পার্সিভিয়ারেন্স (মঙ্গলগ্রহ বিচরণ যান)
২০২০ সালে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা-র প্রেরিত মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠতল পরিভ্রামক যান / From Wikipedia, the free encyclopedia
পার্সিভিয়ারেন্স (ডাক নাম:পার্সি)[1][2] একটি মোটরগাড়ি আকারের মঙ্গলগ্রহ পরিভ্রামক যান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা-র মার্স ২০২০ অভিযানের অংশ হিসাবে মঙ্গল গ্রহে ইয়েজেরো অভিঘাত খাতে অনুসন্ধান পরিচালনা করতে নকশা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এই যানটিকে ২০২০ সালের ৩০শে জুলাই তারিখে সার্বজনীন সমন্বিত সময়ে ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়।[3] ২০২১ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ২০টা বেজে ৫৫ মিনিটে (সার্বজনীন সমন্বিত সময়) মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে পরিভ্রামক যানটির সফল অবতরণ নিশ্চিতকারী তথ্য পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।[4][5] সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৪ মে এর হিসাবে, পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলগ্রহে ১১৫৯ মঙ্গলদিবস (১১৯১ দিন) ধরে অবস্থান করে। পরিভ্রামক যানের আগমনের পরে, নাসা অক্টাভিয়া ই. বাটলার ল্যান্ডিং নামে অবতরণ স্থানের নামকরণ করে।[6][7]
পার্সিভিয়ারেন্স | |
---|---|
মার্স ২০২০ অংশ | |
ধরন | মঙ্গলগ্রহ পরিভ্রামক যান |
অন্যান্য নাম |
|
প্রস্তুতকারী | জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি |
কারিগরি | |
উৎক্ষেপণ ভর | ১,০২৫ কেজি (২,২৬০ পা) |
ক্ষমতা | ১১০ ওয়াট (০.১৫ অশ্বশক্তি) |
সরঞ্জাম | |
|
পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানটি ইয়েজেরো অভিঘাত খাদে মঙ্গলগ্রহীয় পৃষ্ঠতল অধ্যয়ন করার জন্য সাতটি বৈজ্ঞানিক উপকরণ বহন করছে। এটিতে ১৯টি ক্যামেরা (চিত্রগ্রাহক যন্ত্র) ও দুটি মাইক্রোফোন (শব্দগ্রাহক) রয়েছে।[8] এছাড়া পরিভ্রামক যানটিতে ইনজেনুইটি নামের একটি ক্ষুদ্র হেলিকপ্টার রয়েছে। এটি একটি পরীক্ষামূলক উড়োযান, যা মঙ্গলগ্রহের আবহমণ্ডলে উড়োযান চালানো সম্ভব কি না, তা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
পরিভ্রামক যানের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে জীবনকে সমর্থন করতে সক্ষম প্রাচীন মঙ্গল গ্রহের পরিবেশেসমূহকে শনাক্ত করা, সেই পরিবেশসমূহে বিদ্যমান প্রাক্তন অণুজীবের প্রমাণ অনুসন্ধান করা, মঙ্গল গ্রহের ভূমি-পৃষ্ঠে মজুতের জন্য শিলা ও মাটির নমুনাসমূহ সংগ্রহ করা এবং ভবিষ্যতের মানব অভিযানের জন্য প্রস্তুতি হিসাবে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন উত্পাদনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[9]