উদ্বায়িতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
রসায়নবিদ্যায় উদ্বায়িতা বলতে পদার্থের একটি ঔপাদানিক ধর্মকে বোঝায়, যা দিয়ে ঐ পদার্থটির দ্রুত বাষ্পীভূত হওয়ার প্রবণতাকে নির্দেশ করা হয়। একটি প্রদত্ত তাপমাত্রা ও চাপে একটি উচ্চমাত্রায় উদ্বায়ী পদার্থের বাষ্প হিসেবে বিরাজ করার সম্ভাবনা বেশি; অন্যদিকে নিম্নমাত্রায় উদ্বায়ী পদার্থের তরল বা কঠিন হিসেবে বিরাজ করার সম্ভাবনা বেশি। কোনও বাষ্পের ঘনীভূত হয়ে তরল বা কঠিনে পরিণত হবার প্রবণতাকেও উদ্বায়িতা দিয়ে নির্দেশ করা যায়। কম উদ্বায়ী পদার্থগুলি উচ্চমাত্রায় উদ্বায়ী পদার্থগুলির তুলনায় বাষ্পীয় অবস্থা থেকে অধিকতর দ্রুত ঘনীভূত হতে পারে।[1] কোনও পদার্থের দলের মধ্যে সেগুলি বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্ত থাকলে কত দ্রুত বাষ্পীভূত বা ঊর্ধ্বপাতিত হয়, সে ব্যাপারটি তুলনা করে দলটির বিভিন্ন পদার্থের উদ্বায়িতার পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। একটি বেশি উদ্বায়ী পদার্থ যেমন ডাক্তারি অ্যালকোহল (আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) খুব দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়, অন্যদিকে কম উদ্বায়ী পদার্থ যেমন উদ্ভিজ্জ তেল ঘনীভূত থাকবে।[2] সাধারণভাবে কঠিন পদার্থগুলি তরল পদার্থের চেয়ে অনেক কম উদ্বায়ী, তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেসব কঠিন পদার্থ ঊর্ধ্বপাতিত হতে পারে (অর্থাৎ সরাসরি কঠিন থেকে বায়বীয় বা বাষ্পীয় দশায় রূপান্তরিত হতে পারে) যেমন শুষ্ক বরফ (কঠিন কার্বন ডাই-অক্সাইড) বা আয়োডিন মান অবস্থায় কিছু তরলের সমান হারে বাষ্পীভূত হতে পারে।[3]