মাইকেল গাইল বেভান (ইংরেজি: Michael Bevan; জন্ম: ৮ মে, ১৯৭০) বেলকোনেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।[১] বামহাতি ব্যাটসম্যান মাইকেল বেভান স্লো লেফট আর্ম চায়নাম্যান বোলার হিসেবেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলতেন। ১৯৮৯ সালে এআইএস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি’র বৃত্তিধারী ছিলেন তিনি।[২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাইকেল গাইল বেভান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেলকোনেন, অস্ট্রেলিয়া | ৮ মে ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বেভো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৬০) | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৬) | ১৪ এপ্রিল ১৯৯৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯-১৯৯০ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০-২০০৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫-১৯৯৬ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮-২০০০ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৬ | তাসমানিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ২০ নভেম্বর ২০১৪ |
প্রারম্ভিক জীবন
সমগ্র ঘরোয়া ক্রিকেটের অধিকাংশ সময় নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ দলে কাটিয়েছেন। পরবর্তীতে ২০০৪-০৫ মৌসুমে তাসমানিয়ান টাইগার্স দলে স্থানান্তরিত হন ও জানুয়ারি, ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সফলভাবে কাটান। এছাড়াও তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার,[১] লিচেস্টারশায়ার ও সাসেক্সে ক্লাবে খেলেন। বেভানের প্রথম বড়দের ক্লাব ছিল ক্যানবেরার ওয়েস্টন ক্রিক ক্রিকেট ক্লাব।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯৪ সালের অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে বেভানের অভিষেক ঘটে। শারজায় অনুষ্ঠিত অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে খেলার পর থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে দলের নিয়মিত সদস্যে পরিণত হন। ৩০ বা ততোধিক ওডিআইয়ে ৫০-এর অধিক ব্যাটিং গড়ের অধিকারী চারজন খেলোয়াড়ের একজন তিনি।[৩] বেভানের সেরা ক্রীড়াশৈলী চার নম্বরে ছিল। মাইকেল হাসি’র সাথে ৩০ বা ততোধিক ইনিংস খেলা ব্যাটিং গড় কখনো ৪০-এর নিচে নামেনি।[৪] এর প্রধান কারণ ছিল তারা উভয়েই বেশকিছুসংখ্যক খেলায় অপরাজিত ছিলেন।[৫]
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে ২৩২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ফিনিশার বা সমাপণকারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে পরিচিত ছিলেন। নিচেরসারির ব্যাটসম্যানদেরকে সাথে নিয়ে প্রায়শঃই তিনি জয়ে নেতৃত্ব দিতেন। ১৯৯৬ সালে নববর্ষের দিনে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। একপর্যায়ে দলীয় সংগ্রহ ৬/৩৮ থাকার পর তার অপরাজিত ৭৮* রানের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া দল ১৭৩ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় ইনিংসের শেষ বলে।[৬][৭]
অবসরগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে ৫৩.৫৮ রান গড়ে একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশ্বরেকর্ড ধারণ করেছিলেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে বেভানের গড় ৫৭-এর ওপর যা এ স্তরের ক্রিকেটে ১০,০০০ রান সংগ্রহকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। ৪৬.৯৩ গড় নিয়ে স্বদেশী ডিন জোন্স তার পরেই অবস্থান করছেন।[৮]
অবসর
আঘাতজনিত কারণে ১৭ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে মাইকেল বেভান সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার অবসরের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি সময় যখন আঘাত ও ব্যথা আমার চিন্তাধারাকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করছে। খেলার সময় যা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে আমি আঘাতপ্রাপ্ত ও পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন সময় হয়েছে চলে যাবার।[৯]
ব্যক্তিগত জীবন
শ্রীলঙ্কান পূর্ব-পুরুষদের রক্ত বইছে তার শরীরে।[১০] ১৯৯৪ সালে ট্রেসি নাম্নী এক ইংরেজ রমণীর পাণিগ্রহণ করেন বেভান। ট্রেসি বেভান বর্তমানে ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনে কাজ করছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.