ডিন্দ্রা জলিসা শাকিরা ডটিন (ইংরেজি: Deandra Jalisa Shakira Dottin; জন্ম: ২১ জুলাই, ১৯৯১) বার্বাডোসে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশিষ্ট প্রমিলা ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী তিনি। জুন, ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। সচরাচর নিচের সারিতে ব্যাটিং করেন ডিন্দ্রা ডটিন। ২০১০ সালে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডিন্দ্রা জলিসা শাকিরা ডটিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্বাডোস | ২১ জুন ১৯৯১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ২৪ জুন ২০০৮ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ২৭ জুন ২০০৮ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৫ মে ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৫ মে ২০১০ |
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
অ্যাথলেটিকস | ||
বার্বাডোস-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
সিএসি জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপ (অ-১৭) | ||
২০০৬ পোর্ট অব স্পেন | গোলক নিক্ষেপ | |
২০০৬ পোর্ট অব স্পেন | বর্শা নিক্ষেপ | |
কারিফটা গেমস জুনিয়র (অ-২০) | ||
২০০৮ বাসেতেরে | বর্শা নিক্ষেপ | |
কারিফটা গেমস যুব (অ-১৭) | ||
২০০৭ প্রভিডেন্সিয়ালস | গোলক নিক্ষেপ | |
২০০৭ প্রভিডেন্সিয়ালস | চাকতি নিক্ষেপ | |
২০০৭ প্রভিডেন্সিয়ালস | বর্শা নিক্ষেপ | |
২০০৬ লেস অ্যাবিমেস | বর্শা নিক্ষেপ | |
২০০৬ লেস অ্যাবিমেস | গোলক নিক্ষেপ | |
২০০৫ বাকোলেট | বর্শা নিক্ষেপ |
খেলোয়াড়ী জীবন
২০০৮ সালে ইউরোপ সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদচারণা শুরু করেন তিনি। সফরের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে দুই ওভার বোলিং করে ১১ রান দিলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। কিন্তু ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৩ তুলে দলকে শেষ ওভারে জয় এনে দেন।[1] চতুর্থ ওডিআইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৬ রান করার মাধ্যমে প্রথম অর্ধ-শতকের সন্ধান পান।[2] ঐ সফরের ওডিআই সিরিজে ২৯.৮০ গড়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেন যা কেবলমাত্র সতীর্থ স্তাফানি টেলর তার চেয়ে বেশি করেছিলেন।[3]
শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৮.২০ গড়ে রান পেলেও ২০০৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে একই অবস্থানে ব্যাটিং করে ব্যর্থ হন। প্রথম দুই খেলায় দুই অঙ্কে পৌঁছতে না পারায় তাকে পাঁচ নম্বরে নেয়া হয়।[4][5] খুব দ্রুত এর সুফল আসে। পরের খেলায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫১ এবং পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড - উভয় দলের বিপক্ষে ২৩ রান করে পান।
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
২০১০ সালের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১২ রান করেন।[6] এরফলে প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সেঞ্চুরি করার কীর্তিগাথা রচনা করেন। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দশম ওভারে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ বলে ৫০ ও পরবর্তী ৫০ করেন মাত্র ১৩ বল খেলে। তার ইনিংসটি ৭টি চার ও ৯টি ছক্কার মার ছিল।[7] এরফলে তার দল জয় পায়। ৩৮ বলের সেঞ্চুরিটি যে-কোন মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম।
অ্যাথলেটিকসে অংশগ্রহণ
ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডেও সক্রিয় ছিলেন ডটিন। বার্বাডোসের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পদক জয় করেছেন। ১৪ বছর বয়সে ২০০৫ সালের কারিফটা গেমসে অনূর্ধ্ব১৭ দলে একটি রৌপ্যপদক জয় করেন।[8][9][10] ২০০৬ সালে একটি রৌপ্যপদক[11][12][13] ও ২০০৭ সালে তিনটি স্বর্ণপদক লাভ করেন।[14][15][16]
বছর | প্রতিযোগিতা | ঘটনাস্থল | স্থান | ঘটনা | নোট |
---|---|---|---|---|---|
প্রতিনিধিত্ব: বার্বাডোস | |||||
২০০৫ | কারিফটা গেমস (অ-১৭) | ব্যাকোলেট, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৬ষ্ঠ | গোলক নিক্ষেপ | ১১.০৬মি. |
২য় | বর্শানিক্ষেপ | ৩৭.২১মি. | |||
২০০৬ | কারিফটা গেমস (অ-১৭) | লেস অ্যাবিমেস, গুয়াডেলুপ | ২য় | গোলক নিক্ষেপ | ১১.৪৮মি. |
১ম | বর্শানিক্ষেপ | ৩৭.১৯মি. | |||
মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপ (অ-১৭) | পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ১ম | গোলক নিক্ষেপ | ১১.৯৫মি. | |
১ম | বর্শানিক্ষেপ | ৩৯.৯২মি. সিআর | |||
২০০৭ | কারিফটা গেমস (অ-১৭) | প্রভিডেন্সিয়ালস, টার্কস্ ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ | ১ম | গোলকনিক্ষেপ | ১২.২৬মি. |
১ম | চাকতি নিক্ষেপ | ৩৯.৫৮মি. | |||
১ম | বর্শানিক্ষেপ | ৪২.৯০মি. | |||
২০০৮ | কারিফটা গেমস (অ-২০) | বাসেতেরে, সেন্ট কিটস ও নেভিস | ৪র্থ | গোলকনিক্ষেপ | ১২.৬৫মি. |
৫ম | চাকতি নিক্ষেপ | ৩২.১৯মি. | |||
১ম | বর্শানিক্ষেপ | ৪৭.০০মি. |
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.