যেখানে সেখানে দিবসে দুপরে নিদ্রাটি আছে সাধা। মহা কলরবে গালি দেই যবে পাজি হতভাগা গাধা,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুরাতন ভৃত্য, চিত্রা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩০২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৯-৬০
রাস্তায় বেরিয়ে যাকে দেখে সকলকেই বুদ্ধু ‘সেলাম’ করে। ছেলে বুড়ো মানুষ গরু কাউকে বাদ দেয় না। এক গাধাওয়ালা তার গাধা নিয়ে চলেছে—চাকরটা তাকে সেলাম করল আর গাধাগুলোকেও খুব খাতির করে বলল “সেলাম”। তা শুনে গাধাওয়ালা খুব হাসতে লাগল, আর বলল, ‘দূর আহাম্মক ওদের বুঝি সেলাম বলতে হয়;ওদের “হেই হেই” ক’রে চালাতে হয়।’
ষাঁড় আর গাধা দুজনে একমত হয়ে ছাগলকে সমিতির সম্পাদক করল। কিন্তু গোল বাধল সভাপতি হওয়া নিয়ে। ষাঁড় আর গাধা দুজনেই সভাপতি হতে চায়। বেজায় ঝগড়া শুরু হয়ে গেল।
সুকুমার রায়, সাধে কি বলে গাধা, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৬
কাপড় কাচা শেখা হয়ে গেলে পর সে যখন চলে আস্বে তখন ধােপা তাকে একটা গাধা দিয়ে বল্ল, “এই গাধাটা নাও, তােমার অনেক কাজে আস্বে। তােমার যখনি টাকার দরকার হবে, গাধাকে বল্বে ‘থু-থু!’ অমনি দেখ্বে গাধার মুখ দিয়ে মােহর পড়্বে।’ গাধা পেয়ে দরজীর ছেলের খুবই সুবিধা হল। টাকার দরকার হলেই সে বলে “গাধা! থু-থু!” আর অমনি গাধা মেলাই মােহর বার করে দেয়। তখন সে ভাব্ল, “এইবার বাবার কাছে ফিরে যাই।”
সুখলতা রাও, দরজী আর তার ছাগল, গল্পের বই - সুখলতা রাও, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক-ইউ, রায় এণ্ড সন্স্, প্রকাশসাল- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১১৬
গাধা বিষয়ক প্রবাদে বিশেষভাবে গাধার নির্বুদ্ধিতাকেই প্রকটিত করা হয়েছে। এছাড়া গাধা যে ভারবাহী পশু, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। (ক) আধা কইলে গাধাও বোঝে, সব কইলে কেনা বোঝে। (খ) গাধা পিটিয়ে ঘোড়া। (গ) গাধা সকল বইতে পারে, ভাতের কাঠি বইতে নারে। (ঘ) ঘোড়ার পেট, গাধার পিঠ, খালি থাকে কদাচিৎ।
বরুণকুমার চক্রবর্তী, বাংলা লোক-সাহিত্যে জীবজন্তু, লোক-সংস্কৃতি ঃ নানা প্রসঙ্গ- বরুণকুমার চক্রবর্তী, প্রকাশক- বুক ট্রাস্ট, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১৩৪