Loading AI tools
বাংলাদেশি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম ২৩ জুন, ১৯৩৬) একজন বাংলাদেশি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে "গাছপাথর" ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | বাড়ৈখালী, বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ | ২৩ জুন ১৯৩৬
ছদ্মনাম | গাছপাথর |
পেশা | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অধ্যাপক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশি |
ধরন | সাহিত্য, পরিবেশ |
সাহিত্য আন্দোলন | পরিবেশ আন্দোলন |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি, দ্বিতীয় ভুবন, নিরাশ্রয় গৃহী |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক |
তিনি ২৩ জুন, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন মুন্সীগঞ্জ ( প্রাচীন নাম বিক্রমপুর) জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে। তার বাবার নাম হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী ও মা আসিয়া খাতুন।[1] বাবার চাকরিসূত্রে তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃক দুবার উপাচার্য হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইউজিসি অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন।[2] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক।[3] পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। সম্পাদনা করেছেন ‘পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যপত্র’, ‘সচিত্র সময়’, ‘সাপ্তাহিক সময়’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিস’ প্রভৃতি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতির পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’। ‘নতুন দিগন্ত’ প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তার মানুষের লেখালেখির জন্য পরিচিত।[4] ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।[5]
ক্রমিক নং | সম্পাদনার বিবরণ | সাল |
---|---|---|
(১) | আনোয়ার পাশা রচনাবলী (তিন খণ্ড) | |
(২) | Dhaka University Convocation Speeches (দুই খণ্ড) | |
(৩) | ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত | ২০০৩[6] |
ক্রমিক নং | পুরস্কারের বিবরণ | সাল | পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা |
---|---|---|---|
(১) | লেখক সংঘ পুরস্কার | ১৯৭৫ | |
(২) | বাংলা একাডেমি পুরস্কার | ১৯৭৬ | বাংলা একাডেমি |
(৩) | আবদুর রহমান চৌধুরী পদক | ১৯৭৮ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
(৪) | লেখিকা সংঘ পদক | ১৯৮০ | |
(৫) | মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক | ১৯৮৩ | |
(৬) | অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার | ১৯৮৮ | |
(৭) | একুশে পদক[7] | ১৯৯৬ | বাংলাদেশ সরকার |
(৮) | আবদুর রউফ চৌধুরী পুরস্কার | ২০০১ | |
(৯) | ঋষিজ পদক[8] | ২০০২ | |
(১০) | শেলটেক পদক[9][10] | ২০১৭ | শেলটেক |
(১১) | প্রথম আলো বর্ষসেরা বই | ১৪২১ | প্রথম আলো |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.