উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাতকর্ণী সাতবাহন রাজবংশের ষষ্ঠ সম্রাট ছিলেন।
সাতকর্ণী | |
---|---|
'সাতবাহন সম্রাট' | |
পূর্বসূরি | স্কন্দস্তম্ভি |
উত্তরসূরি | লম্বোদর |
প্রাসাদ | সাতবাহন রাজবংশ |
কলিঙ্গ রাজ খারবেলের হাথিগুম্ফা শিলালিপিতে সাতকর্ণীর উল্লেখ রয়েছে। এই লিপি থেকে জানা যায় যে, খারবেল তার রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে রাজা সাতকর্ণীকে অগ্রাহ্য করে অশ্ব, হস্তী, পদাতিক ও রথ বিশিষ্ট চতুরঙ্গ সেনা পাঠিয়ে মসিকনগর বা মুসিকনগর বা অসিকনগর নামক একটি শহর অবরোধ করেন। শাহুর মতে অসিকনগর অস্সক মহাজনপদমহাজনপদের রাজধানী ছিল।[১]:১২৭, আবার অজয় মিত্র শাস্ত্রীর মতে, অসিকনগর বর্তমান নাগপুর জেলার অদম গ্রাম যেই স্থানে অবস্থিত, সেখানেই অবস্থিত ছিল। এই গ্রাম থেকে আবিষ্কৃত একটি টেরাকোটা শীলমোহর থেকে অস্সক মহাজনপদের উল্লেখ রয়েছে।[২][৩]
বিভিন্ন পণ্ডিত বিভিন্ন ভাবে দ্বিতীয় বছরের ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছেন যে, খারবেল সাতকর্ণীর বিরুদ্ধে একটি সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন। শৈলেন্দ্রনাথ সেনের মতে, এই সেনা কৃষ্ণা নদী পর্য্যন্ত যাত্রা করে মুসিকনগর অবরোধ করে, যা কৃষ্ণা ও মুসী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল।[৪] ভগবানলাল ইন্দ্রজীর মতে, সাতকর্ণী খারবেলের আক্রমণ এড়ানোর উদ্দেশে তাকে চতুরঙ্গ সেনা উপহার প্রদান করেন। এই বছরই কুসুম্ব ক্ষত্রিয়দের সহায়তায় খারবেল মসিক নামক শহর অধিকার করেন।[৫] অ্যালেইন দানিয়েলোউ মনে করেছেন যে, খারবেলের সঙ্গে সাতকর্ণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এবং কোন রকম লড়াই ছাড়া খারবেল তার রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন।[৬] সুধাকর চট্টোপাধ্যায়ের মতে খারবেলের সেনা সাতকর্ণীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হতে সক্ষম না হলে অন্যদিকে যাত্রা করে আসিকনগর অবরোধ করে।[৭]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.