রেনেসাঁ মানবতাবাদ হচ্ছে ধ্রুপদী সভ্যতার পাঠ যা প্রথমে ইতালিতে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে পশ্চিম সমাজে ১৪, ১৫ এবং ১৬ শতকে ছড়িয়ে পড়ে। রেনেসাঁ মানবতাবাদ পরিভাষাটি উদ্ভব হয়েছে রেনেসাঁ (রাইনাসিমেন্টো, "পুনর্জন্ম") এবং "মানবতাবাদ" (যদিও বর্তমান সময়ে মানবতাবাদের ভিন্ন অর্থ হয় কিন্তু রেনেসাঁ মানবতাবাদের প্রকৃত অর্থ আধুনিক মানবতাবাদ থেকে ভিন্ন ছিল) থেকে[1]

Thumb
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ভিটুরিভিয়ান মানব (১৪৯০)

রেনেসাঁ মানবতাবাদ হচ্ছে মধ্যযুগীয় সংকীর্ণ পণ্ডিতপনার বিরুদ্ধে একতার প্রতিক্রিয়ারুপ সাড়া।[2] মানবতাবাদীরা চেয়েছেন নাগরিকত্ব যাতে গড়ে উঠে; এর ফলে বেসামরিক জীবনে তারা তাদের স্বাধীন মতের প্রতিফলন ঘটাতে পারবে, এবং অন্যদের প্ররোচিত করে মানবিক গুণসম্পন্ননির্মল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এইবিষয়টি মানবতাপাঠের অন্তর্গত। যা আজ মানবিকতা নামে পরিচিত, এখানে ব্যাকরণ, অলঙ্করাশাস্ত্র, ইতিহাস, কবিতানীতিশাস্ত্র আলোচিত হয়।

এ আন্দোলন সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন

পূর্বের ইতালীয় মানবতাবাদীরা মধ্যযুগীয় ব্যাকরণিক ও অলংকার শাস্ত্রের ঐতিহ্যকে ব্যাখ্যা করেছে; যা শুধুমাত্র পুরাতন ট্রিভিয়াম হিসেবে নয় বরং এটি বিস্তৃত হয়েছে নতুন নামে (মানবতাবাদের পাঠ)। বিদ্যালয়, কলেজ গুলোতে এর বিষয়বস্তু, সুযোগ, পাঠ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবতাবাদের পাঠে যুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি, এখানে ঐতিহ্যবাহী ব্যকরণ শাস্ত্র, অলংকারশাস্র, ইতিহাস, গ্রিক ও নৈতিক দর্শন, কাব্য, অলংকারশাস্ত্র ও ব্যাকরণের পরবর্তী পাঠও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।[3]

মানবতাবাদ ছিল, সর্বব্যাপী থাকা সাংস্কৃতিক অবস্থা এবং এর কার্যক্রম শুধুমাত্র ক্ষুদ্র অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ধ্রুপদী প্রাচীনত্বের নৈতিক দর্শন, সাহিত্যিক পরম্পরা ও সংস্কৃতিতে এর পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল। মানবতাবাদের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো ফ্লোরেন্স, নেপাল, রোম, ভেনিস, গিনোয়া, মানতুয়া, ফেরারা, ও আরবিনোতে অবস্থিত।

সুচনা

প্রাচীন পান্ডুলিপি যারা সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন পেট্রাচ, গিওভানি বোকাইকো, কোলুক্কিও সালুটাতি, এবং পোগিও ব্রাকিওলিনি। এই চারজনের মধ্যে পেট্রাচকে বলা হয় "মানবতাবাদের জনক"। কারণ তিনি গ্রীক এবং রোমান স্ক্রোলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। বেশিরভাগই ক্যাথলিক চার্চের জন্য ও পবিত্র অধিকারের জন্য কাজ করছেন।

১৫ শতকের মধ্যভাগে ইতালিতে মানবতাবাদি শিক্ষার অনেক প্রসার ঘটে। উচ্চ শ্রেণীর মানুষরা এ মানবতাবাদি শিক্ষা গ্রহণ করেন। তারা অতিরিক্ত সংযোজন হিসেবে গ্রহণ করেছেন বিশেষজ্ঞ পাঠও। ক্যাথলিক চার্চের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঠাগারের জন্য এ মানবতাবাদি শিক্ষার উন্মেষ ঘটে। গ্রিক প্রবাদ থেকে ধর্মান্তরিত ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল ব্যাসিলোস বেসারিওন যাকে পোপ, হিসেবে বিবেচনা করা হত; তিনি তৎকালীন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৫ এবং ১৬ শতকে অনেক মানবতাবাদী পোপের উথ্থান ঘটেছিল।[4] তাদের মধ্যে একজন এইনিয়াস সিলভিয়াস পিকোলমিনি (পোপ পিয়াস দ্বিতীয়) ছিলেন প্রখ্যাত গ্রন্থাকার এবং একটি বই লিখেছিলেন যার নাম The Education of Boys (ছেলেদের জন্য শিক্ষা)[5] এই বিষয়গুলো মানবতাবাদী আন্দোলনের সুচনা করেছিল এবং যারা এর চর্চা করত; তাদের বলা হত মানবতাবাদী।

ক্রুসেডারদের কন্টান্টিপোলের লুণ্ঠন ও ১৪৫৩ তে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনের পর বাইজেন্টাইন বিশেষজ্ঞদের গ্রিসে স্থানান্তরের ফলে প্রাচীন গ্রিকরোমান সাহিত্য আরো উন্নত হয়ে উঠে; সেখানে লাগে বিজ্ঞানের ছোঁয়া।[6][7] এখানে অন্তর্ভুক্ত ছিল গেমিস্টুস প্লেথো, জর্জ অব ট্রেবিজন্ড, থিওডোরস গাজা এবং জন আরগিরোপুলোস

ইনকুনাবল যুগের (১৫০১ এ পুর্বে বই যদি প্রিন্ট করা হত) পরে বৃহত্তর পরিসরে প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে সাথে ইটালীয় মানবতাবাদ উত্তরদিক থেকে ছড়িয়ে গিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, নিম্ন দেশগুলো এবং ইংল্যান্ডেও। এর ফলে উন্মেষ ঘটে প্রোটোস্ট্যান্ট রিফর্মেশনের (রাজনীতি থেকে ধর্ম পৃথকীকরণ)। ফ্রান্সে, প্রাক মানবতাবাদী গুইলিয়াম বুডে (১৪৬৭-১৫৪০)ভাষাতত্ব প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে প্রাচীন মুদ্রাবৈধ ইতিহাসের উপর গবেষণা করে বিস্তৃতভাবে জাস্টিনিয়ান কোডের উপর ভাষ্য দিয়েছেন। বুডে সম্পূর্ণভাবে অভিজাত স্বৈরতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন, তিনি নাগরিক জীবনে সক্রিয় ছিলেন। ফ্রানকোইস প্রথম এর কুটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও কলেজ দি ফ্রান্স এর প্রতিষ্ঠাতাকালীন সময়ে সাহায্য করেছেন। পাশাপাশি, ফ্রানকোইস প্রথম এর বোন মারগুয়েরিট ডি নাভারি একজন কবি, ঔপন্যাসিকধর্মীয় অতীন্দ্রিয়বাদী ছিলেন।[8] তিনি তার চারপাশের অনেক স্বদেশীয় লেখক যেমনঃ ক্লিমেন্ট ম্যারোট, পিয়েরে ডি রোনসার্ড, ও ফ্রাংকোইস রেবেলের কবিতা সংগ্রহ করেছেন।

রেনেসাঁর সময় প্যাগানিজম এবং খ্রিষ্টানত্ব

অনেক মানবতাবাদী পাদ্রী ছিলেন। বিশেষ করে পোপ পায়াস দ্বিতীয়, সিক্সটাস ৪র্থলিও এক্স উল্লেখযোগ্য[9][10] এবং তারা গীর্জার জ্যেষ্ঠদের দ্বারা পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন।[11] খ্রিস্ট ধর্মীয় পুনর্গঠনের পূর্বে ও পরে অধিক সংখ্যক মানবতাবাদী বাইবেল ও পুর্বের খ্রিষ্ঠান ধর্মগ্রন্থের অনুবাদের চেষ্টা করেছেন; যার দ্বারা ডেসিডেরিয়াস, জ্যাকুয়াস লিফেভ্রে, উইলিয়াম গ্রোকিন, সুইডিশ বিশপ মাগনুস গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

ক্যাম্ব্রিজ ডিকশনারী অব ফিলোসফি প্রাচীন লেখা থেকে যৌক্তিকতাবাদকে ব্যাখ্যা করায় তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পরে মানবতাবাদী বিশেষজ্ঞদের উপর:

এখানে কেওই মানবমনের উপর প্রভাব বিস্তার করা অতীন্দ্রিয় শক্তির উপর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য দেখায় না। সকল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখানে মানবতা, যা স্বতন্ত্র্যভাবে সক্ষমতা, মেধা, দুশ্চিন্তা, সমস্যা, সম্ভাবনার আধার। এটা বলা হত যে, মধ্যযুগীয় বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত জ্ঞানী ছিলেন না, তারা হাটু গেড়ে বসে থাকতেন। কিন্তু নব গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, তারা দাঁড়ানোর সাহস করেছিলেন এবং প্রকৃত খ্যাতিতে উত্থিত হয়েছিলেন।[12]

ধ্রুপদী দর্শন ও বিজ্ঞানের পুনঃআবিষ্কারের ফলে, ঐতিহ্যগত ধর্মীয় বিশ্বাস পরিবর্তনেও লেগেছিল অবশ্যম্ভাবী হাওয়া। ১৪১৭ তে উদাহরণস্বরুপ পগিও ব্রাকিওলনি আবিষ্কার করেন লুক্রিটিয়াসের পাণ্ডুলিপি ডি রিরাম নাটুরা যা শতবছর ধরে চোখের আড়ালে ছিল। এখানে এপিকিউরান মতবাদের ব্যাখ্যা ছিল, যদিও সেসময় রেনেসাঁর বিশেষজ্ঞরা লুক্রিটিয়াসের এবিষয়ের বিশেষজ্ঞরা আলোকপাত করেন নি, তারা সীমাবদ্ধ থেকেছিল লুক্রিটিয়াসের ব্যাকরণ ও অলঙ্কার শাস্ত্রের উপর।[13] লরেঞ্জো ভাল্লা এপিকিরেনিজমের বিপক্ষে মতবাদ দিয়েছিলেন।[14] ভাল্লার এই বিপক্ষবাদ অথবা অভিযোজন এরাসমাসের দ্য এপিকিউরিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রিন্স অব হিউম্যানিটিজে বলা হয়;

যদি মানুষ আনন্দের সাথে বাচঁতে চায়; তবে তারা প্রকৃত এপকিউরিয়ান, তবে কেও ধার্মিক ও স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করতে পারলে, তারা প্রকৃত এপিকিউরিয়ান হতেই পারে না এবং এই নামটি যদি আমাদের বিরক্ত করে; তবে কিছুই করার নেই কারণ খ্রিষ্ঠান ধর্মের শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতা যীশু নিজেই এপিকিউরিয়ান ছিলেন। গ্রিক ভাষায় এপিকিউরিয়ানের অর্থ সাহায্যকারী। যখন প্রকৃতির সকল নিয়ম পাপে ভর্তি ছিল, যখন মুসার নিয়ম নিরাময় করার বদলে উদ্দীপ্ত করছিল; যখন শয়তান বিশ্বকে প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই শাসন করছিল, মানবতার বিনাস সাধন করছিল, সে সময় যীশু একাই ছিলেন। যারা বোকার মত মনে করে, যীশু অনেক বেশি দুঃখপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন এবং আমাদের অন্ধকার পূর্ণ জীবনের দিকে তিনি আহ্বান করেছেন। তার সম্পূর্ণ ভুল। পক্ষান্তরে, যীশু আমাদের সবচেয়ে আনন্দপূর্ণ জীবনের সন্ধান দিয়েছেন এবং তাই প্রকৃত সুখ।[15]

এই প্যারার ব্যাখ্যাকে মানবতাবাদীরা দেখেছে প্যাগান ধ্রুপদী কাজের ন্যায়, দেখা যাচ্ছে, এপিকিউরাসের দর্শন খ্রিষ্ঠানত্বের ব্যাখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মারসিলো ফিচিনোর (প্লেটোর কাজের উপর ল্যাটিন ভাষায় তার অনুবাদ ১৯ শতকে ব্যবহৃত হত) নব্য রেনেসীয় প্লেটোতাত্ত্বিক; পুর্বের গীর্জার ফাদার ল্যাক্টান্টিয়াসসেইন্ট অগাস্টিনের পরামর্শ অনুসারে প্লেটোতত্ত্বকে খ্রিষ্ঠানত্বের সাথে একতাবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। একই আদর্শে বলীয়ান হয়ে পিকো ডেলা মিরানডোলা (তিনি মানবতাবাদী ছিলেন না, [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] বরং এরিষ্টটলীয় ছিলেন, যিনি প্যারিসে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন) সকল ধর্মের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার কাজ গীর্জা দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল।

ইতিহাসবেত্তা স্টিভেন ক্রেরিস বিস্তৃত ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন (১৯ শতকের সুইস ইতিহাসবেত্তা জ্যাকব বুরকচ্যাট থেকে উদ্ভূত), তিনি লিখেছেন:

১৪ শতক থেকে সতের শতক পর্যন্ত প্রত্যেকের কাজের স্বাধীনতা ছিল। উত্তর ইতালী পুর্বের নানা বৈচিত্র্যময় প্রথার সংস্পর্শে এসেছিল। ফলে ধীরে ধীরে তাদের রুচি ও পোশাকে সে অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। দান্তের লেখায় ও বিশেষত পেট্রাচের মতবাদে মাচিয়াভেলি বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্র অভিব্যক্তি প্রকাশের স্বাধীনতার উপর জোর দিয়েছেন। মন্টাইজিনের প্রবন্ধে প্রত্যেকের স্বতন্ত্র জীবনের দৃষ্টিকোণ সাহিত্য ও দর্শনের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য ও নির্মলতা লাভ করেছে।[16]

রেনেসাঁ মানবাধিকারের দুইটা উল্লেখযোগ্য প্রবণতা হলো রেনেসাঁ নব প্লেটোতত্ত্ব এবং হার্মাটিসিজম, প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব নিকোলাস অব কুইয়েস, জিওদার্নো ব্রুনো, কর্নেলিয়াস এগ্রিপ্পা, ক্যাম্পেনাল্লাপিকো ডেল্লা মিরান্ডোলার মত মানুষদের দ্বারা তা ঋগ্ধ। এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে হার্মাটিসিজমের পশ্চিমা ভাবনায় বেশ ভালো প্রভাব পড়েছিল। যা পশ্চিমা ভাবনায় তীব্রভাবে ছড়িয়ে পরে পশ্চিমা এসোটেরিচিজমের ধর্মতত্ত্বনয়া যুগের ভাবনার মত আন্দোলনের সূচনা করেছিল।[17] ফ্রাঙ্কোইস ইয়েটসের বিতর্কিত হলেও "ইয়েট থেইসিসের" সাথে রেনেসাঁর গুঢ় তত্ত্ব এমনভাবে সংযুক্ত হয়েছিল, যা বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।

১৬ শতকের সময় যদিও মানবতাবাদীরা তাদের বৃত্তি ব্যবহার করে গীর্জাকেই সেবা দিচ্ছিল, এবং ধর্মীয় পরিবেশে প্রটোস্ট্যান্ট রিফর্মেশনের উদ্ভব হয়, ঠিক এর প্রতিক্রিয়ায় এর বিপরীত কাউন্টার রিফর্মেশনের উদ্ভব হয়, যা খুব সতর্কতার সাথে ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্বকে নীরবে প্রটোস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের ন্যায় প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।[18] যাইহোক, ফিলিপ মেলানছিটন, উলরিচ জিওয়াংলি, জন ক্যালভিনউইলিয়াম টিয়ানডেলের মত মানবতাবাদীরা পুনর্জাগরণে অংশগ্রহণ করেন ও এর প্রধানের দায়িত্ব কাধেঁ তুলে নেন।

কাউন্সিল অব ট্রেন্ট (১৫৪৫-১৫৬৩) কাউন্টার রিফর্মেশন প্রত্যবর্তন করে, বিশেষায়িত দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্ব কঠোরভাবে চাপিয়ে দেয়। কিছু মানবতাবাদী, এমনকি এরাসমাসের মত মধ্যপন্থী ক্যাথলিক, গীর্জার সমালোচনার জন্য ধর্মদ্রোহী ঘোষিত হবার ঝুঁকিতে ছিল।[19]

রেনেসাঁর ইতিহাসবেত্তা স্যার জন হালে আধুনিক মানবতাবাদ ও রেনেসাঁর মানবতাবাদ যেন একত্রিত না করা হয়; সে বিষয়ে সতর্ক করেনঃ "রেনেসাঁর মানবতাবাদকে যে কোনোভাবে যৌক্তিকতাবাদীয় (নিধার্মিকতা) মানবতাবাদ থেকে স্বাধীন রাখতে হবে.....অন্যথায় রেনেসাঁর মানবতাবাদের ভুল অর্থ বের হবে.... যদি আধুনিক মানকবতাবাদ কে রেনেসাঁর মানবতাবাদের সাথে মিলিয়ে রেনেসাঁকে নাস্তিকতার সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে খ্রিষ্ঠানত্ত্বের শিক্ষার্থীরা ধৈর্যশীলভাবে এটা দেখাতে সক্ষম হবে, তৎকালীন জ্ঞান ছিল, প্রাচীন স্রষ্টার দ্বারা অনুপ্রাণিত জ্ঞান; আর মানবতাবাদও তার বিপক্ষে ছিল না"[20]

আরও দেখুন

টেমপ্লেট:Humanism

  • থমাস মুর
  • রেনেসাঁতে গ্রিক স্কলার
  • মানবতাবাদী ল্যাটিন
  • আইনগত মানবতাবাদি
  • নব শিখন

তথ্যসূত্র

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.