আলহামরা
From Wikipedia, the free encyclopedia
আলহামরা (/ælˈhæmbrə/, স্পেনীয়: [aˈlambɾa ]; আরবি: الْحَمْرَاء, প্রতিবর্ণীকৃত: Al-Ḥamrāʾ, উচ্চারণ [alħamˈraːʔ], আক্ষ. 'একটি লাল') হলো প্রাসাদ এবং দুর্গ সংবলিত বড় আকারের একটি কমপ্লেক্স যা স্পেনের আন্দালুসিয়ার, গ্রানাডাতে অবস্থিত। গ্রানাডার শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের আসসাবিকা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই পুরাতন দুর্গ ৯ম শতাব্ধীর শেষভাগে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান দুর্গের ভিত্তিতে নির্মিত হয় তবে প্রাসাদ এবং সংলগ্ন অন্যান্ন অংশ ১৩শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে আন্দালুসের গ্রানাডা আমিরাতের মরিশ শাসকদের হাতে সৃদৃশ্য স্থাপনা হিসেবে সম্পূর্নতা পায়। আলহামরা প্রাসাদটি নাসরি রাজবংশের শাসনকালে তৈরি করা হয়েছিল, যা তার বাসস্থান এবং রাজসভা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সম্রাট ফার্ডিন্যান্দ এবং রানী ইসাবেলা মুসলিম স্পেন জয় করার পরে এটিকে তাদের প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করেন।
আলহামরা | |
---|---|
অবস্থান | গ্রানাডা, স্পেন |
স্থানাঙ্ক | ৩৭°১০′৩৯″ উত্তর ০৩°৩৫′২৪″ পশ্চিম |
ওয়েবসাইট | প্যাট্রোন্যাটো ডি লা আলহাম্বরা |
নির্ণায়ক | সাংস্কৃতিক: i, iii, iv |
মনোনীত | ১৯৮৪ (৮ম সভা) |
যার অংশ | আলহাম্বরা, জেনেরালাইফ এবং অ্যালবায়জিন, গ্রানাদা |
সূত্র নং | ৩১৪-০০১ |
অঞ্চল | ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা |
Spanish Property of Cultural Interest | |
ধরন | স্থাবর |
নির্ণায়ক | স্মৃতিস্তম্ভ |
মনোনীত | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৭০ |
সূত্র নং | আরআই-৫১-০০০০০০৯ |
সমসাময়িক মুসলিম স্থাপত্য কর্মের মধ্যে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বাস্তব আকর্ষণ, যা স্থানীয়করণ এবং অভিযোজন মধ্যে একটি নতুন দৃশ্য তৈরি করে যা সম্পূর্ণরূপে তার প্রকৃতিতে বিদ্যমান।স্পেনের মুর কবি ও শিল্পীরা একে সবুজের বুকে এক বিন্দু মুক্তা বলে অভিহিত করতেন। সবুজ উপত্যাকায় রঙিন ভবনের অস্তিত্ব আসলেই দর্শকের দৃস্টিতে ধাধা তৈরী করতো। [1] পাহাড়ি ভূমি প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করে প্রাসাদের ভবনগুলো নকশা করা হয়েছিলো এবং তৎকালীন সময়ের উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটানো হয়েছিলো।
১২৩৮ সালে, মুহাম্মদ ইবনে নাসর (নাজার নামেও পরিচিত), গ্রানাডা দখলের জন্য এলভিয়ার দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তিনি এর নাম দেন "আল-হামার" (লাল)। তিনিই হলেন নাসরি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইবন নাছর বিজয়ী হয়ে গ্রানাডাতে প্রবেশ করে, তখন সেখানকার লোকেরা তাকে স্বাগতম জানায়: "স্রস্টার করুণায় বিজয়ীকে স্বাগতম" (মারহাবান লি-ল-নাসির) বলে, জবাবে তিনি উত্তর দেন: "আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বিজয়ী নয় " (ওয়া লা গালিব ইল্লা আল্লাহ)। এটি ছিল নাসরি রাজবংশের নীতিবাক্য এবং একে তিনি সম্পূর্ণ আলহামরাতে লিখেন।[2] আলহামরা অনেক লেখক গান এবং গল্প লিখতে অণুপ্রাণিত করেছে।
২রা নভেম্বর, ১৯৮৪ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান আলহামরাকে এবং গ্রানাডার জেনেরালাইফকে মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেন।[3] ২০১১ সালের, আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪০ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এটিকে পরিদর্শন করেছে।[4]