Loading AI tools
ভারতীয় সংবিধান রচনা পর্ষদ-এর সহ-সভাপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হরেন্দ্র কুমার মুখার্জি বা হরেন্দ্র কুমার মুখোপাধ্যায় (৩ অক্টোবর, ১৮৮৭- ৭ আগস্ট, ১৯৫৬) যিনি এইচ সি মুখার্জি নামেও পরিচিত, ছিলেন ভারত ভাগ হওয়ার পূর্বে ভারতীয় সংবিধান-এর খসড়া রচনার জন্যে ভারতীয় সংবিধান রচনা পর্ষদ-এর তিনি ছিলেন সহ-সভাপতি; এবং ভারত ও পাকিস্তান ভাগ হয়ে ভারত প্রজাতন্ত্র হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল।[1][2][3]
হরেন্দ্র কুমার মুখার্জি | |
---|---|
তৃতীয় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল | |
কাজের মেয়াদ ১ নভেম্বর ১৯৫১ – ৮ আগস্ট ১৯৫৬ | |
পূর্বসূরী | কৈলাস নাথ কাটজু |
উত্তরসূরী | ফণীভূষণ চক্রবর্তী |
সহ-সভাপতি ভারতীয় সংবিধান রচনা পর্ষদ | |
রাষ্ট্রপতি | রাজেন্দ্র প্রসাদ |
পূর্বসূরী | Office Established |
সভাপতি সংখ্যালঘু উপ-সমিতি | |
নেতা | বল্লভভাই পটেল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩ অক্টোবর ১৮৮৭ |
মৃত্যু | ৭ আগস্ট ১৯৫৬ ৬৮–৬৯) | (বয়স
হরেন্দ্র কুমার মুখার্জি একজন শিক্ষাসংস্কারক ছিলেন, বাংলার বিশিষ্ট খ্রিস্টান নেতা, এবং সংখ্যালঘু অধিকার কমিটির সভাপতি এবং সংবিধান রচনা পর্ষদের রাজ্য সংবিধান কমিটি--ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচনার জন্যে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত, সেই সঙ্গে বর্তমান পাকিস্তান-এর অঙ্গরাজ্য এবং বাংলাদেশ (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান)--সংবিধান শুধুমাত্র মুসলমান এবং শিখদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে মান্যতা দেয়—ভারত প্রজাতন্ত্র হওয়ার পর, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে এই একই সংবিধান রচনা পর্ষদ প্রথম ভারতের সংসদ হিসেবে পরিগণিত হয়।[2][3][4][5][6][7][8]
হরেন্দ্র কুমার মুখার্জি বঙ্গদেশের কলকাতায় সম্ভ্রান্ত বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম লালচাঁদ মুখোপাধ্যায়। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে রিপন কলেজ থেকে এফ.এ এবং ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে ইংরাজীতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম.এ পাশ করেন। এরপর সিটি কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা ও বরিশাল রাজচন্দ্র কলেজ ও কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংরাজীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় হিসাবে পিএইচডি লাভ করেন। [9] তিনি একজন মানবহিতৈষী এবং শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন।[10]
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বহু পদ অলংকৃত করেছেন--অধ্যাপক হিসেবে, সম্পাদক, স্নাতকোত্তর শিক্ষক সংসদ, কলাবিভাগ, কলেজ পরিদর্শক, ১৯৩৬ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত ইংরেজি প্রফেসর, এবং ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তিনি পরবর্তীকালে 'বঙ্গীয় বিধান পরিষদ'-এ মনোনীত হন এবং 'বঙ্গীয় বিধানসভা'য় নির্বাচিত হন।[8][11][12]
যখন তিনি সংবিধান রচনা পর্ষদের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং সংখ্যালঘু সাব-কমিটি ও প্রাদেশিক সংবিধান কমিটির সভাপতি ছিলেন, তিনি সংখ্যালঘুদের উন্নতিসাধনে রাজনীতি সমেত সব ক্ষেত্রে সংরক্ষণের পরামর্শ দিতে শুরু করেন। ভারত বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার মনোভাব বদল করেন এবং এটা সংখ্যালঘুদের ভাষা ও সংস্কৃতির রক্ষণের সংস্থানের দিকে সীমাবদ্ধ রাখেন--এই পর্যায়ে, এই অবস্থান মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশদায়িত করেন।[2][3][4][5][7][13][14][15]
সংবিধান রচনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পর, ড. মুখার্জি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন, ১ নভেম্বর ১৯৫১ থেকে ৭ অগস্ট ১৯৫৬ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। বঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন সময়ে, ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি 'দেশবন্ধু মেমোরিয়াল সোসাইটি'র সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। শিক্ষকসুলভ অনাড়ম্বর জীবনযাত্রার জন্য রাজ্যপাল থাকাকালে জনসাধারণের শ্রদ্ধাভাজন হন। [9] ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অগস্ট কলকাতা কার্যালয়ে তার দেহাবসান হয়।[16]
হরেন্দ্র কুমার মুখার্জি বঙ্গে খ্রিস্টানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এবং জাতীয় রাজনীতিতে তার অংশগ্রহণের পর, তিনি 'সর্ব ভারতীয় খ্রিস্টান পর্ষদে'র সভাপতি নির্বাচিত হন, তিনি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ছাড়াও সর্বভারতীয় খ্রিস্টানদের প্রতিনিধি ছিলেন।[17][18]
তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর সদস্যও ছিলেন এবং বঙ্গ খ্রিস্টান গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।[19] He confessed to his community as:
We have to demonstrate by every word we utter and by every act we perform that the professing of a different religious faith has not tended in the least to make us less Indian in our outlook than our non-Christian brethren, that we are prepared to play our part and to shoulder our share of the responsibility in every kind of work undertaken for the benefit of our country as a whole.[19]
[8] তার গোষ্ঠীর কাছে তার স্বীকারোক্তি:
আমাদের প্রত্যেকটা শব্দ উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে প্রদর্শন করতে হবে এবং প্রত্যেকটা কাজের দ্বারা আমরা সম্পাদন করি, বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসে চালিত হওয়া, যেন আমাদের ধারণা না-হয় যে আমাদের অ-খ্রিস্টান ভাইদের চেয়ে আমরা কম ভারতীয়, সাকুল্যে দেশের কল্যাণে যেকোনো রকমের কাজের ভার নিয়ে আমাদের জন্যে বরাদ্দ কাজের দায়িত্ব কাঁধে নিতে আমরা প্রস্তুত.[19]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.