশরীয় কর্তৃপক্ষ মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয়কেই প্রভেদ ছাড়াই পাশা উপাধি প্রদান করেছিল। তারা প্রায়শই উসমানীয় সাম্রাজ্য কিংবা মিশরীয় খেদিভাত (পরবর্তীকালের মিশরীয় সালতানাত এবং পরে মিশর রাজ্য)-এর সেবায় নিয়োজিত বিদেশীদের এই উপাধি প্রদান করতো, যেমন: হোবার্ট পাশা (অগাস্টাস চার্লস হোবার্ট-হেম্পদেন)।
মিশরীয় প্রসঙ্গে, মোহাম্মদ আলী রাজবংশের অধীনে পাশা উপাধিটি ধারণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিজাত ব্যক্তি প্রসূত করার কারণে আবাসা পরিবারটিকে "পাশা পরিবার" নামে অভিহিত করা হয় এবং এ পরিবারকে মিশরীয় গণমাধ্যমে অদ্যাবধি "মিশরকে শাসনকারী প্রধান পরিবারসমূহ"-এর মধ্যে অন্যতম হিসেবে[8][9] এবং "মিশরীয় সমাজ এবং... দেশের ইতিহাসে গভীরভাবে প্রোথিত" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[10]
সম্মানসূচক ব্যবহার
সম্মানসূচক উপাধি হিসেবে, পাশা উপাধিটি একটি অভিজাত উপাধি এবং পুরুষানুক্রমিক বা অ-পুরুষানুক্রমিক পদবি ছিল যা সুলতান কর্তৃক জারিকৃত রাজকীয় সীলমোহর "তুঘরা" বহনকারী "ফরমান" দ্বারা প্রাপক ব্যক্তিকে ভূষিত করা হতো।
পদবিটি একজন পাশার স্ত্রীকে কোনো পদমর্যাদা প্রদান করতোনা বা কোন ধর্মীয় নেতাও এই পদবিতে উন্নীত হননি। সাধারণত পদবি মূল নামের পূর্বে যোগ করা হলেও অন্যান্য উসমানীয় পদবির মতো এটিও নামের পরে যুক্ত হতো।
বিদেশী দূত এবং প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে, পাশা পদবিটির ধারকগণ প্রায়শই " ইউর এক্সিলেন্সি" হিসেবে অভিহিত হতেন। পাশার পুত্র পাশাজাদা বা পাশা-জাদে হিসেবে অভিহিত হতেন।
আধুনিক মিশরীয় এবং লেভান্তিনীয় আরবি ভাষায় (কম পরিমাণে) পাশা শব্দটি "স্যার" এর কাছাকাছি অর্থবিশিষ্ট একটি সম্মানসূচক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে বয়স্কদের দ্বারা।
১৯৫২ সালের বিপ্লবের পর থেকে জন্মগ্রহণ করা মিশরীয়দের মধ্যে এবং অভিজাত উপাধিসমূহের বিলুপ্তির পর, "পাশা" একজন পুরুষ সঙ্গীকে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত আনুষ্ঠানিক উপায় বলে মনে করা হয়।
আনুমানিক ১৯৩০ এর দশকে গণপ্রজাতন্ত্রী তুর্কি কর্তৃপক্ষ পদবিটি বিলুপ্ত করে।[11] যদিও এটি এখন আর দাপ্তরিক কোনো উপাধি নয়, তবুও তুর্কি জনসাধারণ ও গণমাধ্যম দ্বারা তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায়শই "পাশা" হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকেন।
ফরাসি নৌবাহিনীতে, "পাশা" হলো কমান্ডিং অফিসারের পদবি যা অ্যাংলো-স্যাক্সন নৌবাহিনীর "স্কিপার" (skipper, "অধিনায়ক") শব্দটির অনুরূপ।[12]
উল্লেখযোগ্য পাশাদের তালিকা
- মোহাম্মদ আবদেলখালিক পরিবার, মিশরীয় পাশাগণ এবং বেগণ
- আবদেলখালিক পরিবার, মিশরীয় পাশাগণ এবং বেগণ
- আবাজা পরিবার, মিশরীয় পাশাগণ এবং বেগণ
- প্রথম আব্বাস পাশা
- দ্বিতীয় আব্বাস পাশা
- আবদেলহাই পাসা খলিল
- আলি পাশা
- বাকের পাশা (ভ্যালেন্টাইন বাকের)
- বারবারোসা খাইর আদ-দীন পাশা
- বাকনাম পাশা (রেন্সফোর্ড ডোডসওর্থ বাকনাম)
- আহমেদ পাশা (ক্লড এলেক্সান্দ্রে ডি বোননেভাল)
- চিগালাজাদা ইউসুফ সিনান পাশা
- দিজেমাল পাশা
- পারগালি ইবরাহিম পাশা ("পারগার ইবরাহিম পাশা"), ওরফে ফ্র্যাঙ্ক ইবরাহিম পাশা ("পাশ্চাত্ত্যদেশবাসী"), মকবুল ইবরাহিম পাশা ("প্রিয়ভাজন") and মাক্তুল ইবরাহিম পাশা ("নিহত")
- দ্রাগুত, উসমানীয় নৌবহরের নৌ-অধিনায়ক এবং ত্রিপোলির পাশা
- এমিন পাশা
- এনভার পাশা
- এসসাদ পাশা টোপটানি
- ফাখরি পাশা
- ফেকরি পাশা আবাজা
- ফুয়াদ পাশা
- গ্লুব্ব পাশা (স্যার জন বাগোট গ্লুব্ব)
- গর্ডন পাশা(চার্লস জর্জ গর্ডন)
- হাবিব আবদু'র রহমান আলজাহির
- হাগোপ কাযাযিয়ান পাশা
- হাজ্বী মুস্তাফা পাশা
- হোবার্ট পাশা (অগাস্টাস চার্লস হোবার্ট-হেম্পদেন)
- হুসেঈন তেভফিক পাশা, অস্ত্র এবং বীজগণিত বিশেষজ্ঞ
- হুসেঈন রেফকি পাশা
- ইবরাহিম এদহেম পাশা
- ইসমেত পাশা (ইসমেত ঈনোনূ)
- জাফর আল-আসকারী
- জামাল পাশা
- জুদার পাশা, মরক্কোর জেনারেল
- কারা মুস্তাফা পাশা
- হিকস পাশা (উইলিয়াম হিকস ), ব্রিটিশ কর্ণেল, মাহদি যুদ্ধের নায়ক
- কিলিচ আলি পাশা (উলুজ আলি রেইস)
- কপরুলু পরিবারের কতিপয় সদস্য
- লালা কারা মুস্তাফা পাশা
- লাহমাচুন পাশা
- লিমান ভোন সেন্ডার্স পাশা (অটো লিমান ভোন সেন্ডার্স )
- গোলতয পাশা (কোলমার ফ্রেইহের ভোন দের গোলতয)
- মাহমুদ দ্রামালি পাশা, উসমানীয় সেনানায়ক
- মার্কাস সিমাইকা পাশা, মিশরীয় কপটিক নেতা, রাজনীতিবিদ, এবং কায়রোতে কপটিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতা
- মেহমেদ পাশা সোকোলোভিজ
- মেললিং পাশা (অ্যান্টোনি ইগনেস মেললিং)
- মিদহাত পাশা
- মুয়েজ্জিনজাদা আলি পাশা, উসমানীয় নৌসেনাপতি
- মুহাম্মদ আলি পাশা, মিশরের ভাইসরয়
- মুস্তাফা কামাল পাশা, পরবর্তীকালে মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক নামে পরিচিত, উসমানীয় সাম্রাজ্য পরবর্তী তুর্কি গণপ্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
- মুস্তাফা রশিদ পাশা
- নাগুইব পাশা মাহফুজ, মিশরে ধাত্রীবিদ্যা এবং স্ত্রীরোগবিদ্যার জনক হিসেবে পরিচিত এবং ভগন্দরে প্রসবতত্ত্বীয় ভগন্দরবিদ্যার প্রবর্তক ছিলেন
- নুবার পাশা
- ওসমান নূরী পাশা
- ওমর পাশা লাতাস
- পিয়ালে পাশা
- রাদু বে (রাদু চেল ফ্রুমোস), ওয়াল্লাচিয়া-এর পাশা, তৃতীয় ভ্লাদ-এর ভাই
- রিয়াদ পাশা, মিশরীয় রাষ্ট্রপতি
- রুস্তম পাশা, উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী উজিরে আজম, শাহজাদা মুস্তাফা হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সমধিক পরিচিত
- সাইদ পাশা (কুজুক মেহমেত সাইত)
- শেরিফ পাশা, কুর্দি জাতীয়তাবাদী
- সেনটোট প্রায়িরোদিরদজো, "আলিবাসাহ সেনটোট" অথবা "সেনটোট আলি পাশা" হিসেবে পরিচিত জাভা যুদ্ধের জাভানীয় মুসলিম সেনানায়ক
- সিনান পাশা
- স্টোন পাশা (চার্লস পোমিরয় স্টোন)
- সুলেজমান পাশা
- সুলতান আল-আতরাশ
- তাহির পাশা, মসুলের ওয়ালি (১৯১০-১৯১২)
- তালাত পাশা
- তেভফিক পাশা (তওফিক বে)
- তেওকিফ পাশা
- তুরহান পাশা পেরমেতি
- তুসুন পাশা
- উরাবি পাশা (আহমেদ 'উরাবি)
- ভারতান পাশা
- ওয়েহিব পাশা (মেহমেত ভেহিব কাজি)
- উইলিয়ামস পাশা (স্যার উইলিয়াম উইলিয়ামস), কানাডীয়/ব্রিটিশ সেনানায়ক
- উডস পাশা (হেনরী ফেলিক্স উডস)
- ইউসেফ ওয়াহবা পাশা, মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী
- ইউসুফ মুরাদ পাশা (জোযেফ বেম), পোলিশ সেনানায়ক এবং পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির জাতীয় নায়ক, যিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যে দায়িত্বরত ছিলেন
- ইউসুফ কারামানলি পাশা
- আলি পাশা মুবারক
- কাসিম পাশা আলযুহাইর, কুয়েত এবং আলবাসরাহ-এর পাশা [13]
- আনোয়ার পাশা, মুর্শিদাবাদের কবি ও কথাসাহিত্যিক
- মোস্তফা কামাল পাশা, সন্দ্বীপের রাজনীতিবিদ
- মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সুনামগঞ্জের রাজনীতিবিদ
- শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন, ফেনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.