Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জুরাসিক পার্ক (ইংরেজি ভাষায়: Jurassic Park জুর্যাসিক্ পার্ক্) স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র। Michael Crichton এর একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মীত এই চলচ্চিত্র ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। ক্লোন পদ্ধতিতে তৈরি করা ডাইনোসরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আইলা নুবলার দ্বীপে একটি বিনোদন পার্ক গড়ে তোলে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পূর্বে জন হ্যামন্ড (রিচার্ড অ্যাটেনব্রো) কয়েকজন বিজ্ঞানীকে পার্ক পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তারা দ্বীপে এসে ডাইনোসর দেখে বিস্মিত হন। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে কিছু ডাইনোসর তড়িতাহিত খাচা ভেদ করে বাইরে চলে আসে। বিজ্ঞানী ও কলাকুশলীরা ডাইনোসরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্বীপ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ নিয়েই জুরাসিক পার্কের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
জুরাসিক পার্ক | |
---|---|
পরিচালক | স্টিভেন স্পিলবার্গ |
প্রযোজক | ক্যাথলিন কেনেডি জেরাল্ড আর মোলেন |
রচয়িতা | চিত্রনাট্য David Koepp Malia Scotch Marmo(ক্রেডিট নেননি) Michael Crichton উপন্যাস: Michael Crichton |
সুরকার | জন উইলিয়াম্স |
চিত্রগ্রাহক | ডিন কান্ডি |
সম্পাদক | মাইকেল কান |
পরিবেশক | ইউনিভার্সাল স্টুডিওস |
মুক্তি | ১১ই জুন, ১৯৯৩ |
স্থিতিকাল | ১২৭ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৯৫,০০০,০০০ মার্কিন ডলার |
আয় | ৯১৪,৬৯১,১১৮ ডলার |
১৯৯০ সালেই স্পিলবার্গ ছবি নির্মাণের জন্য উপন্যাসের স্বত্ব লাভ করেন এবং চিত্রনাট্য অভিযোজনের জন্য স্বয়ং Crichton কেও নিয়োগ করেন। চিত্রনাট্যের চূড়ান্ত রূপ দেন David Koepp যিনি মূল উপন্যাসের প্রত্যক্ষ বর্ণনা ও সহিংসতা অনেক কমিয়ে আনেন এবং চরিত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। ডাইনোসরের এনিমেশন তৈরির জন্য স্পিলবার্গ স্ট্যান উইনস্টন স্টুডিও-কে ভাড়া করেন। এই স্টুডিওর শটগুলোর সাথে পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইট অ্যান্ড ম্যাজিক-এর চিত্রগুলোর সমন্বয় সাধন করা হয়। বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের যে রূপটি আবিষ্কার করেছেন ঠিক তা-ই ফুটিয়ে তুলতে চলচ্চিত্র কুশলীদেরকে সাহায়তা করেন জীবাশ্মবিজ্ঞানী জ্যাক হর্নার। অবশ্য বিবর্তন তত্ত্বে কিছু পরিবর্তনের কারণে বেশ কিছু বিশেষত ভেলোসিরেপ্টর-এর চিত্রায়নকে এখন পুরোপরি সঠিক বলা যায় না। ১৯৯২ সালের ২৪শে আগস্ট থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কাউয়াই, ওয়াহু এবং ক্যালিফোর্নিয়া-তে শ্যুটিং হয়।
কম্পিউটারের মাধ্যমে কৃত্রিম চিত্র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জুরাসিক পার্ক এক নতুন মাত্রা যোগ করে। ছবির এনিমেশন ও ইফেক্ট সব সমালোচকের কাছেই প্রশংসিত হয়, কিন্তু চরিত্র উন্নয়ন ও ছবির অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। মুক্তি পাওয়ার ছবিটি মোট ৯১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে যা ছিল সে সময় পর্যন্ত সর্বকালের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ছবি। বর্তমানে আয়ের দিক দিয়ে এর স্থান ১০ম। অবশ্য স্ফীতির সাপেক্ষে পরিবর্তন করলে উত্তর আমেরিকায় এর অবস্থান ১৭তম। জুরাসিক পার্ক চলচ্চিত্রে এক নতুন franchise এর জন্ম দেয়। ১৯৯৭ সালে দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড নামে জুরাসিক পার্কের দ্বীতীয় পর্ব মুক্তি পায়, ২০০১ সালে মুক্তি পায় জুরাসিক পার্ক ৩। জুরাসিক পার্ক ৪ বর্তমানে নির্মীত হচ্ছে।
ডঃ অ্যালান গ্র্যান্ট ও ডঃ এলি স্যাটলার এবং ডঃ আয়ান ম্যালকম জন হ্যামন্ড এর নির্মাণ করা ডানোসোর পার্কে ভ্রমনে যান। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান জন হ্যামন্ড (রিচার্ড অ্যাটেনব্রো) পার্ক পরিদর্শনের জন্য। তাদের সাথে ছিল অ্যালেক্সিস "লেক্স" মার্ফি ও টিমি "টিম" মার্ফি, যারা 'জন হ্যামন্ড এর নাতি ও নাতনি। ডেনিস নেড্রি হলো জুরাসিক পার্ক কম্পিউটার ব্যবস্থার চালক। ডেনিস নেড্রি ডানোসোর ডিএনএ পাচার করতে চেয়েছিলেন। রেই আর্নল্ড পার্কের প্রধান প্রকৌশলী। রবার্ট মুলডুন পার্কের প্রধান গেইম ওয়ার্ডেন, যিনি কেনিয়াতে চিতাও শিকার করেছেন। ক্যামেরন থর বায়োসিন কোম্পানির প্রধান।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.