পিটার মার্ক সাচ (ইংরেজি: Peter Such; জন্ম: ১২ জুন, ১৯৬৪) ডানবার্টনশায়ারের হেলেন্সবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
পিটার সাচ
Thumb
২০০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে পিটার সাচ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পিটার মার্ক সাচ
জন্ম (1964-06-12) ১২ জুন ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
হেলেন্সবার্গ, ডানবার্টনশায়ার, স্কটল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৬০)
৩ জুন ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৫ আগস্ট ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ৩০৬
রানের সংখ্যা ৬৭ ১৬৪৫
ব্যাটিং গড় ৬.০৯ ৮.১৪
১০০/৫০ ০/০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ১৪* ৫৪
বল করেছে ৩১২৪ ৫৮৪৪৮
উইকেট ৩৭ ৮৪৯
বোলিং গড় ৩৩.৫৬ ৩০.৫৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪৮
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৬৭ ৮/৯৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/- ১১৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইফো.কম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
বন্ধ

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, লিচেস্টারশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পিটার সাচ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সুদীর্ঘ ১৯ বছর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে অতিবাহিত করেন। নটিংহ্যামশায়ার ও লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলার পর ১৯৯০ সালে এসেক্সে যোগদান করেন। ১৯৮২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পিটার সাচের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অধিকাংশ স্লো বোলারের তুলনায় দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। রান নিয়ন্ত্রণ রাখার চেয়ে বোলিংয়ে নিখুঁততার দিকেই অধিক মনোনিবেশ ঘটাতেন। ব্যাটিংকালে সামনে এগিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলতেন।

১৯৮২ সালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলেন। এর পাঁচ বছর পর লিচেস্টারশায়ারে পাড়ি জমান। এরপর ১৯৯০ সালে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে তিনি ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলার জন চাইল্ডসের সাথে কার্যকর জুটি গড়েন। ২০০১ সাল শেষে এসেক্স দল থেকে অবমুক্তি পান। এরপর এক মৌসুম কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেন।

এসেক্সে খেলাকালীন সর্বাধিক সফলতা পান। ১৯৯৭ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সেমি-ফাইনালে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়সূচক রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। মন্দ আলোকের কারণে খেলাটি দ্বিতীয় দিনে গড়ায়। অবশ্য, ব্যাটিংয়ের কারণে তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার সাচ। ৩ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে ম্যানচেস্টারে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ আগস্ট, ১৯৯৯ তারিখে একই মাঠে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অংশগ্রহণকৃত ১১ টেস্টে চারজন ইংরেজ অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছেন।

১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা সেরা বিশ্বস্ত অফ স্পিনার জন এম্বুরি’র স্থলাভিষিক্ত হন ও টেস্ট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। অভিষেক টেস্টেই দূর্দান্ত খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/৬৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ঐ সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।[1] এ পর্যায়ে চার টেস্টে অংশ নেন।

পরবর্তী গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সবকটিতে অংশ নেন। তবে, পরবর্তী টেস্টে অংশ নেয়ার জন্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছিল তাকে। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় ঐ সফরের সিডনি টেস্টে রবার্ট ক্রফটের পরিবর্তে তাকে খেলানো হয়। ঐ টেস্টে স্পিনারদের রাজত্ব ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৮১ পান।

১৯৯৯ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজস্ব শেষ টেস্টে ৫২ বল মোকাবেলান্তে শূন্য রানে করে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বাধিক বল খেলে কোন রান সংগ্রহ না করার রেকর্ড গড়েন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে দর্শকেরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানায়।[2]

অবসর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বর্তমানে তিনি হার্টফোর্ডশায়ার প্রথম বিভাগ লীগে টটারিজ মিলহিলিয়ান্সের প্রথম একাদশে খেলছেন ও তরুণ খেলোয়াড়দেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.