অপেনহাইমার ২০২৩ সালের জীবনীমূলক থ্রিলার চলচ্চিত্র। ক্রিস্টোফার নোলান রচিত, পরিচালিত এবং সহ-প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি তাত্ত্বিক পদার্থবিদ জে. রবার্ট অপেনহাইমারের জীবন সম্পর্কে, যিনি প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। কাই বার্ড এবং মার্টিন জে. শেরউইন রচিত ২০০৫ সালের আমেরিকান প্রমিথিউস জীবনীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত, চলচ্চিত্রটিতে অপেনহাইমার চরিত্রে সিলিয়ান মার্ফি অভিনয় করেছেন। আন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন এমিলি ব্লান্ট, ম্যাট ড্যামন, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এবং ফ্লরেন্স পিউ।
অপেনহাইমার | |
---|---|
মূল শিরোনাম | শিরোনাম |
পরিচালক | ক্রিস্টোফার নোলান |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | ক্রিস্টোফার নোলান |
উৎস | কাই বার্ড কর্তৃক আমেরিকান প্রমিথিউস |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | লুদভিগ গোরানসন |
চিত্রগ্রাহক | হোয়েতে ভ্যান হোয়েতেমা |
সম্পাদক | জেনিফার লেম |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | ইউনিভার্সাল পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | মিনিট |
দেশ |
|
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | মার্কিন$১০০ মিলিয়ন |
নোলান ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনিভার্সাল পিকচার্সের পরিবেশক হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে অপেনহাইমার সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্র লিখবেন এবং পরিচালনা করবেন ঘোষণা করেছিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে চিত্রগ্রহণ শুরু হয় এবং মে মাসে চিত্রগ্রাহক হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমার সাথে সমাপ্ত হয়। এটি আইম্যাক্স ৬৫ মিমি এবং ৬৫ মিমি বড়-ফরম্যাট ফিল্ম-এর সংমিশ্রণে চিত্রায়িত করা হয়েছিল—এবং প্রথমবারের মতো, আইম্যাক্স সাদা-কালো অ্যানালগ ফটোগ্রাফির বিভাগ সহ। তার পূর্বের কাজের মতো, নোলান ব্যাপক ব্যবহারিক এফেক্ট এবং ন্যূনতম কম্পিউটার-উৎপাদিত চিত্র ব্যবহার করেছিলেন। পোস্ট-প্রোডাকশন প্রক্রিয়ায় সম্পাদক জেনিফার লেম এবং সুরকার লুডভিগ গোরানসন, সেইসাথে ডিএনইজি কর্তৃক প্রদত্ত ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট জড়িত ছিল।
অপেনহাইমার ইউনিভার্সাল পিকচার্স কর্তৃক ২০২৩ সালের ২১ জুলাই যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির জন্য নির্ধারিত রয়েছে। মেমেন্টো (২০০০) থেকে এটি নোলানের প্রথম চলচ্চিত্র যা ওয়ার্নাস ব্রাদার্স পিকচার্স অভ্যন্তরীণ বা তাদের কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে বিতরণ করা হয় নি, সেইসাথে ইনসমনিয়া (২০০২) থেকে আর রেটিং পাওয়া তার প্রথম চলচ্চিত্র।
অপেনহাইমার ৮১তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে আটটি মনোনয়ন থেকে শ্রেষ্ঠ নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র-সহ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কৃত হয়।[1] ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ ও আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট চলচ্চিত্রটিকে তাদের ২০২৩ সালের সেরা দশ চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান দেয়।[2][3]
অভিনয়শিল্পীদল
- কিলিয়ান মার্ফি – জে. রবার্ট অপেনহাইমার[4]
- এমিলি ব্লান্ট – ক্যাথরিন "কিটি" অপেনহাইমার[5]
- ম্যাট ডেমন – জেনারেল লেসলি গ্রোভস[6]
- রবার্ট ডাউনি জুনিয়র – লুইস স্ট্রস[6]
- ফ্লরেন্স পিউ – জিন ট্যাটলক[7]
- জোশ হার্টনেট – আর্নেস্ট লরেন্স[8][9]
- কেসি অ্যাফ্লেক – বরিস পাশ[10]
- রামি মালেক – ডেভিড এল. হিল[7]
- কেনেথ ব্র্যানা – নিলস বোর[11]
- বেনি সাফদি – এডওয়ার্ড টেলার[7]
- ডেন ডিহান – মেজর জেনারেল কেনেথ নিকোলস[12]
- জেসন ক্লার্ক – রজার রব[13]
- ডেভিড ক্রুমহোল্টজ – ইজিডোর ইজাক রাবি[14]
- টম কন্টি – আলবার্ট আইনস্টাইন[15]
- অ্যালডেন ইহরেনরিচ –লুইস স্ট্রসের একজন সিনেট সহকারী[14][16]
- ডিলান আর্নল্ড – ফ্রাঙ্ক অপেনহাইমার[17]
- গুস্তাফ স্কার্সগার্ড – হান্স বেটে[18]
- মাইকেল আঙ্গারানো – রবার্ট সার্বার[8]
- জ্যাক কোয়েদ – রিচার্ড ফাইনম্যান[19]
- জোশ পেক – কেনেথ বেইনব্রিজ[20]
- অলিভিয়া থার্লবি – লিলি হর্নিগ[21]
- ক্রিস্টোফার ডেনহাম – ক্লজ ফুক্স[22]
- ডেভিড রিসডাহল – ডোনাল্ড হর্নিং[23]
- লুইস লম্বার্ড – রুথ টলম্যান[24]
- হ্যারিসন গিলবার্টসন – ফিলিপ মরিসন[25]
- ট্রোন্ড ফাউসা আরভাগ – জর্জ কিস্তিয়াকোস্কি[26]
- অলি হাসকিভি – এডওয়ার্ড কন্ডন[17]
- ডেভন বোস্টিক – শেঠ নেডারমেয়ার[27]
- ম্যাথু মডিন – ভ্যানিভার বুশ[28]
- ডেভিড ডাস্টমালচিয়ান – উইলিয়াম এল. বোর্ডেন[29]
- টনি গোল্ডউইন – গর্ডন গ্রে[30]
- ম্যাকন ব্লেয়ার – লয়েড কে. গ্যারিসন[31]
- কার্ট কোহলার – থমাস এ. মরগান[32][33]
- জেফারসন হল – হাকন শেভালিয়ার[34][35]
- জোশ জুকারম্যান – জিওভানি রসি লোমানিৎজ[36]
- অ্যালেক্স উলফ – লুইস ওয়াল্টার আলভারেজ[37]
- গাই বার্নেট – জর্জ এলটেনটন[38]
- এমা ডুমন্ট – জ্যাকি অপেনহাইমার[25]
- জ্যাক কাটমোর-স্কট – নিরাপত্তা কর্মকর্তা লয়াল জনসন[31]
- স্কট গ্রিমস – কাউন্সিল[22]
- গ্যারি ওল্ডম্যান – হ্যারি এস. ট্রুম্যান[39]
- হ্যাপ লরেন্স – লিন্ডন বি. জনসন[31]
- হ্যারি গ্রোনার – গেল ডব্লিউ ম্যাকগি[31]
- গ্রেগরি জবারা – চেয়ারম্যান ওয়ারেন ম্যাগনুসন[31]
- টিম ডেকে – Sen. জন পাস্তোর[31]
- জেমস রেমার – যুদ্ধ সচিব হেনরি স্টিমসন[31]
- ড্যানি ডেফারারি – এনরিকো ফের্মি[38]
- জেমস ডি'আর্সি – প্যাট্রিক ব্ল্যাকেট[40]
- ম্যাথিয়াস শোয়েইফার – ভের্নার হাইজেনবের্গ[41][42]
- জেমস আরবানিয়াক – কুর্ট গ্যোডেল[31]
সঙ্গীত
অপেনহাইমার (মৌলিক চলচ্চিত্র আবহ সঙ্গীত) | ||||
---|---|---|---|---|
লুডভিগ গোরানসন কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২১ জুলাই ২০২৩ | |||
স্টুডিও | ইস্টউড স্কোরিং স্টেজ, বারব্যাঙ্ক, ক্যালিফোর্নিয়া | |||
ঘরানা |
| |||
দৈর্ঘ্য | ৯৪:৪২ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | ব্যাক লট মিউজিক | |||
প্রযোজক | লুডভিগ গোরানসন | |||
লুডভিগ গোরানসন ফিল্ম স্কোর কালক্রম | ||||
| ||||
ক্রিস্টোফার নোলান ফিল্ম স্কোর কালক্রম | ||||
|
২০২১ সালের অক্টোবরে, লুদভিগ গোরানসন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত রচনা করছেন বলে প্রকাশ করা হয়েছিল, পূর্বে তিনি টেনেট চলচ্চিত্রের জন্যও সঙ্গীত রচনা করেছিলেন।[4]
ট্র্যাকের তালিকা
"অপেনহাইমার (অরিজিনাল মোশন পিকচার সাউন্ডট্র্যাক) এর ট্র্যাকের তালিকা | ||
---|---|---|
নং. | শিরোনাম | দৈর্ঘ্য |
১. | "ফিজন" | ৪:৩৮ |
২. | "ক্যান ইউ হিয়ার দ্য মিউজিক" | ১:৫০ |
৩. | "আ লোলি শু সেলসম্যান" | ৩:৩৪ |
৪. | "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" | ৩:০০ |
৫. | "গ্র্যাভিটি স্বল্লাউজ লাইট" | ৩:৩০ |
৬. | "মিটিং কিটি" | ৫:৪৭ |
৭. | "গ্রোভস" | ৩:০৩ |
৮. | "ম্যানহাটন প্রজেক্ট" | ৩:০১ |
৯. | "আমেরিকান প্রমিথিউস" | ২:৩৭ |
১০. | "অ্যাটমোস্ফারিক ইগনিশন" | ৩:২৮ |
১১. | "লস আলামোস" | ২:৩৮ |
১২. | "ফিউজন" | ৩:৫৫ |
১৩. | "কর্নেল পাশ" | ৪:৫৭ |
১৪. | "থিওরিস্টস" | ৩:১৪ |
১৫. | "গ্রাউন্ড জিরো" | ৪:২১ |
১৬. | "ট্রিনিটি" | ৭:৫২ |
১৭. | "হোয়াট উই হ্যাভ ডান" | ৫:৪৫ |
১৮. | "পাওয়ার স্ট্যায়স ইন দ্য শ্যাডোস" | ৪:১০ |
১৯. | "দ্য ট্রায়াল" | ৫:৩২ |
২০. | "ডক্টর হিল" | ৪:২৩ |
২১. | "কিটি কামস টু টেস্টিফাই" | ৪:৫২ |
২২. | "সামথিং মোর ইম্পর্ট্যান্ট" | ৩:২৫ |
২৩. | "ডেস্ট্রয়ার অব ওয়ার্ল্ডস" | ২:৫৪ |
২৪. | "অপেনহাইমার" | ২:১৬ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৯৪:৪২ |
প্রশংসা
অপেনহাইমার শ্রেষ্ঠ নাট্য, শ্রেষ্ঠ থ্রিলার, শ্রেষ্ঠ গ্রীষ্ম ২০২৩ ব্লকবাস্টার ট্রেলার, শ্রেষ্ঠ শব্দ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ নাট্য টিভি স্পট (একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য), টিভি স্পটে শ্রেষ্ঠ শব্দ সম্পাদনা (একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য), এবং শ্রেষ্ঠ থ্রিলার টিভি স্পট-এর জন্য (একটি ফিচার ফিল্মের জন্য) ২০২৩ সালের গোল্ডেন ট্রেলার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।[43]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.