চাকরি-পূর্ব প্রশিক্ষণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইন্টার্নশিপ বা চাকরি-পূর্ব প্রশিক্ষক্ণ হচচ্ছে অস্থায়ী কাজের অভিজ্ঞতা যা থেকে দক্ষতা অর্জন করা যায়, এটি বৈতনিক বা অবৈতনিকও হতে পারে।[1] সাধারণত শিক্ষার্থী ও স্নাতকধারীগণ কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জনে ইন্টার্নশিপ করে থাকেন।
পেশাদারী কেরিয়ারের ইন্টার্নশীপসমূহ বাণিজ্য তথা বৃত্তিমূলক কাজের অ্যাপ্রেন্টিসশিপের ন্যায় কিন্তু কর্মতৎপরতার দিক থেকে ততটা কঠোর নয়,[2] কিন্তু প্রমিতকরণ এবং তদারকির অভাবে এই শব্দটির ব্যবহারের পরিধি যথেষ্ট উন্মুক্ত এবং বিস্তৃত।[3][4] একজন ইন্টার্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র, বা পোস্ট-গ্রাজুয়েট প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারেন। এই পদটি বৈতনিক বা অবৈতনিক এবং সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে।
সাধারণত, ইন্টার্নশীপ একজন ছাত্রের কর্মে অভিজ্ঞতাপ্রাপ্তি এবং একটি সংগঠনের কর্মীনিয়োগের পূর্ববর্তী মুল্যায়নের কাজ করে থাকে। একজন ছাত্র ইন্টার্নশীপকে ব্যবহার করতে পারেন তার একটি নির্দিষ্ট কেরিয়ারে ঝোঁক আছে কি না তা নির্ধারণ করতে, মানুষের সাথে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে, বা স্কুলের/কলেজের ক্রেডিট লাভ করতে। কিছুক্ষেত্রে ইন্টার্নশীপ সমাপ্ত হওয়ার পর ইন্টার্নেরা যে সংস্থায় কাজ করলেন ওই সংগঠনে স্থায়ী বৈতনিক কর্মী হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। একটি নিয়োগকর্তা সংগঠনের জন্যে এটা লাভজনক কারণ একজন অভিজ্ঞ ইন্টার্ন প্রায়ই সামান্য অথবা বিনা প্রশিক্ষণে নিয়মিত কর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তবে শিক্ষানবিস (trainee) প্রোগ্রামের ন্যায় ইন্টার্নশীপের সমাপ্তির পর কর্মসংস্থান হওয়ার কোন নিশ্চিতি নেই।