নিক ভ্যান ডি ওয়াল (ওলন্দাজ: [ˈnɪk fɑn də ˈʋɑl];[1] জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭), তার মঞ্চনাম আফ্রোজ্যাক দ্বারা সুপরিচিত,[2] একজন ওলন্দাজ ডিজে, রেকর্ড প্রযোজক এবং স্পিজকেনিসের রিমিক্সার। ২০০৭ সালে তিনি রেকর্ড লেবেল ওয়াল রেকর্ডিং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; ২০১৪ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ফরগেট দ্য ওয়ার্ল্ড প্রকাশিত হয়েছিল। আফ্রোজ্যাক নিয়মিত ডিজে ম্যাগ দ্বারা প্রকাশিত শীর্ষ ১০০ ডিজে'র তালিকায় সেরা দশ শিল্পীর মধ্যে একজন হিসাবে স্থান পেয়েছেন।[3] এছাড়াও তিনি এলডিএইচ ইউরোপের সিইও।[4]
আফ্রোজ্যাক | |
|---|---|
 ২০১৫-তে আফ্রোজ্যাক | |
| প্রাথমিক তথ্য | |
| জন্মনাম | নিক ভ্যান ডি ওয়াল |
| উপনাম | আফ্রোজ্যাক, এনএলডব্লিউ, কাপুচন |
| জন্ম | ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ স্পিজকেনিস, নেদারল্যান্ডস |
| ধরন |
|
| পেশা |
|
| বাদ্যযন্ত্র | এফএল স্টুডিও |
| কার্যকাল | ২০০৩ - বর্তমান |
| লেবেল |
|
| ওয়েবসাইট | www |
প্রাথমিক জীবন
ভ্যান ডি ওয়াল নেদারল্যান্ডসের স্পিজকেনিসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই বেড়ে উঠেন। তার মা একজন ওলন্দাজ এবং তার বাবা সুরিনামি। অল্প বয়সেই গানের প্রতি তিনি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন এবং পাঁচ বছর বয়সে পিয়ানো বাজাতে শিখেছিলেন। স্কুল ছাড়ার পর ডিজে / প্রযোজক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে ভ্যান ডি ওয়াল রটার্ডামের গ্রাফিশ লাইসিয়াম রটার্ডাম প্রতিষ্ঠানে এক বছরের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনে পড়াশোনা করেছিলেন।[5]
সঙ্গীতসংক্রান্ত পেশা
১৪ বছর বয়সে ভ্যান ডি ওয়াল স্থানীয় পাব এবং ক্লাবগুলিতে ডিজেয়িং শুরু করেছিলেন এবং সহ-সঙ্গীতশিল্পীদের ওয়েবসাইট ডিজাইন করে বাড়তি অর্থ উপার্জন শুরু করেছিলেন।[5] ২০০৭ সালে তিনি আফ্রোজ্যাক নামের অধীনে প্রথম রেকর্ডিং "ইন ইয়োর ফেইস" প্রকাশ করেন। তিনি ইভা সাইমনসের সমন্বয়ে " টেক ওভার কন্ট্রোল " গানটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করেন, যা ১০ টি বিভিন্ন দেশে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।[6] তিনি রেডফু-র একটি কমেডি সিরিজ, 'বিহাইন্ড দ্য স্পিডো' এর ২ পর্ব অংশ নিয়েছিলেন।
১৯ নম্বরে ভোটগ্রহণে তার ২০১০ সালের এন্ট্রিটি ছিল সেই বছরের তালিকার সর্বোচ্চ নতুন এন্ট্রি।[7] আফ্রোজ্যাক ২০১১ সালের ডিজে ম্যাগ শীর্ষ ১০০ ডিজে-তে ৭ নম্বরে তালিকাভুক্ত ছিলেন,[8] তিনি ২০১২ সালের ডিজে ম্যাগের শীর্ষ ১০০ ডিজে-তে ৯ নম্বরে জায়গা করে নেন,[9] ২০১৩ সালে তিনি আবার ৯ নম্বরে স্থান অবস্থান করেন।[3]
২০১০ সালের জুলাইয়ে আফ্রোজ্যাক বিবিসি রেডিও ১ এর জন্য একটি এসেনশিয়াল মিক্স তৈরি করেছিলেন।[10] ২২ ডিসেম্বর ২০১০-এ তিনি লস্ট এন্ড ফাউন্ডড এপিসোড প্রকাশ করেছিলেন, ২০১১ সালে তিনি পিটবুলের জনপ্রিয় এককে নে-ইও এবং নায়ারের সাথে "গিভ মি এভরিথিং"- কাজ করেছিলেন। তিনি বিয়ন্সের একক "রান দ্যা ওয়ার্ল্ড (গার্লস)"-এও কাজ করেন।[11] ২০১২ সালের জানুয়ারীতে তিনি ইউরোপীযয়ান বর্ডার ব্রেকার্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।[12] ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে আফরোজ্যাক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনক্ষম ডিজে ছিলেন।[13]
২০১১ সালে আফ্রোজাক ডেভিড গেটা, মাইক ব্রাউন এবং ম্যাডোনা সহ অনেক শিল্পীর সাথে সংগীত সহ-প্রযোজনা করেছিলেন। ২০১২ সালে তিনি টুমোরোল্যান্ড, আল্ট্রা মিউজিক ফেস্টিভাল এবং কোচেল্লাসহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিক ফ্যাস্টিভালে উপস্থিত ছিলেন।[14]
তার প্রথম অ্যালবাম ওয়ার্ল্ড ফরগেট ২০১৪ সালের ১৯ মে মিশ্র সমালোচনায় প্রকাশিত হয়েছিল।[15]
২০১৫ সালের ১লা মার্চে আফ্রোজ্যাক ডেভিড গেটা'র একক "হেয় মামা"-তে সাথে সহ-প্রযোজনা করেছিলেন। গানটিতে তার সাথে নিকি মিনাজ, এবং বিবি রেক্সা কাজ করেছিলেন।[16]
২০১৬ সালে তার একটি গান "ব্রেভার" ফাইনাল ফ্যান্টাসি ৫ গেম-এ প্রদর্শিত হয়েছিল। তিনি আমেরিকান ডিজে এবং রেকর্ড প্রযোজক স্টিভ অওকি সম্পর্কে ২০১৬ সালে আই উইল স্লিপ হোয়েন আই অ্যাম ডেড শিরোনামে গ্র্যামি-মনোনীত ডকুমেন্টারি ফিল্মে হাজির হয়েছিলেন।[17]
২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিলে তিনি এস্টার ডিনের সমন্বয়ে ডেভিড গেটা'র সাথে একটি নতুন একক "অ্যানাদার লাইফ" প্রকাশ করেছেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বেলি, ওটি জেনেসিস এবং রিকি ব্রেকারকে সমন্বিত একক "নো টোমোরো" প্রকাশ করেছিলেন।[18]
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-এ তিনি স্ট্যানের সমন্বয়ে "বেড অব রোজেস" প্রকাশ করেন, যা ২০১৭ সালে মিয়ামিতে আল্ট্রা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে বাজিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে টোমোরোল্যান্ড, বুম, বেলজিয়াম, তিনি "ব্যাসরাইড", "স্টেপ ব্যাক" সহ তার নতুন অনেক সঙ্গীত প্রকাশ করেছিলেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে আফ্রোজ্যাক ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি গ্লোনিস গ্রেসের সাথে রটার্ডামে ইউরোভিশন সং কনটেস্ট ২০২০-এ পারফর্ম করবেন, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রতিযোগিতাটি বাতিল করা হয়।
ওয়াল রেকর্ডিংস
২০০৭ সাল থেকে আফ্রোজ্যাক তার নিজস্ব লেবেল ওয়াল রেকর্ডিং চালিয়ে যাচ্ছেন, যেটি কেআইডিএ, অ্যাপস্টার, ডি-ওয়েইন, ডি.ও.ডি, করিম মিকা সহ অনেম সহ-প্রযোজকদের প্রতিনিধিত্ব করে।[19] স্পিনিন রেকর্ডসের একটি সাব-লেবেল হিসাবে ২০১৬ এর জানুয়ারির শেষ অবধি পরিচালিত হয়েছিল। টম অ্যান্ড জেমের বার্ন ডাউন সাব-লেবেল হিসাবে ওয়াল রেকর্ডিংয়ের সর্বশেষ প্রকাশ ছিল। স্বল্প সময় মুক্ত থাকার পর ২০১৭ সালে এটি আরমদা মিউজিকের একটি সাব-লেবেলে পরিণত হয়েছিল, যদিও ২০১৯ সালে এটি আবার মুক্ত হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত জীবন
আফ্রোজ্যাক এবং প্যারিস হিল্টন তার দ্বিতীয় অ্যালবামটি প্রযোজনার সময় ৬ মাস ধরে ডেটিং করেছিলেন।[20] ডাচ মডেল আমান্ডা বাল্কের সাথে তার পূর্বের সম্পর্কের ভেগাস নামের কন্যা সন্তান রয়েছে।[21]
২০১৯ সালে আফ্রোজ্যাক এবং ইতালিয়ান গায়ক ইলেট্রা লাম্বারগিনি তাদের বাগদান সম্পন্ন করেন।[22]
ডিস্কোগ্রাফি
- ফরগ্যাট দ্য ওয়ার্ল্ড (২০১৪)
পুরস্কার এবং মনোনয়ন
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড
| বছর | বিভাগ | মনোনয়ন / কাজ | ফলাফল | সূত্র |
|---|---|---|---|---|
| ২০১১ | বেস্ট রিমিক্সড রেকর্ডিং, নন-ক্লাসিকাল | "রিভলবার (ডেভিড গেটা'র ওয়ান লাভ ক্লাবের রিমিক্স)" | বিজয়ী | [23] |
| ২০১২ | "কোলাইড (আফ্রোজাক রিমিক্স)" | মনোনীত | ||
| বেস্ট র্যাপ সং | "লুক অ্যাট মি নাউ" | মনোনীত |
এমটিভি ইউরোপ মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
| বছর | বিভাগ | মনোনয়ন / কাজ | ফলাফল | সূত্র |
|---|---|---|---|---|
| ২০১১ | বেস্ট ডাচ অ্যাক্ট | আফ্রোজ্যাক | মনোনীত | [24] |
| ২০১২ | বিজয়ী | [25] | ||
| বেস্ট ইউরোপীয়ান অ্যাক্ট | মনোনীত | |||
| ২০১৩ | বেস্ট ইলেকট্রনিক | মনোনীত | [26] | |
| বেস্ট ডাচ অ্যাক্ট | মনোনীত | |||
| ২০১৪ | বেস্ট ইলেকট্রনিক | মনোনীত | [27] | |
| বেস্ট ওয়ার্লড স্টেজ পারফরম্যান্স | আমস্টারডামে ২০১৩ সালে ডব্লিউএস লাইভ | মনোনীত | ||
| ২০১৫ | আমস্টারডামে ২০১৫ সালে ডব্লিউএস লাইভ | মনোনীত | [28] | |
| ২০১৬ | বেস্ট ইলেকট্রনিক | আফ্রোজ্যাক | মনোনীত | [29] |
ডিজে ম্যাগাজিন শীর্ষ ১০০ ডিজে
| বছর | অবস্থান | মন্তব্য | টীকা |
|---|---|---|---|
| ২০১০ | ১৯ | নতুন প্রবেশ | [30] |
| ২০১১ | ৭ | উপরে ১২ | |
| ২০১২ | ৯ | নিচে ২ | |
| ২০১৩ | ৯ | পরিবর্তন নেই | |
| ২০১৪ | ১২ | নিচে ৩ | |
| ২০১৫ | ৮ | উপরে ৪ | |
| ২০১৬ | ১০ | নিচে ২ | |
| ২০১৭ | ৮ | উপরে ২ | |
| ২০১৮ | ৮ | পরিবর্তন নেই | |
| ২০১৯ | ৯ | নিচে ১ | |
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
