Loading AI tools
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০১৮) কানাডীয় পদার্থবিজ্ঞানী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডনা থিও স্ট্রিকল্যাণ্ড (ইংরেজি: Donna Theo Strickland; জন্ম: ২৭ মে ১৯৫৯) হচ্ছেন একজন কানাডীয় পদার্থবিজ্ঞানী, তিনি লেজার রশ্মির বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রণী।[1] চাপার্ড পালস এমপ্লিফিকেশনের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য ২০১৮ সালে জেরার মুরুর সাথে যুগ্মভাবে তিনি নোবেল অর্জন করেন। লেজার রশ্মির পালসের দৈর্ঘ্য ছোট করে এনে এর শক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার কৌশল লেজার মাইক্রোমেশিন, লেজার সার্জারী, ভেষজবিদ্যা এবং মৌলিক বিজ্ঞানের অধ্যয়নে ব্যবহৃত হয়।
এই নিবন্ধটির তথ্যছকটি অন্য একটি ভাষা থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুবাদ করা হয়নি। |
ডনা স্ট্রিকল্যান্ড | |
---|---|
জন্ম | ডনা থিও স্ট্রিকল্যান্ড ২৭ মে ১৯৫৯ গুয়েলফ, অন্টারিও, কানাডা |
মাতৃশিক্ষায়তন | ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | Intense laser-matter interactions, Nonlinear optics, Short-pulse intense laser systems, Chirped pulse amplification, Ultrafast optics |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডুগ ডাইকার |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | Development of an ultra-bright laser and an application to multi-photon ionization (1988) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | জেরার মুরু |
ওয়েবসাইট | https://uwaterloo.ca/physics-astronomy/people-profiles/donna-strickland |
তিনি ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিভাগ ও পদার্থবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক।[2] মারি ক্যুরি ও মারিয়া গোপার্ট মায়ারের পরে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী তিনি তৃতীয় নারী।
ডনা স্ট্রিকল্যাণ্ড কানাডার অন্টারিওর গুলেফ শহরে ১৯৫৯ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন।[3] ইংরেজি শিক্ষকএডিট যে র্যানি[4] এবং তড়িৎ প্রকৌশলী লিলয়েড স্ট্রিকল্যাণ্ডের সন্তান তিনি।[5]
স্ট্রিকল্যাণ্ড ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন, কারণ প্রকৌশল পদার্থবিজ্ঞান বিশেষ করে লেজার ও তড়িৎ অপটিক্সের প্রতি তার আগ্রহ ছিল।[4] ১৯৮১ সালে স্ট্রিকল্যাণ্ড ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন [6] এবং ১৯৮৯ সালে রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যলয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে, (মুলত অপটিক্সের উপর) পিএইচডি করেন।[7][8] তার ডক্টরাল থিসিসের শিরোনাম ছিল "ডেভেলপমেন্ট অব এন আল্ট্রা-ব্রাইট লেসার এন্ড এন এপ্লিকেশন টু মাল্টিফোটন আয়োনাইজেশন"। তিনি ডক্টরাল রিসার্চ সম্পন্ন করেন ল্যাবরেটরী ফর লেজার এনার্জেটিক্সে[9] এবং তার বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ছিলেন জেরার্ড মুরু।[3] তারা যুগ্মভাবে ১৯৮৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার্পড পালস অ্যামপ্লিফিকেশনের এমন কৌশল আবিষ্কার করেন [5] যার ফলে "লেজার রশ্মির পালসের দৈর্ঘ্য ছোট করে এনে এর শক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলা হয় এবং লেসার বিমের কোনো ক্ষতিও হয় না"। এ আবিষ্কারের দরুন তারা দুইজনেই ২০১৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল লাভ করেন[10] সিপিএ পদ্ধতিতে শুধু পালসের শক্তিই বহুগুণ বৃদ্ধিই নয়, লেজার সিস্টেমের আকারো অনেক ছোট করে আনা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে একটি টেরাওয়াট লেজার সিস্টেম সাধারণ একটি টেবিলের ওপর ("table-top terawatt lasers") স্থাপন করা সম্ভব। [9]
তিনি ২০১১ তে সহ সভাপতি এবং ২০১৩ তে দ্য অপটিক্যাল সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিজ্ঞান সাময়িকী (জার্নাল অপটিক লেটার্সের সম্পাদক হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[1][11]
১৯৯৯ সালে স্ট্রিকল্যাণ্ড তার গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়ে নের্তৃত্বদানের হেতু অন্টারিওর প্রিমিয়ার রিসার্চ এক্সসেলেন্স পদক ও ২০০০ সালে কটরেল স্কলার এওয়ার্ড পান। তিনি ২০০৮ সালে আমেরিকার অপটিক্যাল সোসাইটির ফেলো হন।[10]
পদার্থবিজ্ঞান থেকে স্ট্রিকল্যাণ্ডের নোবেল প্রাপ্তির পর ওন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডৌগ ফোর্ড সংসদে তাকে অবিনন্দন জানান। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাকে অভিনন্দন জানান, তিনি বলেন, "ড. স্ট্রিকল্যান্ড যা অর্জন করেছেন নারীর পদার্থবিজ্ঞানের অর্জন হিসেবে তাকে উৎযাপন করা উচিত এবং নারীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশা গঠনের জন্য তার এ অর্জন প্রেরণাদায়ী হয়ে উঠবে। যখন নারীর ক্ষমতায়ন হয় তাদের প্রয়োজন স্টেম ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা, যার ফলে সবাই সুবিধাভোগ করতে পারে...[ড.মুরু এবং ড. স্ট্রিকল্যান্ডের] কাজ চোখের অপারেশনে ভূমিকা রাখবে একইসাথে তা ক্যান্সার থেরাপি ও ভবিষ্যতে পদার্থবিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে বলেই আশা করা যায়"।[15]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.