জাভিয়ের মেলবোর্ন মার্শাল (ইংরেজি: Xavier Marshall; জন্ম: ২৭ মার্চ, ১৯৮৬) সেন্ট অ্যান পারিশ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জ্যামাইকীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। এরপর, জানুয়ারি, ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জাভিয়ের মেলবোর্ন মার্শাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট অ্যান পারিশ, জ্যামাইকা | ২৭ মার্চ ১৯৮৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | রশার্ড মার্শাল (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬১) | ১৩ জুলাই ২০০৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৫/১৯) | ১৪ জানুয়ারি ২০০৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম নেপাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২৫/৫) | ২০ জুন ২০০৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৪ আগস্ট ২০১৯ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬/০৭ - বর্তমান | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুলাই, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা ও জ্যামাইকা তাল্লাহজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জাভিয়ের মার্শাল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাভিয়ের মার্শালের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রকৃত মেধাবী ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে ব্যাট হাতে ফুরফুরে মেজাজে খেলতেন জাভিয়ের মার্শাল। ২০০৫ সালের শুরুতে বাজে ব্যবহারের অভিযোগে বিদেশের তিনটি খেলা থেকে বাদ দেয়া হয়। ফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ এ প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। জানুয়ারি, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক হয়। জুন মাসে তাকে বর্ষসেরা যুব ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করা হয়। একই বছরে শ্রীলঙ্কা সফরে তার টেস্ট খেলার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। কিন্তু, নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ও বেশ কয়েক বছর জাতীয় দলের বাইরে অবস্থান করেন। ২০০৮ সালে অ্যান্টিগুয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিস্ময়করভাবে তাকে খেলানো হয়। কেননা, ২০০৭-০৮ মৌসুমে জ্যামাইকার পক্ষে তিনি কেবলমাত্র দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলেছিলেন। সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে দলে প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন। ১৩৩ বল মোকাবেলা করে ১০৬ রান সংগ্রহ করার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে ৩৪ রানে পরাজিত করতে সহায়তা করেন।[২] যুবদের এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়ে ৫০.৩৬ গড়ে ৫৫৪ রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ১০৬ রান।[৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্ট, সাঁইত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও তেরোটি টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন জাভিয়ের মার্শাল। ১৩ জুলাই, ২০০৫ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে জাভিয়ের মার্শালের ওডিআই অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বল মোকাবেলান্তে ৫ রান তুলতে সমর্থ হন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য ছিলেন।[৪]
২২ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ওডিআইয়ে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকার নতুন রেকর্ড গড়েন। এরফলে, সনাথ জয়াসুরিয়া ও শহীদ আফ্রিদি’র গড়া যৌথ রেকর্ড ভেঙ্গে যায়। কানাডার বিপক্ষে ১২ ছক্কা সহযোগে ১১৮ বল থেকে ১৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ঐ খেলায় তার দল ৪৯ রানে জয় পেয়েছিল।[৫] এরপর, ১১ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে শেন ওয়াটসন বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের করে নেন।
বিতর্কিত ভূমিকা
সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালে স্ট্যানফোর্ড সুপার সিরিজে অংশগ্রহণকল্পে প্রশিক্ষণ চলাকালীন ড্রাগ টেস্টে নেতিবাচক ফলাফল আসলে সাধারণের কাছে ছড়িয়ে পড়লে তিনি দল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে মার্শাল কি ধরনের মাদক গ্রহণ করেছিলেন তা প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু, তারা ঘোষণা করেন যে, এরফলে জাভিয়ের মার্শালের বিপক্ষে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। কেননা, তিনি ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পোশাক পরিধান করছেন না।[৬][৭]
মার্কিন দলে অংশগ্রহণ
জানুয়ারি, ২০১৮ সালে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত রিজিওন্যাল সুপার৫০ প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৮] ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৯][১০] ঐ খেলাগুলোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের ইতিহাসের প্রথম টি২০আই খেলা ছিল।[১১]
১৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে দুবাইয়ে সিরিজের প্রথম টি২০আইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যরূপে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[১২] এরফলে, সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে পৃথক দুইটি আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরূপে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার সুযোগ পান।[১৩]
এপ্রিল, ২০১৯ সালে নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগে অংশ নেয়ার জন্যে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্য করা হয়।[১৪][১৫] ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যরূপে তিনি তার প্রথম শতরান করেন।[১৬] মার্কিন দল ঐ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ চার দলে প্রবেশ করে। এরফলে, ওডিআই মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়।[১৭] ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে মার্কিন দলের পক্ষে জাভিয়ের মার্শালের অভিষেক হয়। প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় দলটি পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হয়। এরফলে, একাদশ ক্রিকেটার হিসেবে দুইটি ভিন্ন আন্তর্জাতিক দলের পক্ষে ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।[১৮] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ১৮২ রান তুলেন।[১৯]
স্বর্ণালী মুহূর্ত
বারমুদায় অনুষ্ঠিত ২০১৮-১৯ মৌসুমের আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আমেরিকাস বাছাইপর্বের আঞ্চলিক চূড়ান্ত খেলাকে ঘিরে ৩০ সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলে রাখা হয়।[২০] পরের মাসে ইউএসএ ক্রিকেট কর্তৃক ১২ মাসের জন্যে পাঁচজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে নেয়া হয়।[২১] আগস্ট, ২০১৯ সালে আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আমেরিকাস বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের চূড়ান্ত খেলায় তাকে মার্কিন দলে রাখা হয়।[২২]
নভেম্বর, ২০১৯ সালে রিজিওন্যাল সুপার৫০ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্য করা হয়।[২৩] ২০২১ সালের মাইনর লীগ ক্রিকেট মৌসুমকে ঘিরে নিউ জার্সি সমারসেট ক্যাভেলিয়ার্সের সাথে তাকে রাখা হয়।[২৪]
জুন, ২০০৫ সালে জাভিয়ের মার্শালকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্ষসেরা যুব ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।[২৫]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.