সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা

সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[] বর্তমানে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি স্বশাসিত কলেজ। কলেজটির নামকরণ করা হয়েছিল ভারতভ্রমণকারী ষোড়শ শতাব্দীর জেসুইট সন্ত ফ্রান্সিস জেভিয়ারের নামানুসারে। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে কলেজটির স্বশাসন মঞ্জুর হয়। ফলে এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্বশাসিত কলেজে পরিণত হয়।[]

দ্রুত তথ্য নীতিবাক্য, ধরন ...
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা
Thumb
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা
নীতিবাক্যNihil Ultra
ধরনবেসরকারি, ক্যাথলিক
স্থাপিত১৬ জানুয়ারি, ১৮৬০
রেক্টররেভারেন্ড জর্জ পনডাথ, এস. জে.[]
অধ্যক্ষরেভারেন্ড ফেলিক্স রাজ, এস. জে.[]
ঠিকানা
৩০, মাদার তেরেসা সরণি, কলকাতা - ৭০০০১৬
, , ,
শিক্ষাঙ্গনশহরাঞ্চলীয়
অধিভুক্তিকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটwww.sxccal.edu
Thumb
বন্ধ

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৮৬০ সালের ১৬ জানুয়ারি খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক ও পুরোহিত ডেপেলকিনের নেতৃত্বে জেসুইটরা (সোসাইটি অফ জেসাস) এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। জেসুইটরা ছিলেন একটি খ্রিষ্টীয় ধর্মীয় গোষ্ঠী। ১৫৪০ সালে সেন্ট ইগনেটিয়াস অফ লয়োলা এই গোষ্ঠীর প্রবর্তন করেন। গোড়া থেকেই এই গোষ্ঠী অন্যান্য আরও কয়েকটি বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রেও বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। এক সময়ে তাদের "ইউরোপের স্কুল-মাস্টার" বলেও অভিহিত করা হত।[] ৩০ মাদার তেরেসা সরণির যে বর্তমান ঠিকানায় কলেজটি অবস্থিত অতীতে সেখানেই ছিল সান সৌসি থিয়েটার। একটি অগ্নিকাণ্ডে থিয়েটারটি ভস্মীভূত হলে কলকাতার তদনীন্তন বিশপ ওলিফ কলেজ নির্মাণের জন্য জেসুইটদের এই স্থানটি প্রদান করেন। প্রথমে তিনটি শ্রেণিতে মাত্র ৪০ জন ছাত্র নিয়ে কলেজের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার দুই বছর পরে ১৮৬২ সালে কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। অনেক ধনী অ্যাংলো-ভারতীয় কলেজের উন্নতিতে বহু অর্থ দান করেছিলেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে বর্তমান পাঁচ তলা কলেজ ভবনটি নির্মিত হয়। এই ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ৯ লক্ষ টাকা জোগাড় করা হয়েছিল বেলজিয়ামের সহযোগিতায়, কলকাতাবাসীদের দানে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীকে স্কুল চত্বর ব্যবহার করতে দেওয়ার ভাড়া স্বরূপ পাওয়া বিপুল অঙ্কের অর্থের মাধ্যমে।[][]

১৯৮৫ সালের ১২ এপ্রিল ভারতীয় ডাক কলেজ প্রাঙ্গনের চিত্রসম্বলিত একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।[] ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি কলেজের প্রাক্তনী তথা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি মহম্মদ হামিদ আনসারির উপস্থিতিতে কলেজের প্রথম কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয়।[][]

সেরার তালিকায়

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক এর উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির র‌্যাংকিং এ কলকাতার এই কলেজের সর্বভারতীয় স্থান ১০।[]

বিশিষ্ট প্রাক্তনী

আরও তথ্য নাম, পরিচিতি ...
নামপরিচিতি
লক্ষ্মীনারায়ণ মিত্তল[]ব্যবসায়ী
জগদীশচন্দ্র বসু[]বিজ্ঞানী
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়সাংবাদিক
শম্ভু মিত্রনাট্যব্যক্তিত্ব[১০].
উৎপল দত্তঅভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব, লেখক
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়[]ক্রিকেটার
বিজয় মাল্য[]ব্যবসায়ী
নরম্যান প্রিট্রার্কঅ্যাথলেট
হামুদুর রহমানজুরিস্ট
বেঞ্জামিন ওয়াকারধর্ম ও দর্শন লেখক
দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক
আনন্দ মোহন চক্রবর্তীজেনেটিসিস্ট
চিন্মোহন সেহানবীশবামপন্থী বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিক
জ্যোতি বসুপশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
ড.অর্ণব বসুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের সিনিয়র ফেলো ও কলেজ অফ উইলিয়াম অ্যান্ড মেরির অধ্যাপক
কমল নাথকেন্দ্রীয় মন্ত্রী
মহম্মদ হামিদ আনসারিভারতের উপরাষ্ট্রপতি
অমর সিংহউত্তরপ্রদেশের রাজনীতিবিদ
রেজাউল করিমসাংবাদিক ও সাহিত্যিক
জামাল নজরুল ইসলামভৌত বিজ্ঞানী
লিয়েন্ডার পেজটেনিস খেলোয়াড়[১১]
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীরাজনীতিবিদ[১২]
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯২১) অন্যতম পৃষ্ঠপোষক[১৩]
বন্ধ

আরও দেখুন

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.