Loading AI tools
ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণান (তামিল: லட்சுமண் சிவராமகிருட்டிணன்; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৫) মাদ্রাজ রাজ্যের মাদ্রাজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ১২ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে বাংলাদেশ - ভারতের মধ্যকার টেস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকার হিসেবে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেট কমিটিতে খেলোয়াড়দের অন্যতম হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।[1]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, মাদ্রাজ রাজ্য, ভারত | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | লাক্স পাপা, এলএস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৪) | ২৮ এপ্রিল ১৯৮৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বরোদরা ও তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘লাক্স পাপা’ বা ‘এলএস’ ডাকনামে পরিচিত লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণান।
১৯৮১-৮২ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে দিল্লির বিপক্ষে অপূর্ব সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন।
১২ বছর বয়সেই সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত করেন নিজেকে। মাদ্রাজে আন্তঃবিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশীপের একটি খেলায় ২ রান খরচায় ৭ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে রবি শাস্ত্রী’র নেতৃত্বে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে ১৯৮০ সালে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ১৬ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ১৯৮১-৮২ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে দিল্লি দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। সবগুলো উইকেটই এগারো ওভারের স্পেলে পেয়েছিলেন তিনি। সুন্দর ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দিলীপ ট্রফি প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ অঞ্চলের সদস্যরূপে পশ্চিম অঞ্চলের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য অবস্থায় থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে তার গুগলি বোলিংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে সুনীল গাভাস্কার বিদেয় নিয়েছিলেন।
১৯৮৪ সালে রবি শাস্ত্রী’র অধিনায়কত্বে ভারতের তরুণ দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ঐ বছরের শেষদিকে ভারত দলে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হন। ভারতের অনূর্ধ্ব-২৫ দলের সদস্যরূপে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলে ৪/২৭ পান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর বোলিং থেকে দূরে সড়ে যান ও ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ঘটিয়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। এরপর আরও দশ বছর খেলেন তিনি। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় ৩৩ বছর পর শিরোপা বিজয়ী তামিলনাড়ু দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সেগুলো গুজবই থেকে যায়। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ মৌসুমে বরোদরা দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণান। ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৩ তারিখে সেন্ট জোন্সে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে পাকিস্তান সফরের জন্যে ভারত দলের সদস্যরূপে লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণানকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান তিনি। ঐ সময়ে তিনি মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। ১৭ বছর ১১৮ দিন বয়সে সেন্ট জোন্সের অ্যান্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ সময়ে তিনি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননায় অভিষিক্ত হন। খেলায় তিনি উইকেট শূন্য অবস্থায় থাকেন। তবে, একমাত্র ইনিংসে ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
বোম্বের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেন। গ্রেইম ফাওলারকে ফুল টস বলে কট এন্ড বোল্ড করে নিজস্ব প্রথম টেস্ট উইকেটের সন্ধান পান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বেশ কিছু উইকেট ফুল টস ও হাফ ভলির মাধ্যমে পেয়েছেন তিনি। ৬/৬৪ ও ৬/১১৭ লাভ করে ভারতকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আট উইকেটের জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। খেলায় তিনি ১৮১ রান খরচায় ১২ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের পর ভারতের এটিই প্রথম জয় ছিল। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে পরবর্তী ইনিংসে আবারও ছয় উইকেট তুলে নেন। তবে, সিরিজের পরবর্তী খেলাগুলোয় আর মাত্র পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। এ সিরিজ শেষে ২৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।
একই মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিতে পরিণত হন। জাভেদ মিয়াঁদাদকে চূড়ান্ত খেলায় লেগ ব্রেক বোলিংয়ের মাধ্যমে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। এর চার সপ্তাহ শারজায় চতুর্দেশীয় প্রতিযোগিতায়ও সমান স্বাক্ষর রাখেন।
পরবর্তী মৌসুমে আকস্মিকভাবে খেলায় ছন্দপতন ঘটে তার। শ্রীলঙ্কায় একটি ও অস্ট্রেলিয়ায় দুই টেস্টে অংশ নেন। তবে খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। শ্রীলঙ্কায় খুব কম সফলতা পান। এর কয়েক মাস পর অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। সেখানেও তাকে বিফল মনোরথে ফিরতে হয়। এভাবেই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
১৯৮৭ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে ভারত দলে ফিরে আসেন ও ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুই খেলায় অংশ নেন। জিম্বাবুয়ের জন ট্রাইকোসকে ফুল টস বলে সুনীল গাভাস্কারের হাতে তালুবন্দী হলে একমাত্র উইকেট পান তিনি।
মে, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেট কমিটিতে লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণানকে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয়।[1] ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় স্টারস্পোর্টস তামিলে তামিল ভাষায় ধারাভাষ্য দেন। ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণানকে ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের স্পিন বোলিং কোচের জন্যে মনোনীত করা হয়।
টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে হিউ ব্রমলি-ডেভেনপোর্ট ও বি. কে. ভেঙ্কটেশ প্রসাদের সাথে যৌথভাবে দীর্ঘ বংশগত নাম ধারণ করে আছেন তিনি।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.