বেদে বর্ণিত সময়কালকে মূলত বৈদিক যুগ বলে চিহ্নিত করা হয়। যখন ছয় হাজার বছর আগের ঋষিরা অগ্নিকেন্দ্রিক নানাবিধ যজ্ঞের মাধ্যমে বিভিন্ন শক্তির প্রকাশক বিভিন্ন সত্ত্বার প্রতি অপৌরুষেয় (জন্মলব্ধ, যা কারো সৃষ্টি নয়) দৃষ্টমন্ত্র (যে মন্ত্রসমূহ মানুষকর্তৃক রচিত নয় বরং সাধনদ্বারা দৃষ্ট বা প্রাপ্ত) স্মরণের মাধ্যমে বয়ে চলেছেন অজস্র প্রার্থনা ও উপাসনা মন্ত্র। বেদগুলোকে এখন সেই সব মন্ত্রের সংকলন হিসেবে পাওয়া যায় যা হিন্দুধর্মের আদি শাস্ত্রও বটে । এটিকে এরকম বলার মূল কারণ হলো, এই সময় সমস্ত বেদ ও উপনিষদ লেখা হয় যা আগে মুখে মুখে পড়তে ও মনে রাখতে হত। এই প্রক্রিয়াটি শ্রুতি নামে (গুরুর মুখ থেকে শুনে মনে রাখতে হতো) পরিচিত ৷
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
আনুমানিক ১৫০০খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের পরে বেদকে ভিত্তি করে বৈদিক যুগের সূচনা হয়৷ এই সভ্যতার স্রষ্টাদের আর্য বলা হয়৷ মূলত বেদকে ঋষিরা ধ্যানের মাধ্যমে লাভ করেন।
বৈদিক যুগকে দুভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে-
১)ঋকবৈদিক যুগ
২) পরবর্তী যুগ
প্রথম বেদ ঋগ্বেদ রচনার কালনির্ণয়
যদিও বেদ অপৌরুষেয় ও অনাদি। তথাপি যুক্তিনির্ভর পাশ্চাত্য পণ্ডিত ও তদনুসারী ভারতীয়রা সময়ে সময়ে বেদের কালনির্ণয়ে প্রবৃত্ত হয়েছেন। যদিও তা সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর।
নাক্ষত্রিক গণনা
পৃথিবীর মেরুতারকা হচ্ছে সেই তারকা যেটিকে ঘিরে নভোমণ্ডলের সকল তারামণ্ডল সুনির্দিষ্ট কালধারা অনুযায়ী আমাদের দৃশ্যাকাশে ঘুরছে , মেরুতারকাটি স্থির হয়ে আছে । এ স্থিরতাও আসলে চিরকালীন নয় , বরং সুদীর্ঘকালীন আর তা ৫১৬০ বছর । পাঁচ সহস্রাধিক বছর পরপর পৃথিবীর মেরুতারকা ক্রমাগতই পরিবর্তিত হয়ে আসছে। প্রায় ২০০০ বছর আগে আমাদের বর্তমান মেরুতারকারূপে ধ্রুবতারা (Alpha Ursa Minoris) প্রাক্তন মেরুতারকা প্রচেতার (Thuban) স্থলাভিষিক্তা হয়েছে । এ মেরুতারকার অয়নাংশ গণনায় অহনা গুহ [1] ঋগ্বেদের ৭ম মন্ডলস্থ ১৭শ সূক্তের ৫ম ঋকটির উল্লেখ ক'রে এর প্রাচীনতম ঋকের রচনাকাল নির্ধারণ ক'রেছে ৬২৪৫ বছর পূর্বের এক সময়কে (অর্থাৎ খ্রীপূ ৪২২৯) আর পরবর্তী দু'সহস্রাধিক বছরের দীর্ঘ সময়কালকে বর্তমান ঋগ্বেদ সংকলনের সাড়ে দশ হাজারাধিক পংক্তির রচনাকাল । বা. গ. তিলকের নাক্ষত্রিক গণনা এ সময়কালকে আরও দু'সহস্রাধিক বছরের প্রাচীনত্ব দিয়েছে [2]
আরো দেখুন
পাদটীকা
তথ্যসূত্র
বহির্সূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.