কোভিড-১৯ পরীক্ষা
From Wikipedia, the free encyclopedia
কোভিড-১৯ পরীক্ষা হল করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) এবং সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা। মূলত দুই উপায়ে এই পরীক্ষা চালানো হয়: আণবিক চিহ্নিতকরণ এবং সেরোলোজি পরীক্ষা। আণবিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পলিমারেজ চেইন রিএকশন (পিসিআর) এবং নিউক্লিক এসিড পরীক্ষা, এবং অন্যান্য আধুনিক বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রকৃত-সময় বিপরীত ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের জন্য ভাইরাসের জিনগত উপাদান শনাক্ত করা হয়। সেরোলজি পরীক্ষায় এলিসা অ্যান্টিবডি পরীক্ষণ-সামগ্রী ব্যবহার করা হয় যেন হোস্ট দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে তা শনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা যায়। যদি দুই পরীক্ষাই ধনাত্মক ফলাফল দেয়, তবে মাইক্রোনিউট্রালাইজেশন অ্যাসে পরীক্ষা করা হয় এই ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য। মাইক্রোনিউট্রালাইজেশন অ্যাসে অনেক বেশি নির্দিষ্ট, কিন্তু অধিক শ্রম এবং সময় ব্যয় হয়। যেহেতু সংক্রমণ কেটে যাওয়ার পরেও অ্যান্টিবডি সারা দেহে প্রবাহিত হতে থাকে, সেরোলজি পরীক্ষা অনেক সময় এমন কারো ক্ষেত্রে ধনাত্মক ফলাফল দেয় যারা পূর্বে আক্রান্ত হয়েছিল এবং এখন দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বারা তৈরিকৃত অ্যান্টিবডির কারণে সুস্থ। অর্থাৎ সেরোলজি পরীক্ষায় ধনাত্মক ফলাফল মানেই সক্রিয় সংক্রমণ নয়। তবে সেরোলজি পরীক্ষা তত্ত্বাবধান এবং তদন্তজনিত কারণে ব্যবহৃত হয়। চীনে সুস্থ হওয়া নিশ্চিতকরণের জন্য আণবিক পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |