কন্ডোলিৎসা রাইস
From Wikipedia, the free encyclopedia
কন্ডোলিৎসা রাইস (ইংরেজি: Condoleezza Rice; জন্ম: ১৪ নভেম্বর ১৯৫৪), যিনি কন্ডোলিজা রাইস নামেও পরিচিত, পেশাগত জীবনে একজন অধ্যাপক, কূটনীতিক, লেখিকা, ও জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। তিনি কলিন পাওয়েলের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশের মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রো-আমেরিকান নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেই সাথে কলিন পাওয়েলের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্ত্রীসভার দ্বিতীয় আফ্রো-আমেরিকান ব্যক্তিত্ব, ও ম্যাডেলিন অলব্রাইটের পর দ্বিতীয় নারী ব্যক্তিত্ব। জর্জ ডব্লিউ বুশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম মেয়াদের মন্ত্রীসভায় রাইস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কন্ডোলিৎসা রাইস স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের একজন অধ্যাপক, এবং তিনি প্রভোস্ট হিসেবে সেখানে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশের মেয়াদকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিকেন্দ্রীকরণ ও জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের সময় রাইস রাষ্ট্রপতির সোভিয়েত ও পূর্ব ইউরোপ সংক্রান্ত উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
কন্ডোলিৎসা রাইস | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
---|---|
জন্ম | (1954-11-14) নভেম্বর ১৪, ১৯৫৪ (বয়স ৬৯) বার্মিংহাম, আলাবামা |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান |
অধ্যয়নকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
ইউনিভার্সিটি অফ ডেনভার ইউনিভার্সিটি অফ নটর ডেম |
পেশা | অধ্যাপক, প্রভোস্ট, কূটনীতিক, রাজনীতিক |
ধর্ম | প্রেজবিটেরিয়ান |
স্বাক্ষর |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাইস তার কার্যক্রম শুরুর সময় তিনি ট্রান্সফর্মেশনাল ডিপ্লোমেসি নামক একটি নতুন কূটনৈতিক নীতির সূচনা করেন, যা মূলত বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের দিকে আলোকপাত করে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রতি তার সমর্থনের কারণে হামাস নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হওয়ার পরেও চাপের মুখে পড়ে। এছাড়া হামাসের প্রতি চাপ ছিলো বিভিন্ন ইসলামি সামরিক সংগঠন, সৌদি আরব, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর।[1]
মার্চ ২০০৯-এ রাইস পুনরায় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও থমাস বারবারা স্টিফেনসন সিনিয়র ফেলো হিসেবে হুভার ইন্সস্টিটিউশনে ফিরে আসেন।[2][3]