হরিলাল মোহনদাশ গান্ধী (দেবনাগরী: हरीलाल गांधी), ১৮৮৮ – ১৮ জুন ১৯৪৮) ছিলেন মহাত্না গান্ধীর বড় ছেলে। [১]
হরিলাল গান্ধী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৮ |
মৃত্যু | ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ (বয়স ৬০) |
দাম্পত্য সঙ্গী | গুলাব গান্ধী |
সন্তান | ৫ |
পিতা-মাতা | মহাত্না গান্ধী কস্তুরবা গান্ধী |
প্রাথমিক জীবন
হরিলালের খুব ইচ্ছে ছিল যুক্তরাজ্যে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে একজন ব্যারিস্টার হওয়া ঠিক যেমনটা তার বাবা করেছিলেন। কিন্তু তার পরিবার তাকে বাঁধা দিয়েছিল। কারণ তারা মনে করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় ব্যাপারটি খুব ভালো দেখাবে না।[২]
হরিলাল, গুলাব গান্ধীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের দুই মেয়ে ও তিন ছেলে ছিল। দুই মেয়ের নাম ছিল রাণি ও মানু। তিন ছেলের নাম কান্তি, রশিক ও শান্তি। রশিক ও শান্তি খুব কম বয়সেই মারা যায়। হরিলালের চারজন নাতি-নাত্নি ছিল (অনুশ্রা, প্রবোধ, নিলাম এবং নভমলিকা)। রাণির ছিল দুই সন্তান। কান্তি ও মানুর প্রত্যেকের একটি করে সন্তান ছিল।
রাণির (হরিলালের বড় মেয়ে) পুত্র নিলাম পরিখ তার দাদার (হরিলাল গান্ধী) একটি জীবনী লিখেছিলেন। যেটার শিরোনাম ছিল গান্ধীজীর হারিয়ে যাওয়া রত্ন: হরিলাল গান্ধী।
হরিলাল তার বাবার শ্রাদ্ধে এতোটাই পরিত্যক্ত অবস্থায় উপস্থিত হয়েছিলেন যে খুব কম মানুষই তাকে চিনতে পেরেছিল। ১৯৪৮ সালের ৮ জুন, যকৃৎের অসুখে মুম্বাই এর একটি হাসপাতালে হরিলাল শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন।[৩]
ধর্মান্তরন ও পুনরায় হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন
ইসলাম গ্রহণ
খুব অল্প সময়ের জন্য হরিলাল গান্ধী ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নিজের নাম রেখেছিলেন আব্দুল্লা গান্ধী।
আর্য সমাজের মাধ্যমে পুরনায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ
অবশেষে, তার মায়ের অনুরোধে, আর্য সমাজের মাধ্যমে হরিলাল গান্ধী পুনরায় হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন।
গান্ধীর চিঠি
১৯৩৫ সালের জুনে, মহাত্না গান্ধী হরিলালকে চিঠি লিখেন ধর্ষন ও এলকোহলের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। [৪] এই চিঠিতে,[৫] মহাত্না গান্ধী বলেছেন, হরিলালের সমস্যাগুলো তার কাছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের চাইতেও কঠিন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.