রায়গঞ্জ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রায়গঞ্জ: (উচ্চারণ [ˈraɪˌgʌnʤ]) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর দপ্তর। এই শহরটি গড়ে ওঠে কুলিক নদীর তীরে। ২০০ বছর বয়সী এই শহরটির নাম রায়গঞ্জ।
রায়গঞ্জ | |
---|---|
শহর | |
শীর্ষ থেকে : রায়গঞ্জের ক্লক টাওয়ার রায়গঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সুদর্শনপুরের দুর্গা পূজা | |
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫.৬২° উত্তর ৮৮.১২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | উত্তর দিনাজপুর পুলিশ জেলা- রায়গঞ্জ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | রায়গঞ্জ পৌরসভা |
• পৌরপ্রধান | সন্দীপ বিশ্বাস (টিএমসি) |
• পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট | সুমিত কুমার(আইপিএস) |
• জেলা ম্যাজিস্ট্রেট | শ্রী অরবিন্দ কুমার মিনা (আইএএস) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৬.৫১ বর্গকিমি (১৪.১০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | পশ্চিমবঙ্গে ১৫ তম |
উচ্চতা | ৪০ মিটার (১৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৯৯,৭৫৮ |
• জনঘনত্ব | ৫,৫০০/বর্গকিমি (১৪,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩৩১৩৪, ৭৩৩১৩০ ও ৭৩৩১২৩ |
টেলিফোন কোড | +৯১-৩৫২৩-২xxxxx |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-৬০ |
লোকসভা কেন্দ্র | রায়গঞ্জ |
বিধানসভা কেন্দ্র | রায়গঞ্জ |
ওয়েবসাইট | uttardinajpur |
ব্যুৎপত্তি
রায়গঞ্জ নামের উৎপত্তি ঠিক জানা যায় না। তবে রায়গঞ্জ নাম উৎপত্তি সম্পর্কে একটি বিতর্ক আছে। কেউ কেউ বলেন দিনাজপুরে রাজকীয় পরিবারের পদবি রাই থেকে এই নামটি এসেছে। ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য আরেকটি দৃষ্টি ভঙ্গিটি হ'ল এই রাই বা সোরশে (বিশেষ ধরনের সরিষা) এর প্রাচুর্য থেকে এই নামটি প্রাচীনকাল থেকেই পাওয়া যায়।[2] বেশিরভাগ লোক মনে করে "রাই" শব্দটি থেকে " রায়গঞ্জ" শব্দটি এসেছে, যার অর্থ "রাধা", যা মহাভারতের একটি চরিত্র। রায়গঞ্জের নিকটতম শহর "কালিয়াগঞ্জ" শব্দটি এসেছে "কালিয়া" থেকে, যার অর্থ "কৃষ্ণ", যা মহাভারতের একটি চরিত্র।
ভূগোল
কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৫.৬২° উত্তর ৮৮.১২° পূর্ব ।[3] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪০ মিটার (১৩১ ফুট)।
অবস্থান
এই শহরটি প্রায় ৩৬.৫১ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কিন্তু বর্তমান শহরে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ও নগর এলাকার আশপাশের এলাকায় নগরের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে দ্রুত গতিতে। মহানগর এলাকাও এই প্রবণতার সম্মুখীন হচ্ছে। এখন বীর-ঘাই, মরিকুরা, রুপাহার, বাহিন, কর্ন-জোড়া, মহারাজা হাটের আওতায় বিস্তৃত এলাকা গুলিতেও রায়গঞ্জ শহরের মতো জনসংখ্যা বাড়ছে এবং এই জনসংখ্যা রায়গঞ্জ শহরের উপর নির্ভরশীল।[4]
পাশাপাশি মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত জায়গা পূর্ণ স্ক্রীন সংস্করণে লিঙ্ক যুক্ত।
রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য (কুলিক, পক্ষী নিবাস নামেও পরিচিত) বৃহৎ জনসংখ্যার এশীয় শামুক খোল (এশিয়ান ওপেন বিল) এবং অন্যান্য পানির পাখির আবাসস্থল এবং এটি এশিয়ার বৃহত্তম পাখি অভয়ারণ্য। কুলিক, নদীর তীরে রায়গঞ্জ শহরে অবস্থিত, যা শহরটিকে জলপথের সংযোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু, কুলিক, নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারণে ১৯৭০-এর প্রথমার্ধে জলপথের মাধ্যমে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়, বিশেষত বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের পরে। বন্দর এলাকা ধীরে ধীরে তার তাৎপর্য হারিয়েছে এবং বর্তমানে, এটি রায়গঞ্জের সবচেয়ে পশ্চাৎপদ এলাকা।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদম শুমারী রায়গঞ্জ নগরবাসীর সংখ্যা ছিল ১,৯৯,৭৫৮ জন, যার মধ্যে ১,০৪,৯৬৬ পুরুষ ছিল এবং ৯৪,৭৯২ জন নারী ছিলেন। ০-৬ বছর বয়সী নগরবাসীর সংখ্যা ২২,০২৮ জন। ৭+ বছর বয়সী জনসংখ্যার জন্য কার্যকর সাক্ষরতার হার ছিল ৮১.৭১%।[5]
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রায়গঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ১৬৫,২২২ জন।[6] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩%, এবং নারী ৪৭%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রায়গঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
গ্রাম গুলি
- সুভাষগঞ্জ
- মহারাজাহাট
- বিনদোল
- ভাটোল
- রামপুর
- কর্ণজোড়া
- রুপাহার
- বিলাসপুর
- বামনগ্রাম
- chapduar
- Bishahar
- অভোর
- নরম
- টেনহরি
- গৌরী
- শ্যামপুর
- বিরাহিমখন্ড
- হাতিয়া
- ইটাল
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.