ব্যক্তিগত কম্পিউটার
From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার হচ্ছে সাধারণ উদ্দেশ্যে এককভাবে ব্যবহারের উপযোগী এক প্রকার ছোট কম্পিউটার। যার আকার, ক্ষমতা এবং দাম একজন সাধারণ ব্যক্তির জন্য উপযোগী এবং কোনো ধরনের তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই এটি সরাসরি ব্যবহার করা যায়॥[1] অপরদিকে অংশীদারি কম্পিউটার মডেল থেকে ঠিক বিপরীত কারণ অংশীদারি মডেল অথবা ক্রমানুসারে প্রক্রিয়াকারী ব্যবস্থায় বড়, দামি মিনি কম্পিউটার এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় যা একই সঙ্গে অনেক মানুষ একসাথে একে ব্যবহার করতে পারে। তার সাথে বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থার পূর্ণ সময়ের একজন পেশাদার পরিচালনাকারীর প্রয়োজন হয়।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
ব্যক্তিগত কম্পিউটারেই বেশিরভাগ সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ডাটাবেস, ওয়েব ব্রাউজার এবং ইমেইল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারগুলো ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের জন্যই বেশিরভাগ সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়ে থাকে তাই ব্যবহারের সীমারেখা অসংখ্য। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম ব্যাবহার, গেমস, নিজস্ব প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করা যায়। আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা থাকে যা বিশ্ব বিস্তৃত ওয়েবে (WWW) প্রবেশের সুযোগ থাকে, সাথে আরও অনেক ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধাও থাকে। ব্যক্তিগত কম্পিউটার ল্যান তারযুক্ত বা তার বিহীন সংযোগের মাধ্যমে ল্যানের সাথে যুক্ত হতে পারে। একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার নানা রকমের হতে পারে। যেমন-ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নেটবুক, ট্যাবলেট কম্পিউটার/ট্যাবলেট অথবা পামটপ।
আগের পিসি ব্যবহারকারীদের সাধারণত নিজেদেরকেই প্রোগ্রাম লিখতে হতো যাতে করে তা নিজেদের কাজে ব্যবহার করা যায়, অথচ এর জন্যে কোন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমও থাকত না। একেবারে আগের মাইক্রোকম্পিউটারগুলোতে ছিল সামনের দিকের প্যানেল, হাতে করা বুটস্ট্র্যাপ প্রোগ্রাম, যা দিতে হত বাহ্যিক স্টোরেজ থেকে (পেপার টেপ, ক্যাসেট, ডিস্কেট)।
বর্তমানের ব্যবহারকারীরা বিশাল সফটওয়্যার ভান্ডার থেকে বাণিজ্যিক সফটওয়্যার, ফ্রী ওয়্যার, ফ্রী এবং মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে। এগুলো সবগুলোই একেবারে তৈরী অবস্থায় পাওয়া যায়। যে কেউ ডাউনলোড করে ব্যবহার করে নিতে পারে সহজেই। এ্যাপ্লিকেশন এবং গেমসগুলো হার্ডওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুতকারদের থেকে অন্যরা স্বাধীনভাবে তৈরী এবং বণ্টন করে। যেখানে মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বহনযোগ্য সিস্টেমের সফটওয়্যার সমর্থন এবং বণ্টন করা হয় কেন্দ্রীয় অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র থেকে।[2][3]
১৯৯০ দশক থেকেই মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টেল হার্ডওয়্যার এমএস-ডস এবং উইন্ডোজ দিয়ে বাজার আধিপত্য বজায় রেখেছে। উইন্ডোজের বিকল্প জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক ওএস এবং ফ্রী মুক্ত উৎসের লিনাক্স এবং বিএসডি অপারেটিং সিস্টেম। ইন্টেলের সিপিইউ'র বিকল্প হল এএমডি। সর্বব্যাপিতার কারণে পিসি বলতে বিশেষ করে এক্স৮৬-সামঞ্জস্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যাতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তাকে বোঝায় আবার অ্যাপলের পণ্যকে ম্যাক হিসেবে বুঝানো হয়।[4][5][6][7]