ডেভিড অ্যান্থনি মারে (ইংরেজি: David Murray; জন্ম: ২৯ মে, ১৯৫০) ব্রিজটাউনের মারেজ গ্যাপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড অ্যান্থনি মারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রিজটাউন, বার্বাডোস | ২৯ মে ১৯৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এভারটন উইকস (পিতা) রিকি হোয়েত (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৭) | ৩১ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৮২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩) | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭০ - ১৯৮২ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডেভিড মারে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭০-৭১ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত ডেভিড মারে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রতিভাধর উইকেট-রক্ষক ও কার্যকরী ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনটি টেস্ট অর্ধ-শতরান ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে একটি দ্বি-শতক হাঁকিয়েছেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারত সফরে জামশেদপুরে সর্বোচ্চ রানের সন্ধান পান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ঊনিশটি টেস্ট ও দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড মারে। ৩১ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। টেস্টের পূর্বে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
ছয় বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় ভাঙ্গা আঙ্গুল নিয়েও টেস্ট খেলায় অংশ নেন। তবে, একদিনের খেলায় দূর্ব্যবহার করলে তাকে বাদ দেয়া হয় ও আর তাকে দলে রাখা হয়নি। উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেললেও ডেভিড মারের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই ত্রিনিদাদীয় ডেরিক মারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। এরপর, ১৯৮১ সাল থেকে জ্যামাইকার জেফ ডুজনের আবির্ভাবে তার খেলোয়াড়ী জীবন ঢাকা পড়ে যায়। হতাশাচ্ছন্ন অবস্থায় নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে খেলেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৮৩ সালে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কবলে নিপতিত হন তিনি।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে ডেরেক মারে’র কাছ থেকে দায়িত্ব পান ও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শীর্ষস্থানীয় উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।
বিতর্কিত ভূমিকা
প্রায়শঃই বিতর্কের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। কিশোর বয়স থেকে তিনি মারিজুয়ানায় আসক্ত ছিলেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে তাকে দেশে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে, দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় ল্যান্স গিবসের সরাসরি হস্তক্ষেপে এ যাত্রায় টিকে যান। ভারত গমনে তার খুব সহজে নেশায় আসক্ত হবার বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। হোটেলে অবস্থানকালে একজন বেয়ারা পুরো বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘ভারতের প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি বাজারে আপনি সবকিছু পাবেন, ভালোমানের আফ্রিকান মারিজুয়ানাসহ সবকিছু। এটি আদর্শ জায়গা।’[1] ১৯৭৮ সালে কোকেইনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।[1]
১৯৯১ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে থাকেন। এরপর নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করেন। পরবর্তীতে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করতে থাকেন ও মারাত্মকভাবে নেশাসক্ত হয়ে পড়েন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.