সাভার উপজেলা
ঢাকা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঢাকা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাভার বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি রাজধানী শহর ঢাকা হতে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উত্তরে (গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে সড়ক পথের দূরত্ব) অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম বড় শহর এবং ঢাকা মেগাসিটির অন্তর্ভুক্ত এলাকা।[২][৩] সাভার বাংলাদেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ন উপজেলাগুলোর মধ্যে একটি। জনসংখ্যা অত্যধিক বেশি হওয়ায় দিন দিন এই অঞ্চল ক্রমাগত দূষিত ও বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সাভারে জনসংখ্যা ১৫ লক্ষাধিক। এছাড়া প্রচুর গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান থাকায় পরিবেশও দূষিত হচ্ছে দ্রুত।
সাভার | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে সাভার উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫২′৪৮″ উত্তর ৯০°১৬′৪৮″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ঢাকা জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮১ |
আসন | ঢাকা-১৯ ও ঢাকা-২ |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | উপজেলা পরিষদ (বিএনপি) |
• চেয়ারম্যান | খোরশেদ আলম |
আয়তন | |
• মোট | ২৮০.১২ বর্গকিমি (১০৮.১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৪,৪২,৮৮৫ পুরুষ ৭৬,৯১৭ এবং নারী ৬,৭৩,৭৬৮ |
• ক্রম | ঘনত্ব ৪৯৪৮ জন প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৮.০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৩৪০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৬ ৭২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
”বংশাবতীর পূর্বতীরে সর্বেশ্বর নগরী
বৈসে রাজা হরিশ্চন্দ্র জিনি সুরপুরী।”
ছড়াটিতে বংশাবতী বলতে আজকের বংশী ও সেকালের বংশাবতী নদীকেই বুঝাচ্ছে। যার পূর্বতীরে সর্বেশ্বর নগরী। এই নগরীর রাজা হরিশ্চন্দ্র। এ সময় তাঁর রাজ্য ছিল সুখ শান্তিতে ভরপুর। এই সুখময় রাজ্য সর্বেশ্বর নগরীর অপভ্রংশই আজকের সাভার। আবার কারো কারো মতে ইতিহাস খ্যাত পাল বংশীয় রাজা হরিশ্চন্দ্রের সর্বেশ্বর রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল সম্ভার এবং সম্ভার নাম থেকেই সাভার নামের উৎপত্তি। সাভার অতি প্রাচীন স্থলভূমি। ঢাকার ইতিহাসে দেখা যায় ধলেশ্বরী এবং বংশী নদীর সঙ্গম স্থলে বংশী নদীর পূর্বতটে ঢাকা থেকে ১৩ মাইল বায়ু কোনে অবস্থিত সাভার। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত এই স্থান সম্ভাগ বা সম্ভাস প্রদেশের রাজধানী ছিল। ঢাকার ধামরাইয়ের উত্তর পশ্চিম কোনে সম্ভাগ নামে যে ক্ষুদ্র পল্লী আছে তা আজো সম্ভাগ প্রদেশের অতীত স্মৃতি বহন করে। বৌদ্ধ নৃপতিগণের শাসনাধীনে প্রাচীন সম্ভাগ তার বিপুল বৈভব ও প্রতাপে পরিপূর্ণ ছিল। সাভার বা সম্ভার নামের পূর্ব কথন বলে অনেক ঐতিহাসিক এই মতের সমর্থন করেন।
যেহেতু বৌদ্ধ আমলের অসংখ্য বৌদ্ধ ধ্বংসস্তুপ ও বৌদ্ধ মূর্তি সাভার এলাকার মাটির নিচে আবিস্কৃত হয়েছে এবং আজও হচ্ছে সেহেতু ধরে নেয়া যায় যে বৌদ্ধ শাসনামলে এই শহর গড়ে উঠেছিল। গৌতমবুদ্ধ অথবা মৌয্য বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট আশোকের সময়ও যদি এই রাজ্যের পত্তন হয়ে থাকে তবুও আজকের সাভারের বয়স দুই হাজার দুইশত বছরের অধিক। হরিশচন্দ্র পালই রাজা হরিশচন্দ্র নামে সাভারের সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাজা হরিশচন্দ্রের রাজবাড়ী সাভারের পূর্বপাশে রাজাশন গ্রামের অবহেলিত এক কোনে মাটির নিচে চাপা পরে আছে। রাজাশনের আশপাশে লুপ্তপ্রায় বহু দীঘি, বৌদ্ধ স্থাপত্যের নিদর্শন রাজোদ্যান, খাল, পরিখা আজও কালের সাক্ষী হয়ে বিরাজমান। রাজার সেনানিবাস কোঠাবাড়ী সাভারের উত্তর পাশে অবস্থিত। রাজা হরিশ্চন্দ্রের এক রানী কর্ণবতীর নামে কর্ণপাড়া এবং অপর মহিষী ফুলেশ্বরীর নামে রাজফুলবাড়ীয়া সাভারের দক্ষিণে এক মাইল অন্তর অবস্থিত।
দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিজয় সেন পাল সাম্রাজ্যকে সমূলে ধ্বংস করে বাংলার সিংহাসনে বসেন। তার অত্যাচারে বৌদ্ধরা হয় মৃত্যবরণ করেন নতুবা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। কথিত মতে প্রাচীন সম্ভার রাজ্য ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এ সময় এ স্থান স্বর্বেশ্বর নগরী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং ধর্মান্তরিত অবস্থায় পাল বংশীয় লোকেরাই সাভার শাসন করতে থাকে।
ময়নামতির তান্ত্রিক মহারানীর পুত্র গোপীনাথের সঙ্গে হরিশচন্দ্র রাজার জেষ্ঠা কন্যা অনুদার বিয়ে এবং কনিষ্ঠ কন্যা পদুনাকে যৌতুক প্রদানের গল্প কাহিনী সাভারের অনেকের কাছেই শোনা যায়। হরিশচন্দ্রের দ্বাদশ পুরুষ শিবচন্দ্র রায় তার শেষ জীবন কাশী গয়ায় অতিবাহিত করে প্রয়াত হন। শিবচন্দ্রের একাদশ পুরুষ তরুরাজ খাং এর প্রথম ও দ্বিতীয় পুত্র শুভরাজ ও যুবরাজ হুগলীতে চলে যান। তৃতীয় ও চতুর্থ পুত্র বুদ্ধিমন্ত ও ভাগ্যমন্ত পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাদের এক বংশধর সিদ্ধ পুরুষ খ্যাতি লাভ করেন এবং তার সমাধী কোন্ডা গ্রামে খন্দকারের দরগা নামে আজও বিদ্যমান।
আরব উপত্যকায় সমুদ্র উপকূলবর্তী সাবাহ রাজ্যের (অর্থাৎ আজকের ইয়েমেন) প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে ব্যবসা বাণিজ্যে বিশ্বজোড়া নাম ছিল। গ্রিক ঐতিহাসিকদের বিবরণিতে জানা যায় সাবাহর ব্যবসায়ীরা চীন, জাপান এবং কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করতো। সেই সময় আজকের সাভার ছিল সমুদ্র উপকূলবর্তী নগর। আসা যাওয়ার পথে সাবাহর ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যতরীর নোঙ্গর ফেলতো সাভারের উপকূলে। সে সময় সাভার 'সাবাহর' নামে পরিচিতি লাভ করে। 'সাবাহর' অর্থাৎ স্বয়ম্ভর নগরী যেখানে সবকিছু পাওয়া যায়। সম্ভার, সভর, সম্ভোগ, সাবাহ-উর সব কয়টি নামের অর্থ সাদৃশ্যপূর্ণ অর্থাৎ স্বয়ম্ভর, স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্ননির্ভরশীল। তাই ইতিহাস থেকে বলা যায় সাভার অতি প্রাচীনকাল থেকেই সমৃদ্ধ এক অঞ্চল ছিল।
সাভারে সর্বপ্রথম শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা করেন রাখালচন্দ্র সাহা। তিনি তাঁর পিতার নামে অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মাতার নামে ছেলেদের থাকার বোর্ডিং, কাকার নামে মহেশচন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সাভারের দানবীর নামে পরিচিত।[৩]
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকার ঘোষবাগ-গঙ্গাবাগে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন একদল মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকে নিহত হয়। আত্মরক্ষার্থে অন্যরা পালিয়ে যায়। শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয় সাভারকে। ওই যুদ্ধে গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটু নামের এক অকুতোভয় কিশোর শহীদ হন। সাভার ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। বাংলাদেশ আর্মি তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।[৪][৫]
জাতীয় স্মৃতি সৌধের সম্মুখে অবস্থিত গণ-সমাধি, সাভার ডেইরি ফার্ম এর ফটকে শহীদ স্মৃতি সৌধ, সংশপ্তক এবং অমর একুশে ভাস্কর্য (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস)।
সাভার ২৩.৮৫৮৩° উত্তর এবং ৯০.২৬৬৭° পূর্বে অবস্থিত। এখানে প্রায় ৬৬,৯৫৬ টি পরিবার বসবাস করছে এবং এর সামগ্রিক আয়তন হচ্ছে ২৮০.১২ বর্গ কিলোমিটার। এটি উত্তরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা ও গাজীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে মিরপুর থানা, মোহাম্মদপুর থানা, আদাবর থানা, দার-উস-সালাম থানা, পল্লবী থানা ও তুরাগ থানা, পশ্চিমে ধামরাই উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা। সাভারের ভূমি প্লেইস্টোসিন সময়সীমার পাললিক মাটি দ্বারা গঠিত। ভূমির উচ্চতা পূর্ব থেকে পশ্চিমে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাভারের দক্ষিণাংশ বংশাই এবং ধলেশ্বরী নদীর পলল দ্বারা গঠিত। এখানকার প্রধান নদীসমূহ হচ্ছে বংশী নদী, তুরাগ নদী ও ধলেশ্বরী নদী। এছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদী ও গাজীখালী নদী নামে আরো দুটি নদী রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও ট্যানারী শিল্পের বর্জ্যের কারণে নদীগুলো মারাত্বকভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে এবং দখলের কারণে এসব নদীর অস্তিত্ব ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন।
এখানে ১০,৫৫১.১৮ হেক্টর পতিত জমি ছাড়াও মোট আবাদি জমির পরিমাণ হচ্ছে ১৬,৭৪৫.৭১ হেক্টর।
সাভার থানা ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৮১ সালে একটি উপজেলায় পরিণত হয়। বর্তমানে সাভার উপজেলা ২ টি থানায় বিভক্ত; যার একটি হচ্ছে সাভার মডেল থানা এবং অন্যটি আশুলিয়া থানা। এ উপজেলার একমাত্র পৌরসভা হল সাভার পৌরসভা এবং ইউনিয়নগুলো হল :
ইউনিয়নের নাম | আয়তন | ভোটার সংখ্যা | অফিস ঠিকানা/ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র |
---|---|---|---|
শিমুলিয়া | ৩৪.৬৬ (বর্গ কি:মি:) | ৫৩,১৬০ জন | গোহাইল বাড়ী, শিমুলিয়া, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা |
ধামসোনা | ৩২.৭৭ (বর্গ কি:মি:) | ১,৭১,৪৫৫ জন | বলিভদ্র বাজার, ধামসোনা, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা |
পাথালিয়া | ২৮.৭৪ (বর্গ কি:মি:) | ৫৩,৫৬৮ জন | কুরগাঁও (নতুন পাড়া), সোসাইটি রোড, নবীনগর, সাভার, ঢাকা |
ইয়ারপুর | ২৬.৩৫ (বর্গ কি:মি:) | ৭৮,২৪২ জন | নরসিংহপুর, জিরাবো, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা |
আশুলিয়া | ২৬.১০ (বর্গ কি:মি:) | ৫৯,৫৮৮ জন | আশুলিয়া (আশুলিয়া স্কুল এন্ড কলাজ সংলগ্ন), সাভার, ঢাকা |
সাভার | ১০.২০ (বর্গ কি:মি:) | ২৬,১৫৪ জন | দেওগাঁও, রাজাশন, সাভার, ঢাকা |
বিরুলিয়া | ৩০.১৪ (বর্গ কি:মি:) | ২১,৫৯২ জন | আকরান, বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকা |
বনগাঁও | ১৮.০৫ (বর্গ কি:মি:) | ১৯,৮৫০ জন | নগর কোন্ডা, সাভার, ঢাকা |
তেঁতুলঝোড়া | ১৫.৫৫ (বর্গ কি:মি:) | ৪৯,৩৮০ জন | তেঁতুলঝোড়া, রাজফুলবাড়ীয়া, সাভার, ঢাকা |
ভাকুর্তা | ২১.০৬ (বর্গ কি:মি:) | ২৪,৯৯৬ জন | হিন্দু ভাকুর্তা, ভাকুর্তা বাজার, সাভার, ঢাকা |
আমিনবাজার | ১০.৯৪ (বর্গ কি:মি:) | ২০,৪২২ জন | আমিনবাজার, সাভার, ঢাকা |
কাউন্দিয়া | ১১.৪৭ (বর্গ কি:মি:) | ১৫,১৮৩ জন | নয়া বাজার, কাউন্দিয়া, সাভার, ঢাকা |
উপজেলার গেন্ডা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পূর্ব পাশে সাভার পৌরসভার কার্যালয় এবং পশ্চিম পাশে উপজেলা কার্যালয় রয়েছে যা সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
নাম | পদবী ও ঠিকানা |
---|---|
মঞ্জুরুল আলম রাজীব | উপজেলা চেয়ারম্যান, সাভার, ঢাকা |
মোঃ শাহাদাৎ হোসেন খান | উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান (উপজেলা পরিষদের সদস্য),সাভার ঢাকা |
ইয়াসমিন আক্তার (সুমি) | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (উপজেলা পরিষদের সদস্য), সাভার, ঢাকা |
রাহুল চন্দ | উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাভার, ঢাকা |
এই উপজেলায় নির্বাচনী এলাকা রয়েছে ০২ টি; (ক) ১৯২, ঢাকা-১৯, (উপজেলার মোট ০৯ টি ইউনিয়ন) এবং (খ) ১৭৫, ঢাকা-২, (এর সাথে উপজেলার ০৩ টি ইউনিয়ন)
গাবতলী থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে বাসস্ট্যান্ড এবং বাজার রয়েছে। এখানে মার্কেটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাভার সিটি সেন্টার, সাভার নিউমার্কেট,মজিদ ম্যানসন, জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা শপিং কমপ্লেক্স, ভরসা সুপার মার্কেট,আমিন বাজার মসজিদ মার্কেট,চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট, উৎসব প্লাজা, কোরাইশী সুপার মার্কেট, রাজ্জাক প্লাজা, মাহাতাব প্লাজা, ইউসুফ টাউয়ার, দিলখুশা সুপার মার্কেট প্রভৃতি। এর মধ্যে সাভার সিটি সেন্টার, সাভার নিউ মার্কেট এবং রাজ্জাক প্লাজা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১৪,৪২,৮৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৬৯,১১৭ জন এবং মহিলা ৬,৭৩,৬৬৮ জন। উপজেলার শিক্ষার হার ৬৮%। মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমান ৯১.৩৮%, হিন্দু ৭.৭৪% এবং অন্যান্য ০.৮৮%।[৩] সাভারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঢাকা মেগাসিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ [২]। এ উপজেলার প্রধান পেশাসমূহ হলঃ
পেশার নাম | শতকরা হার |
---|---|
কৃষি | ২৪.৩৪ % |
কৃষি শ্রমিক | ১২.৪৮ % |
অকৃষি | ৪.৪৪ % |
গবাদি পশু প্রজনন, বনরক্ষণ বিদ্যা এবং মাছ ধরা | ১.৯০ % |
শিল্প | ১.৩৭ % |
বাণিজ্য | ১৭.৩৫ % |
সেবা | ২০.৬৮ % |
নির্মাণ | ১.৬৬ % |
পরিবহন | ৩.৯৬ % |
অন্যান্য | ১১.৪৬ % |
মসজিদ ৮৮২ টি, হিন্দু মন্দির ৭৪ টি এবং গির্জা ৮ টি।[৩] এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
উপজেলায় অসংখ্য স্কুল ও কলেজ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলঃ
সাভারে অবস্থিত সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজ্ড সিআরপির প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম চালানোর ১১ বছর পর ১৯৯০ সালে সিআরপি সাভারে চলে আসে। সিআরপিতে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য গাছপালা এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফুল বিভিন্ন ঋতুতে সিআরপিকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সুশোভিত করে রাখে। এখানে খেলাধুলা এবং আমোদ প্রমোদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হাসপাতালের রোগী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং Bangladesh Health Professions Institute (BHPI) এর ছাত্র-ছাত্রীরা উপভোগ করে। এছাড়া বহুমুখী কার্যের জন্য নিযু্ক্ত সভাগৃহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলাপ-আলোচনা, সভা, খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্ট এবং রোগীদের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম | সংখ্যা[৬] |
---|---|
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স | ১ টি |
মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সাভার ক্যান্টনমেন্ট) | ১ টি |
কোরিয়া বাংলাদেশ বন্ধুত্ব হাসপাতাল | ১ টি |
পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র | ৭ টি |
উপগ্রহ ক্লিনিক | ২ টি |
বেসরকারী ক্লিনিক | ২১ টি |
গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ ও | ১ |
সাভার থেকে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পত্রিকা হল:
সাভারের গুরুত্বপূর্ণ এনজিওসমূহ হচ্ছে ব্র্যাক (brac), আশা (Asa), টেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (TMSS), প্রশিকা (Proshika), গ্রামীণ ব্যাংক (Grameen Bank), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র (Ganasastha Kendra), ওয়াল্ড ভিশন (World Vision), স্বনির্ভর বাংলাদেশ (Swanirvor Bangladesh), ভিইআরসি (VERC), পল্লী মঙ্গল কর্মসূচী (Palli Mangal Karmasuchi), সিডিডি (CDD), আদেশ (Adesh), এইচডিডি (HDD) ইত্যাদি।
সাভার থেকে কাঁঠাল, পেঁপে, ফুল, চারা, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, রূপান্তরিত কাপড়, ছোপানো, ঔষধ, তৈরি পোশাক প্রস্তুত, ইলেকট্রনিক্স এবং বৈদ্যুতিক পণ্য, জুতা, ইট, সন্দেশ ইত্যাদি রপ্তানী করা হয়।[যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]
সাভারে হাট এবং বাজারের সংখ্যা ১৪ টি। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বাজার হচ্ছে- সাভার বাজার, নবীনগর বাজার, আমিন বাজার, বলিভাদ্র এবং বগাবাড়ী বাজার। উল্ল্যেখযোগ্য হাট হচ্ছে- আশুলিয়া, সাভার, শিমুলিয়া, কাঠগড়া, সাদুল্লাপুর এবং ভাকুরার হাট। মেলা হয় ৬ টি স্থানে- বুড়ির মেলা (গোহাইলবাড়ী, শিমুলিয়া) দারোগালি বয়াতি মেলা (নয়ারহাট), বাহাত্তর প্রহার মেলা (সাভার), ঘোড়া পীরের মেলা (নালাম), মুহার্রাম মেলা (কাৎলাপুর), পৌষ মেলা (ধামসোনা)।
সমবায় সমিতি | ৮১ টি |
শিশু সংগঠন | ১ টি |
চলচ্চিত্র সমাজ | ৩ টি |
সিনেমা হল | ৪ টি |
নাট্যদল | ৫ টি |
থিয়েটার স্টেজ | ১ টি |
সঙ্গীত কেন্দ্র | ৩ টি |
অনাথ আশ্রম | ৫ টি |
অপেরা পার্টি | ১ টি |
মহিলা সংঘ | ৩ টি |
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ | ১ টি |
এ্যামনেস্টি সংস্থা | ২ টি |
গলফ ক্লাব | ১ টি |
চিড়িয়াখানা | ১ টি |
বিনোদন পার্ক | ২ টি (ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক) |
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন | ১ টি (স্বদল বাংলাদেশ) |
প্রেসক্লাব | ১ টি (সাভার প্রেসক্লাব) |
সাংবাদিক সমিতি | ১ টি (ঢাকা সাংবাদিক সমিতি) |
১. বিলাস সিনেমা হল : এটি বাজার রোডে অবস্থিত। এটি সাভার বাসস্ট্যান্ড হতে কিছুটা পশ্চিমে অবস্থান করছে।
২. সাভার সেনা অডিটরিয়াম : এই সিনেমা হলটি নবীনগরে অবস্থান করছে।
৩. চন্দ্রিমা সিনেমা হল: এই সিনেমা হলটি ই.পি.জেড এ অবস্থান করছে।
সাভারের পোড়া বাড়ীতে প্রতিদিন ছোট-বড় নানা জাতের সাপ বেচাকেনার হাট বসে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশই বেদে সম্প্রদায়ের। ময়মনসিংহ, শেরপুর ও মধুপুরের পাহাড়ি এলাকার গারো এবং উত্তরাঞ্চলের সাঁওতালরাও বাড়তি রোজগারের জন্য এ হাটে সাপ বিক্রি করতে আসেন। মাঝেমধ্যে বিদেশিরাও আসেন সাপ কিনতে।
এ হাটে ১৫ থেকে ২০ জন বেদে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টি বিভিন্ন জাতের সাপ বিক্রি করেন। গোখরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দাঁড়াশ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, অজগর এক হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। লাউডগা, কেউটে, কালনাগিনী, কাটা দুবল ও শঙ্খিনী ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে দাম বেশ উঠা-নামা করে। তবে বর্তমানে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার অভাবে বেদেরা পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
নবীনগর, জাহাঙ্গীরনগর, চাঁপাইন, সি.আর.পি, দিলখুশাবাগ, ডগরমোড়া, কাঠগড়া, জামগড়া, আকরাইন, রাজাশন, ইমান্দিপুর, শাহীবাগ, রেডিও কলোনী, সাভার বাসস্ট্যান্ড,মজিদপুর, পাকিজা, ব্যাংক কলোনী, গেন্ডা, থানা স্ট্যান্ড, উলাইল, ব্যাংক টাউন, ফুলবাড়িয়া, হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, আশুলিয়া, আমিন বাজার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.