Loading AI tools
ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অভিমন্যু মিথুন (কন্নড়: ಅಭಿಮನ್ಯು ಮಿಥುನ್; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৮৯) কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অভিমন্যু মিথুন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারত | ২৫ অক্টোবর ১৯৮৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬৪) | ১৮ জুলাই ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ জুন ২০১১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৮০) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - | কর্ণাটক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ - | সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করছেন।
কৈশোরে অভিমন্যু মিথুন বর্শানিক্ষেপক ছিলেন। রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন তিনি। তার পিতার সাহচর্য্যে এ সময়ে তিনি প্রশিক্ষণ নিতেন। তবে, এ বিষয়ে তিনি তেমন সফলতা পাননি। জনৈক বন্ধুর পরামর্শক্রমে ক্রিকেট প্রশিক্ষণে যুক্ত হন। ১৭ বছরের পূর্ব পর্যন্ত তিনি চামড়ার বল দিয়ে বোলিং করেননি।[1]
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রধান কোচ রে জেনিংসের সুনজরে ছিলেন। তিনি তাকে গতিশীল বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে, আইপিএলে তিনি খুব কমই ভূমিকা রেখেছিলেন।[2]
২০০৯ সাল থেকে অভিমন্যু মিথুনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারের উপযোগী গড়ন তার। ব্যাঙ্গালোরে নিজ পিতার জিমে নিজেকে শানিত করেন। ছয় ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী হিসেবে বাউন্সারকেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে নিয়ে বোলিং আক্রমণ কার্য পরিচালনায় অগ্রসর হন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিষেক পর্বটি তার জন্যে বেশ আশাপ্রদ ছিল। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট লাভের পর দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাট্রিকসহ পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন। ঐ মৌসুমে তিনি তার তার সম্ভাবনা প্রদর্শন করতে থাকেন। আরও একবার পাঁচ-উইকেট পান তিনি। ২০০৯-১০ মৌসুম শেষে ৪৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।[3] এক দশকেরও অধিক সময় পর কর্ণাটক দল রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয় করে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিষেকের দশ সপ্তাহেরও কম সময়ে আঘাতগ্রস্ত এস. শ্রীশান্তের পরিবর্তে খেলার জন্যে তাকে ভারত দলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, তার কর্ণাটক কোচ সনথ কুমারের কাছে এ বিষয়টি বিস্ময়ের ছিল না। প্রথম দিন থেকেই তার মাঝে সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারি। তার বোলিংয়ে পেস আছে, ঘণ্টাপ্রতি ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করেন। কিশোরদের ক্রিকেট কিংবা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - উভয় স্তরের প্রত্যেক খেলাতেই তিনি সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে চলছেন।
২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার মাত্র দশ সপ্তাহ পরই তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, তাকে প্রথম একাদশে খেলানো হয়নি। এছাড়াও, আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে খেলেছেন তিনি। নভেম্বর, ২০১৯ সালে প্রথম বোলার হিসেবে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের তিন স্তরের ক্রিকেটে হ্যাট্রিক করার গৌরবগাঁথা রচনা করেন।[4][5]
জুলাই, ২০১৮ সালে দিলীপ ট্রফিতে ইন্ডিয়া রেডের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[6] অক্টোবর, ২০১৯ সালে বিজয় হাজারে ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় নিজের জন্মদিনে হ্যাট্রিক করেন। ঐ খেলায় তার দল তামিলনাড়ুর বিপক্ষে জয়ী হয়।[7] নভেম্বর, ২০১৯ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির প্রথম সেমি-ফাইনালে হরিয়ানার মুখোমুখি হয় কর্ণাটক দল। এক ওভারেই তিনি পাঁচ উইকেট পান। তন্মধ্যে, হ্যাট্রিক পেয়েছিলেন তিনি। তার এ সাফল্যটি টি২০ ক্রিকেটে অনবদ্য রেকর্ড হিসেবে চিত্রিত হয়।[8]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও পাঁচটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অভিমন্যু মিথুন। ১৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে গালেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ জুন, ২০১১ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক হয়। এর পাঁচ মাস পর শ্রীলঙ্কা সফর করেন। এরপর থেকেই তিনি দলে আসা-যাওয়ার পালায় রয়েছেন। প্রায়শঃই তাকে দলের কোন আঘাতগ্রস্ত খেলোয়াড়ের স্থলাভিষিক্ত খেলোয়াড়ের মর্যাদা দেয়া হয়।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে গালেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ খেলায় তিনি চার উইকেট দখল করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে এগারো নম্বরে ব্যাটিং করেন। তবে, সতীর্থ বোলারদের তুলনায় বেশ ভালোমানের ব্যাটিং করায় তাকে দ্বিতীয় ইনিংসে নয় নম্বরে নিয়ে আসা হয়। এ অবস্থানে থেকে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
তবে, তাকে ভারতের পক্ষে খেলার জন্যে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তাসত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে চমৎকার বোলিং করে যান। ২০১৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে মৃত্যুদূততুল্য বোলার হিসেবে খেলবেন।[2]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ২৮ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে অভিনেত্রী রাধিকা’র কন্যা ও মেয়েবান্ধবী রায়ানেকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের এ বিয়েতে ক্রিকেট ও রাজনীতিবিদদের সমাগম ছিল।[9] ৭ জুন, ২০১৮ তারিখে তাদের এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। [10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.