সূরা ফাতহ
কুরআন শরীফের ৪৮তম সূরা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সূরা আল-ফাতহ (আরবি ভাষায়: الفتح) হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৪৮ তম সূরা, যাতে ২৯টি আয়াত রয়েছে। সূরাটি হিজরতের ষষ্ঠ বছরে মুসলিম নগর মদীনা ও মক্কার মুশরিকদের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি উপলক্ষে নাজিল হয়। এতে এই বিজয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারপর মুনাফিকদের মনোভাবের সমালোচনা করা হয়েছে, মুসলমানদের প্রতি আরও প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী উল্লেখ করে সূরাটি শেষ হয়েছে।
![]() | |
শ্রেণী | মাদানী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | বিজয় (মক্কা বিজয়) |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ৪৮ |
আয়াতের সংখ্যা | ২৯ |
পারার ক্রম | ২৬ |
রুকুর সংখ্যা | ৪ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | নেই |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা মুহাম্মাদ |
পরবর্তী সূরা → | সূরা হুজুরাত |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ
|
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا বাক্যাংশ থেকে فَتْحًا অংশটি অনুসারে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الفتح (‘ফাত্হ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
সারসংক্ষেপ
- ১-৩ বিজয় (খায়বারের যুদ্ধ)
- ৪-৭ পরাক্রমশালী আল্লাহ্ সত্য মুমিনদের সান্ত্বনাদাতা, কিন্তু মুনাফিকদের শাস্তিদাতা
- ৮-১০ মুহাম্মদের প্রতি আনুগত্য মানে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য
- ১১-১৪ বেদুইন আরবরা হুদাইবিয়ায় তাদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাদের পরবর্তী ভণ্ডামির জন্য নিন্দা করেছিলো
- ১৫-১৬ বেদুইন আরবরা খায়বারে নেওয়া লুটের মালের একটি অংশ প্রত্যাখ্যান করেছিলো, তবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে উৎসাহিত করেছিলো
- ১৭ যারা একাই যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত থাকে তারা অক্ষম
- ১৮-১৯ হুদাইবিয়ায় মুসলিমরা আনুগত্যের জন্য বিজয়ের দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিলো এবং সেখানে থেকে অনেক লুণ্ঠন করেছিলো
- ২০-২৪ মক্কার লুণ্ঠন ঠেকিয়ে দিলেও অনেক গনীমতের মাল ঈমানদারদের জন্য নিশ্চিত ছিলো
- ২৫-২৬ হুদাইবিয়ার অভিযানে আল্লাহ মক্কাকে করুণার কারণে রক্ষা করেছিলেন
- ২৭-২৯ মক্কা বিজয় মুহাম্মদের রসূলত্ব এবং ইসলাম ধর্মের ঐশ্বরিক সত্যায়ন[২]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
৬ষ্ট হিজরীতে হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পাদিত হয়। সন্ধি শেষান্তে কাফেলা যখন হুদাইবিয়ার সন্ধিকে নিজেদের পরাজয় ও অপমান মনে করে মদীনার দিকে ফিরে যাচ্ছিলো তখন দাজনান নামক স্থানে (অথবা কারো কারো মতে কুরাউল গামীম) এ সূরাটি নাযিল হয়।
শান-এ-নুযূল
৬ষ্ঠ হিজরীর যুল-কা’দা মাসে মক্কার কাফেরদের সাথে সন্ধিচুক্তি সম্পাদনের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন সে সময় এ সূরাটি নাযিল হয়। এ ব্যাপারে সমস্ত রেওয়াত একমত।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.