কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হারবাং বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত চকরিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
হারবাং | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
১নং হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে হারবাং ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°৫১′১৪″ উত্তর ৯২°৪′১৬″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কক্সবাজার জেলা |
উপজেলা | চকরিয়া উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ (পলাতক) |
আয়তন | |
• মোট | ৬৯.১৭ বর্গকিমি (২৬.৭১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৩৯,৩৫১ |
• জনঘনত্ব | ৫৭০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩২.০৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৭৪০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হারবাং ইউনিয়নের আয়তন ১৭,০৯২ একর (৬৯.১৭ বর্গ কিলোমিটার)।[১]
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হারবাং ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৪৪,৮২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯,৩২৬ জন এবং মহিলা ২০,০২৫ জন।[২]
চকরিয়া উপজেলার সর্ব-উত্তরে হারবাং ইউনিয়নের অবস্থান। চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বড়ইতলী ইউনিয়ন, পশ্চিমে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন ও টৈটং ইউনিয়ন, উত্তরে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়ন ও লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়ন এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন অবস্থিত।
জনশ্রুতি আছে, গৌতমবুদ্ধের নির্দেশে তার অনুচর ভ্যেয়াইয়া নামক একজন বৌদ্ধ ধর্মানুসারী বর্তমান হারবাং অঞ্চলে অবস্থান করে এবং জঙ্গল কেটে পরিকল্পিত বসতি গড়ে তুলে। তাই বসতি স্থপনকারী নেতার নামানুসারে এলাকটির প্রাচীন নাম ছিল ভ্যেয়াইয়া কাটা। আবার অনেকের মতে, কুখ্যাত পতুর্গিজ জলদস্যুর সর্দার হার্মাদের প্রধান ঘাঁটি ছিল হারবাং এবং হার্মাদ এর নাম থেকে হারবাং নামের উৎপত্তি হয়েছে। কারো কারো মতে, হারবাং নাম ধারণের আগে এই এলাকাটিতে সমুদ্রে লোনা পানি ঢুকে এলাকার ছড়াগুলোকে নুনা করে দিতে বলে এটি নুনাছড়ি নামে পরিচিত ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৭ম-৮ম শতাব্দীর হারবাং এলাকায় প্রচুর রাখাইন জনগোষ্টির বসতি ছিল বলে এটি রাখাইন পাড়া নামেও পরিচিত ছিল। আবার উত্তর পূর্ব দিকে হারবাং এলাকার দিকে তাকালে চাঁদের মত পাহাড়ের কোল ঘেঁষে থাকায় এক সময় এটি পহরচাঁদা নামেও পরিচিত ছিল।[৩]
হারবাং ইউনিয়ন চকরিয়া উপজেলার আওতাধীন ১নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন। জাতীয় সংসদের ২৯৪নং নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-১ এর অংশ। এটি ২টি মৌজায় বিভক্ত।[২]
ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:
ওয়ার্ড নং | গ্রামের নাম |
---|---|
১নং ওয়ার্ড | রাখাইন পাড়া, পাহাড়তলী, শুধাংশু পাহাড়, কাটাখালী |
২নং ওয়ার্ড | গুচ্ছগ্রাম, উত্তর নুনাছড়ি, মধ্যম নুনাছড়ি, পূর্ব নুনাছড়ি, চরপাড়া, শান্তি নগর, পূর্ব স্টেশন পাড়া |
৩নং ওয়ার্ড | কালা সিকদারপাড়া, মহাজন পাড়া, নয়াপাড়া, বাইঘ্যার পাড়া |
৪নং ওয়ার্ড | সিকদারপাড়া, বাজারপাড়া, কুলালপাড়া, মাস্টারপাড়া, জমিদারপাড়া, গোধারপাড়া |
৫নং ওয়ার্ড | দক্ষিণ পহরচাঁদা, মধ্যম পহরচাঁদা, উত্তর পহরচাঁদা, পশ্চিম বড়ুয়াপাড়া, কলইঘোনা, হাছিয়ার কাটা, ডেবলতলী, পাতাখোলা |
৬নং ওয়ার্ড | রোসাইঙ্গাপাড়া, পালপাড়া, ভাইয়া কাটা, মসজিদ মুড়া, মছন সিকদারপাড়া, ধরপাড়া, চন্দ্রঘোনা |
৭নং ওয়ার্ড | মুসলিমপাড়া,কিল্লার পূর্বপাড়া,নাথপাড়া, স্টেশনপাড়া, আলীপুর, চরপাড়া, উত্তর বড়ুয়াপাড়া, আশ্রয়নকেন্দ্র, মইক্কাঘোনা |
৮নং ওয়ার্ড | বৃন্দাবনখীল, পূর্ব বৃন্দাবনখীল (সামাজিক পাড়া), করমমুহুরীপাড়া, সাবান ঘাটা, কাট্টলীপাড়া, গয়ালমারা, লালব্রিজ, বত্তাতলী, আলীপাড়া, ভান্ডারীর ডেপা । |
৯নং ওয়ার্ড | ভিলেজার পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, কলাতলী, কোরবানিয়া ঘোনা, গাইনা কাটা, গোলাম ছোবাহান মিয়ার ঘোনা, ইছাছড়ি |
হারবাং ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩২.০৯%।[১] এ ইউনিয়নে ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[২]
হারবাং ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়।
হারবাং ইউনিয়নে ৩৮টি মসজিদ, ৭টি মন্দির, ১১টি বিহার ও ১টি গীর্জা রয়েছে।[২]
হারবাং ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট/বাজারগুলো হল হারবাং বাজার, হারবাং বাস স্টেশন বাজার, হারবাং লালব্রীজ বাজার, হারবাং গয়ালমারা বাজার, উত্তর হারবাং নয়া বাজার, মগ বাজার এবং ইনানী রিসোর্ট।[৬]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.