Remove ads
ভারতীয় মধ্যযুগীয় ভক্তিবাদী সন্তকবি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সুরদাস (১৪৭৮-১৫৮৩)[৩] ছিলেন মধ্যযুগীয় ভক্তিবাদী সন্তকবি। তিনি হিন্দি ভাষায় গান রচনা করতেন। তিনি অধুনা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর কাব্যের মূল বিষয় ছিল কৃষ্ণ ভক্তি।[৩] তাঁর রচিত পঁচিশটি গ্রন্থের কথা জানা যায়। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সুর সাগর ও সাহিত্য লহরী। সুরদাস ছিলেন হিন্দি সাহিত্যের বাৎসল্য রসের শ্রেষ্ঠ কবি।[৩]
সুরদাস | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৪৭৮ অথবা ১৪৮৩ (অনিশ্চিত) |
মৃত্যু | ১৫৭৯ অথবা ১৫৮৪ |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
পিতামাতা | |
যে জন্য পরিচিত | ভক্তি আন্দোলন, সান্ত মাত, গুরু গ্রন্থ সাহিব |
দর্শন | ভক্তি |
ধর্মীয় জীবন | |
সাহিত্যকর্ম | সুর সাগর , সুর সরাবলী , সাহিত্য লহরি |
সুরদাসের জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তিনি দিল্লির নিকটবর্তী সিরি নামক এক গ্রামে এক সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৩][৪] তিনি ছিলেন জন্মান্ধ।[৪] অতি অল্পবয়সেই ঈশ্বরদর্শনের আকাঙ্ক্ষায় তিনি গৃহত্যাগ করে তীর্থে তীর্থে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন।[৪] আঠারো বছর বয়সে তিনি মথুরার বিক্রমঘাটে উপস্থিত হন।[৪] এরপর তিনি মথুরা ও আগ্রার মধ্যবর্তী গৌঘাটে যমুনার তীরে চলে আসেন।[৪] সেখানে ১৫০৯-১০ সাল নাগাদ তাঁর সঙ্গে বৈষ্ণব ধর্মগুরু বল্লভাচার্যের সাক্ষাৎ হয়।[৩] তিনি বল্লভাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।[৩] এরপর তিনি ব্রজ অঞ্চলের[৪] চন্দ্রসরোবরের নিকট পারসৌলী গ্রামে বসবাস শুরু করেন।[৩] মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ ঘটেছিল।[৩] পারসৌলী গ্রামেই তার জীবনাবসান ঘটে।[৩]
সুরদাসের শিক্ষা সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।[৩] তিনি পদরচনা ও সংগীত বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন।[৩] গ্রাম থেকে চার ক্রোশ দূরে বাস করে নির্জনে পদরচনা করতেন।[৩] ভক্তেরা তাঁর রচিত পদ শোনার জন্য একত্রিত হতেন।[৩] তাঁর প্রথম জীবনের পদগুলি ছিল বিনয় ও দীনভাবাশ্রিত।[৩] বল্লভাচার্যের সংস্পর্শে আসার পর থেকে তিনি এই জাতীয় পদ রচনা বন্ধ করে সখ্য, বাল্য ও মধুর ভাবের পদ রচনা শুরু করেন।[৩]
ড. দীনদয়াল গুপ্ত সুরদাস রচিত পঁচিশটি গ্রন্থের উল্লেখ করেছেন।[৩] এর মধ্যে সুরসাগর, সুরসারাবলী, সাহিত্য-লহরী, সুরপচীসী, সুররামায়ণ, সুরসাঠী ও রাধারসকেলি বর্তমানে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।[৩] ভাগবত পুরাণ-এর অনুকরণে বারোটি স্কন্দে রচিত সুরসাগর ও দৃষ্টিকূট পদাবলি (প্রহেলিকা পদাবলি) সংগ্রহ সাহিত্য-লহরী তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি।[৩][৪] অনেক গবেষক সুরসারাবলী গ্রন্থটিকে অপ্রামাণিক মনে করেন।[৩]
সুরদাসের কাব্যের প্রধান বিষয় কৃষ্ণভক্তি।[৩] সুরদাস কথিত ভক্তিমার্গটি হল "পুষ্টিমার্গীয় ভক্তি"।[৩] সুরদাসের মতে, ভগবানের নাম করাই পোষণ। এই ভক্তির দুই রূপ - সাধন ও সাধ্য। সাধ্য রূপে ভক্ত সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ভগবানের শরণ নেয় এবং ভগবান স্বয়ং ভক্তের ভার গ্রহণ করেন।[৩] ভক্তির দার্শনিক দিকটিও সুরদাসের কাব্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে।[৩]
দেবনাগরী লিপি | বাংলা লিপি |
---|---|
प्रभू मोरे अवगुण चित न धरो । समदरसी है नाम तिहारो चाहे तो पार करो ॥ एक लोहा पूजा में राखत एक घर बधिक परो । पारस गुण अवगुण नहिं चितवत कंचन करत खरो ॥ एक नदिया एक नाल कहावत मैलो ही नीर भरो । जब दौ मिलकर एक बरन भई सुरसरी नाम परो ॥ एक जीव एक ब्रह्म कहावे सूर श्याम झगरो । अब की बेर मोंहे पार उतारो नहिं पन जात टरो ॥ |
প্রভু মোরে অবগুণ চিত ন ধরো। সমদরসী হ্যায় নাম তিহারো চাহে তো পার করো॥ এক লোহা পূজা মেঁ রাখত এক ঘর বধিক পরো। পারস গুণ অবগুণ নহি চিতওয়াত কঞ্চন করত খরো॥ এক নদীয়া এক নাল কহাওয়াত মৈলোঁ হি নীর ভরো। জব দো মিলকর এক বরন ভই সুরসরী নাম পরো॥ এক জীব এক ব্রহ্ম কহাওয়ে সুর শ্যাম ঝগরো। আব কি বের মাঁহে পার উতারো নাহি পন জাত টরো॥ |
দেবনাগরী লিপি | বাংলা লিপি |
---|---|
अखियाँ हरि दर्शन की प्यासी । देखो चाहत कमल नयन को, निस दिन रहत उदासी ॥ केसर तिलक मोतिन की माला, वृंदावन के वासी । नेहा लगाए त्यागी गये तृण सम, डारि गये गल फाँसी ॥ काहु के मन की कोऊ का जाने, लोगन के मन हाँसी । सूरदास प्रभु तुम्हरे दरस बिन लेहों करवत कासी ॥ |
অখিয়া হরি দর্শন কী পিয়াসী। দেখো চাহাত কমল নয়ন কো, নিশী দিন রহত উদাসী॥ কেসর তীলক মোতিন কী মালা, বৃন্দাবন কী বাসী। নেহা লগায়ে ত্যাগী গয়ে তৃণ সম, দারি গয়ে গল ফাঁসী॥ কাহু কে মন কী কৌও কা জানে, লোগন কে মন হাঁসী। সুরদাস প্রভু তুমহরে দর্শ বিন লেহো করবত কাসী॥ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.