বগুড়া
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহরবগুড়া বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলার একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। আবার সাক্ষরতার জন্য এই জেলাকে শিক্ষা নগরী বলা হয়। এটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত সবচাইতে উন্নত ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর। এবং সমগ্র উত্তর বঙ্গের মধ্যে সবচাইতে উন্নত জেলা। রাজশাহী বিভাগীয় শহর হলেও সেখানের মানুষের জীবনযাত্রার মান বগুড়ার মানুষের চেয়েও পিছিয়ে আছে। তার বাস্তব প্রমাণ বগুড়া শহরে আজ থেকে ৫ বছর আগেই ৫ তারকা মানের হোটেল গড়ে উঠেছে। অথচ রাজশাহীতে ৪,৫ তারকা হোটেল এখনো গড়ে উঠেনি। যদিও বিগত ১৮ বছর যাবৎ বগুড়া জেলা রাজনৈতিক কারণে সবচাইতে বেশি অবহেলিত ছিল। যদি স্বাভাবিক গড় আনুপাতিক ভাবে বগুড়ায় অবকাঠামো উন্নয়নমূলক বাজেট থাকত তাহলে দেশের শীর্ষস্থানীয় শহরগুলোর পাশাপাশি থাকত। বিগত ১৮ বছরে বগুড়ায় যতটুকু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার অধিকাংশই স্থানীয় জনগণের অর্থে"শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম" নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। যদিও ১৭ বছর যাবত আর একটি খেলাও সেখানে হয়নাই। অথচ বাংলাদেশের সবচাইতে সাফল্যের হার এই মাঠেই বেশি যাকে বলা হয় বাংলাদেশের আশির্বাদ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এতোটাই চরমে ছিল যে যেই মাঠ একসময় আন্তর্জাতিক মাঠ ছিল সেটাতে ঘরোয়া ম্যাচ পর্যন্ত খেলানো হয়নি; যাইহোক এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) শহর থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত। বগুড়া দইয়ের জন্য খুব বিখ্যাত। বগুড়া শহরে থেকে ১১ কি.মি. উত্তরে মহাস্থানগড় অবস্থিত, যা একসময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এবং সেসময় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। সেটার বয়স প্রায় ২৫০০ বছর হয়েছে।কথিত আছে সম্রাট অশোক এই পুণ্ড্রনগরে এসে এই নগরের সৌন্দর্য ও স্থাপত্য দেখে অভিভূত হয়েছিলেন এবং কয়েকবার তার অবকাশ সময়ও সে এখানে কেটেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্ৰথমে ১ নং এবং পৱে নিজ হাতে গড়া বাংলাদেশ ফোৰ্সেস সেক্টর ১১ এৱ ফোৰ্স কমান্ডার এবং জেড ফোর্স ব্ৰীগেড কমান্ডাৱ লে. কৰ্ণেল ও পরবর্তী সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের রাজধানী বলা হয়। বগুড়া উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে উন্নত ও প্রধান শহর।