উচ্চতা
উল্লম্বদিকে দূরত্বের পরিমাপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
উচ্চতা একটি বহু-অর্থবোধক পরিভাষা। প্রথমত, এটি দিয়ে কোনও সমতল স্থানে খাড়া দণ্ডায়মান কোনও জীব বা জড় বস্তুর নিম্নপ্রান্ত বা পাদবিন্দু থেকে ঊর্ধ্বপ্রান্ত বা শীর্ষবিন্দু পর্যন্ত উল্লম্ব দৈর্ঘ্যকে (অর্থাৎ ঐ জীব বা বস্তু কতটুকু "লম্বা" বা "উঁচু") বোঝাতে পারে। যেমন বলা হতে পারে যে "একটি ভবনের উচ্চতা হল ৫০ মিটার"। মানুষের ক্ষেত্রে মানুষের উচ্চতা (Human height) পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়, যা দিয়ে দণ্ডায়মান কোনও ব্যক্তির পায়ের তলা থেকে মাথার উপরিপৃষ্ঠ পর্যন্ত পরিমাপকৃত উল্লম্ব দৈর্ঘ্যকে বোঝায়। যেমন বলা হতে পারে যে "একজন ব্যক্তির উচ্চতা ৬ ফুট"।
আবার উচ্চতা বলতে কোনও প্রসঙ্গতলের (সাধারণত ভূপৃষ্ঠতল বা সমুদ্র সমতল) সাপেক্ষে কোনও বিন্দু বা বস্তু উপরের দিকে কতটুকু উল্লম্ব দূরত্বে অবস্থিত (অর্থাৎ ঐ তল থেকে কত "উঁচুতে" অবস্থিত), সেটিকে বোঝানো হতে পারে। এটিকে ইংরেজিতে সাধারণত "অ্যালটিচিউড" (Altitude) নামের একটি বিশেষ পরিভাষা দিয়ে নির্দেশ করা হয়। যেমন বলা হতে পারে যে "সমুদ্র সমতল থেকে একটি বিমানের উচ্চতা প্রায় ১০,০০০ মিটার"। এ বিষয়ে আরও জানতে উচ্চতা (উল্লম্ব দূরত্ব) নিবন্ধটি দেখুন। সাধারণত বিমানচালনা, ক্রীড়া, বায়ুমণ্ডলের চাপ পরিমাপ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে উচ্চতার এই ধারণাটি প্রয়োগ করা হয়।
অধিকন্তু ভূগোলবিদ্যায় ভূপৃষ্ঠের স্থলভাগের কোনও স্থানের উচ্চতা বলতে সমুদ্র সমতল থেকে ঐ স্থানটির উল্লম্ব দূরত্বকে বোঝায়। এটিকে ইংরেজিতে সাধারণত "এলিভেশন" (Elevation) নামের একটি বিশেষ পরিভাষা দিয়ে নির্দেশ করা হয়। যেমন বলা হতে পারে যে "সমুদ্র সমতল থেকে এভারেস্ট পর্বতের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার।" এ বিষয়ে আরও জানতে উচ্চতা (ভৌগোলিক স্থান) নিবন্ধটি দেখুন।
জ্যামিতিশাস্ত্রের আলোচনায় একটি দ্বি-মাত্রিক (x ও y দুইটি অক্ষবিশিষ্ট) কার্তেসীয় স্থানাংক ব্যবস্থায় অনুভূমিক x-অক্ষের সাপেক্ষে উল্লম্ব y-অক্ষ বরাবর কোনও বিন্দুর দূরত্বকে সেই বিন্দুটির উচ্চতা বলে। অন্যদিকে একটি ত্রি-মাত্রিক (x, y ও z তিনটি অক্ষবিশিষ্ট) কার্তেসীয় স্থানাংক ব্যবস্থায় z-অক্ষটিকে উল্লম্ব ধরা হয় এবং অনুভূমিক x-y তল থেকে উল্লম্ব z-অক্ষ বরাবর কোনও বিন্দুর দূরত্বকে সেই বিন্দুটির উচ্চতা বলে।