সুরুজ রঘুনাথ (জন্ম: ২২ মার্চ, ১৯৬৮) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চাগুয়ানাস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সুরুজ রঘুনাথ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চাগুয়ানাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ২২ মার্চ ১৯৬৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৭) | ৫ মার্চ ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ মার্চ ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯ - ২০০১ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত সুরুজ রঘুনাথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আক্রমণধর্মী ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের পক্ষে খেলেছেন।
প্রকৃতই আক্রমণধর্মী ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুরুজ রঘুনাথের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তবে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো থেকে আসার দুই বছর পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ এনে দেয়। ঐ মৌসুমে তিনি আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রিকেটে দুইটি শতরান ও দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদেরকে স্থানচ্যূত করতে পারেননি। হতাশার কবলে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, খেলায় ছন্দ হারান ও শারীরিক ভারসাম্যহীনতায় শেষের বছরগুলো অতিবাহিত করেন।
১৯৯৮ সালে হাত ভেঙ্গে ফেলেন। কেবলমাত্র ১৯৯৯ সালের আঞ্চলিক বুস্টা কাপ প্রতিযোগিতার প্রাথমিকপর্বে পাঁচ খেলার তিনটিতে অংশ নেন। তবে, শেষ চার ইনিংসের মধ্যে দুইটিতে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৩০। সর্বশেষ অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলাকালীন একই দিনে প্রথম টেস্টের জন্যে দল ঘোষণা করা হলেও শেরউইন ক্যাম্পবেলকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে রাখা হয়। তিনি ও ড্যারেন গঙ্গা প্রথম উইকেটে ৯৯ রান তুলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সুরুজ রঘুনাথ। সবগুলো টেস্টই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৫ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৩ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে কিংস্টনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
মার্চ, ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিলেও তেমন সফল হননি। তরুণ অবস্থায় পুলিশ ছিলেন। ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে কোন বন্দীকে সাথে না নেয়ার পক্ষপাতি তিনি। কিছু সময় আঞ্চলিক ক্রিকেটে জড়িয়েছিলেন ও ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ-দলের সফরে সীমিত সফলতা পান। ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে তার দৃষ্টিভঙ্গী সাধারণমানের ছিল। তাদের বিপক্ষে আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দাও নতুবা তারা তোমায় কুপোকাত করবে। গ্লেন ম্যাকগ্রাকে একবার তিনি কয়েকবার হুক শটের মাধ্যমে অর্ধ-শতরানের ইনিংসে নিয়ে যান। তবে, আইনের সাথে তার অতীতের সম্পৃক্ততা সত্ত্বেও তিনি অন্যের ভীতির পাত্র ছিলেন না। হুক ও কাটের মারের দিকেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন অধিক। এরজন্যে তাকে অবশ্য ভাগ্যের সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হতো। এছাড়াও, তার ফিল্ডিং বেশ বিশ্বস্ত ছিল।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.