আলবেনিয়ার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পুরাতন মসজিদ (আলবেনীয়: Xhamia e Vjetër; বা সুলাইমান পাশা মসজিদ (আলবেনীয়: Xhamia e Sulejman Pashës)) আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ। মসজিদটিকে কেন্দ্র করেই শহরটি গড়ে ওঠে। উসমানী-আলবেনীয় জেনারেল সুলাইমান পাশা একই সাথে এই মসজিদসহ একটি হাম্মাম ও একটি বেকারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এভাবেই তিনি তিরানা নগর পত্তন করেন।
সুলাইমান পাশা মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | তিরানা, আলবেনিয়া |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৬১৪ |
১৬১৪ সালে নির্মিত এই মসজিদটি তিরানা শহরের প্রাচীনতম মসজিদ। একই সাথে এটি আলবেনিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। জাতিগতভাবে আলবেনীয় এবং উসমানী জেনারেল, সুলাইমান পাশা উসমানীদের হয়ে পারস্যের সাফাভিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।[১]
প্রায় একই রকম একটি সুউচ্চ মিনার থাকার কারণে এত'হেম বে মসজিদের সাথে এই মসজিদটির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। ১৭৯৩ সালে সুলাইমান পাশার বংশধর পেট্রেলার মোল্লা মেহমেদ বে সুলাইমান মসজিদের পাশেই এত'হেম বে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদটির কাজ সমাপ্ত করেন তাঁর পুত্র এত'হেম বে। সুলাইমান পাশা মসজিদটির পাশেই সুলাইমান পাশা বার্গজিনির সমাধি রয়েছে। কাপলান পাশার সমাধি এই সমাধিটির নিকটেই অবস্থিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[২] কিন্তু মসজিদের মিনার টি তখনও অক্ষত ছিল। পরবর্তীতে এত সালে এনভার হোক্সার নেতৃত্বে নতুন কমিউনিস্ট সরকার মিনারটি ধ্বংস করে দেয়। তারা একই সাথে তিরানার ডাইন হোক্সা মসজিদটিও ধ্বংস করে। মসজিদের মিনারটির স্থানে সেটির পরিবর্তে তারা ‘অজানা সৈনিক’ (আলবেনীয়: Ushtari i panjohur) নামক স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে।[৩]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.