Loading AI tools
জাপানি প্রশাসনিক অঞ্চল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নারা প্রশাসনিক অঞ্চল (奈良県? নারা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্সাই অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[2] এর রাজধানী নারা নগর।[3] এই প্রশাসনিক অঞ্চলে জাপানের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান কেন্দ্রীভূত।[4]
নারা প্রশাসনিক অঞ্চল 奈良県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 奈良県 |
• রোমাজি | Nara-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কান্সাই |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | নারা |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৬৯১.০৯ বর্গকিমি (১,৪২৫.১৪ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪০তম |
জনসংখ্যা (১লা মার্চ ২০১১) | |
• মোট | ১৩,৯৬,৮৪৯ |
• ক্রম | ২৯শ |
• জনঘনত্ব | ৩৭৮.৪৩/বর্গকিমি (৯৮০.১/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-29 |
জেলা | ৭ |
পৌরসভা | ৩৯ |
ফুল | নারা য়ায়ে যাকুরা (প্রুনাস ভেরেকুন্ডা কাল্টিভার) |
গাছ | সুগি (ক্রিপ্টোমেরিয়া জাপোনিকা) |
পাখি | জাপানি রবিন (এরিথাকাস আকাহিগে) |
মাছ | গোল্ডফিশ ( কারাসিয়াস অরেটাস অরেটাস )[1] Ayu (Plecoglossus altivelis altivelis)[1] Amago (Oncorhynchus masou ishikawae)[1] |
ওয়েবসাইট | www |
নারা অঞ্চলটি জাপানের প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র। নারা প্রশাসনিক অঞ্চল তার আজকের আকৃতি লাভ করে ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে, ওসাকার থেকে আলাদা হয়ে। ঐতিহাসিকভাবে নারাকে “য়ামাতো নো কুনি” বা য়ামাতোদের দেশও বলা হয়।[5]
জাপানের প্রাচীন রাজধানীগুলি নারা অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত ছিল। এগুলির নাম ছিল যথাক্রমে আসুকা-ক্যো, ফুজিওয়ারা-ক্যো (৬৯৪-৭১০ খ্রিঃ)[6] এবং হেইজোও-ক্যো (৭১০-৭৮৪ খ্রিঃ)।[7] ফুজিওয়ারা ও হেইজো নগরের রাজধানীগুলি সমসাময়িক চীনের রাজধানী নগরগুলির পরিকল্পনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। চীনের সুই ও তাং রাজবংশের সাথেও জাপানের রাজসভা এই সময়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং চীনে বিদ্যার্জন করতে ছাত্র পাঠায়। নারা যুগে জাপানে বৌদ্ধধর্ম প্রথম রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে।
৭৯৪ খ্রিঃ জাপানের রাজধানী হেইয়ান-ক্যো বা বর্তমান কিয়োতো নগরে স্থানান্তরিত হয়। নারার মন্দিরগুলি অবশ্য প্রবল ক্ষমতার অধিকারী ছিল, যে কারণে নারাকে একটা সময় পর্যন্ত নান্তো বা দক্ষিণের রাজধানী বলা হত। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শক্তির ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে ১১৮০ খ্রিঃ কোওফুকু-জি ও তোওদাই-জি মন্দির দুটি অগ্নিদগ্ধ হয় এবং বহুমূল্য স্থাপত্য-ঐতিহ্য নষ্ট হয়।
মিনামোতো নো য়োরিতোমোর নেতৃত্বে কামাকুরা শোগুনতন্ত্রের গঠনের সময় নারা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। অগ্নিদগ্ধ মন্দির দুটির সংস্কার হয় এবং তাদের কেন্দ্র করে পুনরায় নগরায়ন আরম্ভ হয়।
সেন্গোকু যুগের পর থেকে অর্থনৈতিকভাবে নারা ক্রমশ ওসাকার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এই প্রবণতা আজও বজায় আছে।
নারা প্রশাসনিক অঞ্চল কান্সাই অঞ্চলের কিই উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থিত। স্থলবেষ্টিত এই প্রশাসনিক অঞ্চলের পশ্চিমে আছে ওয়াকায়ামা ও ওসাকা প্রশাসনিক অঞ্চল, উত্তরে কিয়োতো প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পূর্বে মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল।
পূর্ব-পশ্চিমে নারার বিস্তৃতি ৭৮.৫ কিমি এবং উত্তর-দক্ষিণে ১০৩.৬ কিমি।
অধিকাংশ নারা পর্বত ও বনাঞ্চলে আচ্ছাদিত; বসবাসযোগ্য এলাকার আয়তন মাত্র ৮৫১ বর্গ কিমি। প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট আয়তনের মাত্র ২৩% বাসযোগ্য ভূমি।[8]
নারা প্রশাসনিক অঞ্চল পূর্বে-পশ্চিমে য়োশিনো নদী বরাবর জাপান মধ্য টেকটনিক রেখা দ্বারা বিভক্ত। এর উত্তরে রয়েছে ‘অভ্যন্তরীণ অঞ্চল’, যেখানে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত একাধিক চ্যুতিরেখা বরাবর আজও ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া সক্রিয় আছে। জাপান মধ্য টেকটনিক রেখার দক্ষিণে আছে ‘বহিরাঞ্চল’, যা প্রায় পুরোটাই পর্বতময়। মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমানায় অবস্থিত ওওদাইগাহারা পর্বত একটি প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান: কিই পর্বতের পবিত্র স্থান ও তীর্থসমূহের অন্তর্গত।
নারা প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১৭ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে য়োশিনো-কুমানো জাতীয় উদ্যান; কোঙ্গো-ইকোমা-কিসেন, কোওয়া-রিউজিন, মুরো-আকামে-আওয়্যামা ও য়ামাতো-আওগাকি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং তিনটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.