Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭৮১ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির তদনীন্তন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মোহামেডান কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা করেন। আরবি, ফারসি, ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও আইন পঠনপাঠনের উদ্দেশ্যে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের পর এই কলেজে বাংলায় পঠনপাঠন শুরু হয়। ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি বিল পাসের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এই কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করে। বর্তমানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি কলকাতার তালতলা অঞ্চলের হাজী মুহাম্মদ মহসীন স্কোয়ারের (পূর্বতন ওয়েলেসলি স্কোয়ার) উত্তরে অবস্থিত।
পূর্বতন | মাদ্রাসা-ই-আলিয়া কলকাতা |
---|---|
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৭৮১ |
আচার্য | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল |
উপাচার্য | এম ওহাব |
ঠিকানা | ২১, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন স্কয়ার, কলকাতা – ৭০০ ০১৬ , , , |
শিক্ষাঙ্গন | রাজারহাট, সল্টলেক, পার্কসার্কাস, হাজী মুহাম্মদ মহসীন স্কোয়ার[1] |
সংক্ষিপ্ত নাম | AU |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন |
ওয়েবসাইট | www |
কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ারেন হেস্টিংস (ব্রিটিশ গভর্নর ১৭৭২-৮৫)। প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৮১;[2] মতান্তরে, ১৭৮০[3]। প্রথম দেড় বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব খরচে চালান হেস্টিংস। তারপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিচালিত বাংলা সরকার এটি পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। কলকাতার বউবাজার অঞ্চলের বৈঠকখানায় এই কলেজের সূত্রপাত। পরে তালতলায় এর বর্তমান ঠিকানায় প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে মাদ্রাসায় আর্থিক সংকট দেখা দিলে ১৮১৯ সালে কোম্পানি ক্যাপ্টেন এরোন নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনা আধিকারিককে নিয়োগ করেন মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট কমিটির রাজস্ব বোর্ডকে সহায়তা করার জন্য। ১৮৫০ সালে আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় গুরুতর সংকট দেখা দিলে অ্যালোয়েস স্প্রাঞ্জার নামে অপর এক ইউরোপীয়কে মাদ্রাসার শীর্ষে স্থাপন করা হয়।
প্রথম দিকে এই কলেজে আইন, জ্যোতির্বিদ্যা, যুক্তিবিজ্ঞান, দর্শন, পাটিগণিত, জ্যামিতি, ছন্দবিজ্ঞান, ব্যাকরণ, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি পড়ানো হত। ১৮২৭ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক পি ব্রেটন এই কলেজে একটি মেডিক্যাল ক্লাস শুরু করেন। ১৮৩৬ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত এই ক্লাস এই কলেজেই নেওয়া হত।
১৯২৭ সালটি বাংলার মুসলমান সমাজের শিক্ষার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরই অন্যান্য মাদ্রাসার সঙ্গে কলকাতা মাদ্রাসাতেও আলিম, ফাজিল, কালিম, মুমতাজুল মুহাদ্দেসিন প্রভৃতি শিক্ষাক্রমের সূচনা ঘটে।
২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতা মাদরাসাকে একটি কলেজের স্বীকৃতি দান করেন। কিন্তু এই স্বীকৃতি ছিল আংশিক। কারণ কলকাতা মাদরাসা সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্বীকৃত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ছিল না। ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি বিল পাস করে কলকাতা মাদরাসা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই বছর ৫ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। ধর্মতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, শিক্ষাবিজ্ঞান, নার্সিং, ফার্মেসি, গণস্বাস্থ্য পরিষেবা ও একাধিক বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রম শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় কলকাতার রাজারহাটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সুবৃহৎ শিক্ষাপ্রাঙ্গণ ও পরিকাঠামো গঠনের কাজ শেষ হয়েছে ।
কলকাতা শহর ও তার আশেপাশের এলাকায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলি শিক্ষাপ্রাঙ্গণ বা ক্যাম্পাস আছে। আলিয়া বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রথম কাম্পাসটি তালতলায় হাজি মুহাম্মাদ মহসীন স্কোয়ারে অবস্থিত হলেও , আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য শিক্ষাপ্রাঙ্গণ বা ক্যাম্পাস কলকাতার রাজারহাটে অবস্থিত ৷ যেটির জন্য রাজ্য সরকার থেকে ২০ একর জমি অণুমদিত হয়েছে যার উদ্বোধন করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষাপ্রাঙ্গণটি তৈরির জন্য এর জন্য $50 Million USD (প্রায়) বরাদ্দ করা হয়েছে। [4] উক্ত ক্যাম্পাসে শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা ১১৬০,প্রায় ১২০০০ ছাত্র ছাত্রীর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আছে । এছাড়া আরেকটি ক্যাম্পাস কলকাতার পার্কসার্কাসে অবস্থিত ৷
আচার্য - পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল
উপাচার্য -
নিবন্ধরক্ষক- ড. সঈদ নুরুস সালাম
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী- ড. আবু শেখ নাঈম
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট শিক্ষাপ্রাঙ্গনণ নতুন দুটি ছাত্রাবাস আছে ৷ ছাত্রাবাস একটির ধারণ ক্ষমতা ছাত্র ১২০০ জন, অন্যটি ছাত্রী ৮০০ জন ৷ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি হোস্টেল হল ইলিয়ট হোস্টেল । এটি বিশ্ববিদ্যালয় এর নিকটস্থ হাজী মুহম্মদ মহসীন স্কোয়ারে অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৬ সালে।[5]
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ টি বা তার বেশি বিষয় পঠিত হয় ৷ প্রত্যেকটি বিষয়ের স্নাতকোত্তর ও মাস্টার ডিগ্রি পড়ানো হয় ৷ বিষয়গুলি নিম্নোক্ত [6]
1. Electrical Engineering 2. Mechanical Engineering 3. Civil Engineering 4. Computer Engineering 5. Electronics & Communication Engineering
1. ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ 2. একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ 3. মার্কেটিং বিভাগ 4. ফিন্যান্স বিভাগ এবং অন্যান্ন গুরত্বপূর্ণ বিভাগ ৷
1. গণিত বিভাগ 2. রসায়ন বিভাগ 3. পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ 4. পরিসংখ্যান বিভাগ 5. ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ 6. ভূতত্ত্ব বিভাগ 7. ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগ 8. ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগ 9.কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ[7]
1. আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ 2. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ 3. অর্থনীতি বিভাগ 4. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ 5. ইসলামি ধর্মতত্ত্ব 6. দর্শন 7. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি 8. ইতিহাস এবং অারও অন্যান্ন ৷ সমগ্র বিষয়গুলি একনজরে:
যন্ত্রবিজ্ঞান | ব্যবস্থাপনা | বাণিজ্য | বিজ্ঞান | কলা ও ভাষা | সামাজিক বিজ্ঞান | ধর্মতত্ত্ব |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র অনলাইনে পাওয়া যায় ।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ইসলামী ধর্মশাস্ত্র থেকে শুরু করে কলাবিভাগ, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবস্থাপনা প্রতিটি একক বিষয়ের জন্য বিভিন্ন বই সংগৃহীত আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি রয়েছে । শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা ২৫০০০০ এরও বেশি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাওন ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আছে ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.