হলদিয়া তৈল শোধনাগার
ভারতের তৈল শোধনাগার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের তৈল শোধনাগার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড পশ্চিমবঙ্গ এর হলদিয়াতে ২.৫০ এমএমটিপি তৈল শোধন ক্ষমতা সম্পূর্ণ হলদিয়া তৈল শোধনাগার গড়ে তোলে। এই তৈল শোধনাগারের উদ্বোধন হয় ১৯৭৫ সালে জানুয়ারিতে। মধ্যপাচ্য থেকে আনা খনিজ তেল এই তৈল শোধনাগারে শোধন করা হয়।
দেশ | |
---|---|
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | হলদিয়া |
স্থানাঙ্ক | ২২°০২′০০″ উত্তর ৮৮°০৮′০০″ পূর্ব |
শোধনাগারের বিস্তারিত | |
মালিক | ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেট[1] |
ধারণক্ষমতা | ৮ এম.এম.টি.পি |
হলদিয়া তৈল শোধনাগারে খনিজ তেল শোধন ও প্রেট্রোলিয়াম দ্রব উৎপাদনের দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি ইউনিট জ্বালানি তেল উৎপাদন করে যা ফ্রান্স এর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে পিচ্ছিলকারক দ্রব্য উৎপাদিত হয় যা রোমানিয়ার সহোযোগিতায় নির্মিত হয়।
১৯৭৫ সালে এই শোধনাগারের ক্ষমতা ছিল ২.৫০ এমএমটিপি।এরপর ১৯৮৯ সালে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে করা হয় ২.৭৫ এমএমটিপি।[2] ১৯৯৭ সালে খনিজ তেল শোধনের জন্য একটি ১ এমএমটিপি ক্ষমতার নতুন ইউনিট স্থাপন করা হয় ।ফলে এর উৎপাদন ক্ষমতা হয় ৩.৭৫ এমএমটিপি।বর্তমানে এর উৎপাদন ক্ষমতা ৭.৫০ এমএমটিপি করা হয়েছে।তৈল শোধনাগারটির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ১৫ এমএমটিপি করার কথা চলছে।
শোধনাগারের পাশেই ৮০ একর জমিতে ৩৩০০ কোটি টাকা লগ্নি করে আরও একটি কারখানা গড়বে আইওসি। সেখানে শোধনাগারের বর্জ্য ফার্নেস অয়েল এবং বিটুমিন থেকে তৈরি হবে কোক, ডিজেল ও কেরোসিন তেল। হলদিয়া শোধনাগারে বছরে ৭৫ লক্ষ টন পরিশোধিত তেল উৎপাদিত হত। তা বেড়ে এখন ৮০ লক্ষ টন। শোধানাগারের বর্জ্য হিসাবে উৎপন্ন হয় ফার্নেস অয়েল ও বিটুমিন। কিন্তু বাজারে এই দুই পণ্যের চাহিদা কম। দামও কম। ফলে হলদিয়া শোধনাগারে উত্পাদিত ফার্নেস অয়েল ও বিটুমিনের কিছুটা এখন নষ্ট করে দিতে হয়। সংস্থা সূত্রের খবর, বছর কয়েক আগেই আরও একটি থার্মাল ক্র্যাকিং ইউনিট (চলতি কথায় কোকার প্ল্যান্ট) বসিয়ে বর্জ্য ফার্নেস অয়েল ও বিটুমিন থেকে কোক-ডিজেল-কেরোসিন তেল উৎপাদনের কথা ভাবা হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তাবিত কোকার কারখানায় উৎপাদনের ২০% হবে কোক, আর ৮০% হবে কেরোসিন-ডিজেল। এতে এক দিকে যেমন শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যাবে, অন্য দিকে কম চাহিদার ফার্নেস অয়েল ও বিটুমিনের জায়গায় বেশি চাহিদার কোক-কেরোসিন-ডিজেল উৎপাদন করে পূর্বাঞ্চলের বাজার আরও বেশি ধরার চেষ্টর অংশ এই সম্প্রসারণ। [3]
কোকার প্রকল্প তৈরি করতে প্রয়োজন ৫০ একর জমি। বন্ধ হয়ে যাওয়া হলদিয়া সার কারখানার বাড়তি জমি থেকে ৮০ একর আইওসিকে দিয়েছেন কলকাতা বন্দর কতৃর্পক্ষ।
হলদিয়া বন্দরে মধ্যপাচ্য থেকে আসা ট্যাঙ্কার থেকে খনিজ তেল তেল শোধনাগারে আনার জন্য ৩ কিমি পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে বন্দর থেকে তেল শোধনাগার পর্যন্ত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.