Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আবাদ হল এক খন্ড ভূমি বা জমিকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষিকাজের জন্য তৈরি করার প্রক্রিয়া। সেটা হতে পারে মাটি খুড়ে, লাঙ্গল দিয়ে চাষ দিয়ে অথবা আচড়া দিয়ে। আবাদের নানা পদ্ধতির মধ্যে কিছু কাজ শুধু শারীরিক শ্রম দিয়ে ও ছোট ছোট যন্ত্রের সাহায্যেই করা যায়। । সেটা হতে পারে মাটি খুড়ে, লাঙ্গল দিয়ে চাষ দিয়ে অথবা আচড়া দিয়ে। আবাদের নানা পদ্ধতির মধ্যে কিছু কাজ শুধু শারীরিক শ্রম দিয়ে ও ছোট ছোট যন্ত্রের সাহায্যেই করা যায়। বেলচা, কোদাল, কাস্তে, কুড়াল, মই এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। আবার গবাদি পশু ও যন্ত্রের সমন্বয়ে করতে চাইলে গরু-মহিষের সাহায্যে লাঙ্গল ব্যবহার করেও করা যায়। ছোট পরিসরে পরিবারের জন্যে, ছোট ব্যবসার জন্যে বাগান বা চাষাবাদ করতে চাইলে সবাই ক্ষুদ্রাকারের আবাদ পদ্ধতিই বেছে নেয়। তবে বড় আকারের আবাদ পদ্ধতি শুধুমাত্র বৃহৎ শিল্প বা কৃষি প্রতিষ্ঠানই অনুসরণ করে থাকে। অনেক সময় প্রয়োজনের খাতিরে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও ছোট পরিসরে আবাদ করে থাকে।
আবাদ মাধ্যম হলো টিস্যু কালচার প্রযুুক্তির একটি অংশ। উদ্ভিদের বৃদ্ধির অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পুষ্টি,ভিটামিন, ফাইটোহরমোন গ্লুকোজ এবং কঠিন মাধ্যম তৈরির জন্য জমাট বাঁধার উপাদান যেমন:- অ্যাগার প্রভৃতি সঠিক মাত্রায় মিশিয়ে যে মাধ্যম তৈরি করা হয়, তাই হলো আবাদ মাধ্যম।
আবাদ সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। প্রাথমিক আর মাধ্যমিক ধরনের। যদিও তেমন একটা ব্যবধান তাদের মাঝে নেই। তাই কোন ধরনের আবাদ প্রাথমিক আর কোন ধরনের আবাদ মাধ্যমিক পর্যায়ের তা বলা মুশকিল। সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ের আবাদে(যেমনঃ লাঙল দিয়ে) জমিরপরিভাগ তেমন একটা মসৃণ হয় না। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের আবাদে মাটির উপরিভাগ অনেকটা মসৃণ হয়ে থাকে। অনেক ফসলের বীজতলা তৈরী করতে তাই এই পদ্ধতি বেশি উপযোগী। অনেক ক্ষেত্রে এই দুই পদ্ধতির সংমিশ্রণেও আবাদ করতে দেখা যায়।
"আবাদ" বলতে যে জমিটি আবাদ করা হয়েছে সেটাও বুঝানো হয়। "চাষ" শব্দটির নানা রকম অর্থ থাকতে পারে, যা অনেকটা "আবাদ" শব্দটার কাছাকাছি। মোদ্দা কথায় বলতে গেলে দুটো শব্দই কৃষি কে বোঝায়। আর দুটো শব্দই কৃষি সম্পর্কিত জমি তৈরিকরণকে বোঝায়। তবে "চাষাবাদ" শব্দটা আরও সঙ্কীর্ণ অর্থ দিয়ে থাকে। এই শব্দের দ্বারা মাধ্যমিক পর্যায়ের আবাদ পদ্ধতি নির্দেশিত হয়ে থাকে।
প্রশমন আবাদে জমির উপর ১৫-৩০% অথবা প্রতি একরে ৫০০ থেকে ১০০০ পাউন্ড(৫৬০ থেকে ১১০০ কেজি) অবশিশটাষ্টাঙ্গিশ প্রলেপ থেকে যায়। এগুলোর জন্যে নিড়ানি, খুন্তি ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে থাকে। এসব কীভাবে অবশিশটাষ্টশটাষ্টাঙ্গিশকে প্রভাবিত করতে পারে তা দেখতে সাধারণ মন্তব্য অঙ্গিশ দেখুন।
এই আবাদ পদ্ধতিতে ১৫ শতাংশের চেয়ে কম উচ্ছিষ্ট অথবা প্রতি একরে ৫০০ পাউন্ড(৫৬০ কেজি) উচ্ছিষ্ট থাকে। এই ধরনের আবাদ পদ্ধতিকে গতানুগতিক আবাদ পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। তবে তীব্র আবাদ পদ্ধতির চেয়ে রক্ষণাত্মক আবাদ পদ্ধতিই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। তবে এই আবাদ পদ্ধতিকে গতানুগতিক আবাদ পদ্ধতি বলাও সবসময় সঠিক নয়। এই আবাদ পদ্ধিতিতে অনেক সময় নানা রক্ম যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। যেমনঃ কুন্তি, কোদাল, বেলচা, মোল্ড বোর্ড ইতাদি। বীজপত্র তৈরিতে মই,আচড়া, ঝুড়ি ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে থাকে। নানারকম বিভিন্নতাও আছে।
এই আবাদে কমপক্ষে ৩০ শতাঙ্গিশ বা প্রতি একরে ১০০০ পাউন্ড(১১০০ কেজি প্রতি হেক্টরে) ফসলের উচ্ছিষ্ট থাকে। এতে পানির গতিও কমে যায় যা ভূমি ক্ষয় করে থাকে। এই পদ্ধতিতে জ্বালানি খরচ কম হয় যা কৃষকের জন্য উপকারি। এতে সময় বাচে যার ফলে একজন কৃষক অতি দ্রুত মাঠের পুরোটা চাষ করতে পারে। তাই এই পদ্ধতি কৃষকের আছে জনপ্রিয়। ১৯৯৭ পর্যন্ত এই পদ্ধতিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে।
যাইহোক, এই পদ্ধতিতে জমির উষ্ণায়ন কমে। এতে করে পরবর্তি বছরের বসন্তে ফসল বুনতে দেরি হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.