সান্দ্রতা

তরল পদার্থের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের ফলে প্রবাহে (বয়ে যেতে) বাধা দেবার প্রবণতাকে সান্দ্রতা বলা হয়। তরল পদার্থ বলতে বস্তুত পদার্থের সেই দশাকে বোঝায়, যাতে তার উপর ব্যাবর্তন পীড়ন প্রয়োগ করলে তা বইতে আরম্ভ করে, যেখানে বয়ে যাওয়া বলতে তার বিভিন্ন তলের মধ্যে আপেক্ষিক গতিকেই বর্ণনা করা হয়। তবে সব লেয়ারের সান্দ্রতা এক নয়। ^[১]উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মধুর সান্দ্রতা জলের থেকে বেশি।^[২] এই আপেক্ষিক গতির ফলে তলগুলি একে অপরের উপর একপ্রকার ঘর্ষণ জাতীয় বাধা (যা গতিশক্তিকে তাপ হিসাবে হারিয়ে যেতে দেয়) প্রদান করে যার ফলে এক তল থেকে আরেক তলে তরলের বিভিন্ন গভীরতায় প্রবাহবেগ সঞ্চারে আপেক্ষিক পার্থক্য থেকে যায়। সান্দ্রতা বলের মান তরল পদার্থের সান্দ্রতা গুনাঙ্ক এবং গভীরতার সঙ্গে উপর্যুক্ত গতিপার্থক্য কত দ্রুত বদলায় তার দ্বারা পরিমাপ করা যায়।

জল ও মধুর সান্দ্রতা পার্থক্য

বিভিন্ন তলের মধ্যে রৈখিক (নিউটনীয়) আপেক্ষিক গতিপার্থক্য

অ-নিউটনীয় প্রবাহ

আইজ্যাক নিউটন বলেন, সমান্তরাল সরলরৈখিক প্রবাহে বিভিন্ন তলের মধ্যে ব্যাবর্তন পীড়ন ${\displaystyle \tau }$, গভীরতার সঙ্গে উপর্যুক্ত গতিপার্থক্য পরিবর্তনের হার,${\displaystyle {\partial u \over \partial y}}$ এর সমানুপাতিক,

${\displaystyle \tau =\mu {\frac {\partial u}{\partial y}}}$

যেখানে ${\displaystyle \mu }$ তরলের সান্দ্রতা গুনাঙ্ক।