Loading AI tools
ইসলামি পণ্ডিত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাইফুল ইসলাম একজন ইসলামী পণ্ডিত এবং ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ইসলামিক বিদ্যালয় জামিয়ায় খাতামুন নবীয়েন (জে কেএন) এর প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যক্ষ ও পরিচালক। তিনি ব্র্যাডফোর্ডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত এবং লেকচারার , শিক্ষা এবং বই লেখার ক্ষেত্রে তার বড় অবদানের জন্য জাতীয়ভাবেও স্বীকৃত।[১] তিনি ইসলামের শাস্ত্রীয় শিক্ষার পণ্ডিত এবং ইসলামী বিজ্ঞান এবং শাস্ত্রীয় শিক্ষাদান পদ্ধতির প্রচার করছেন। [২] তিনি স্থানীয়ভাবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অন্যান্য অনেক বিভাগে দায়িত্বরত। তিনি একটি পারিবারিক ম্যাগাজিন "আল মু'মিন" এর সম্পাদক। [৩]
সাইফুল ইসলাম | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতিসত্তা | বাংলাদেশী, ব্রিটিশ |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | ইসলাম, হাদিস, তাফসীর, ফিকহ |
এর প্রতিষ্ঠাতা | জামিয়া খাতামুন নাবিয়ীন |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | ইউসুফ মুতালা |
ভিত্তিক | ব্র্যাডফোর্ড |
যার দ্বারা প্রভাবিত
|
মুফতী সাইফুল ইসলাম ১৯৭৪ সালে আগস্টে বাংলাদেশের সিলেট, বিশ্বনাথ জেলার দুহাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। [৪] তার পিতা মুহাম্মদ আলী এবং তার দাদা ছিলেন সোয়েদ আলী। তারা চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। প্রথমে তার পরিবারের প্রবীণরা তাকে শামসুল ইসলাম নাম দিয়েছিলেন কিন্তু পরে তার চাচা তার ডাক নাম সাইফুল ইসলাম রাখেন। ১৯৮১ সালের ১ মার্চ,মুফতী সাইফুল ইসলামের পিতা পরিবারকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারা যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার অঞ্চলে অবস্থিত ব্র্যাডফোর্ড শহরে বসবাস করেন।
১৯৮৭ সালে ১৩ বছর বয়সে সাইফুল ইসলাম সফলতার সাথে যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের স্থানীয় মক্তব, তাওয়াক্কুলিয়া জামে মসজিদে তার হিফজুল-কুরআন (কোরআনের স্মৃতি) সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বেসিক উর্দু, ফিকহ, ইসলামিক ইতিহাস, সরফ (ব্যুৎপত্তি) এবং নাহু (সিনট্যাক্স) অধ্যয়ন করেন। ১৯৮৮ সালে সাইফুল ইসলামকে ইসলামের ক্ষেত্রে আরও জ্ঞান অর্জনের জন্য দারুল উলূমে ব্যারিতে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি তখন বিখ্যাত দাঈ ইউসুফ মুতালা সাহেবের সাথে প্রথম সাক্ষাত করেন। সাইফুল ইসলাম উসূলে শরীয়ত, আরবী সাহিত্য, উর্দু, ফিকহ, ইসলামী ইতিহাস, সরফ (ব্যুৎপত্তি) এবং মুফতী তাহির সোফিরের অধীনে নাহু (সিনট্যাক্স) এবং শায়খ সালিম দহুরাতের অধীনে মীরাস (উত্তরাধিকারসূত্র) পড়াশোনা করেছেন।এবং শায়খ মুহাম্মদ উমরজি কাছে ও তিনি পড়েছেন। ১৯৯৫ সালে বিশ বছর বয়সে সাইফুল ইসলাম দারুল উলূম ব্যারি থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) শেষ করেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আলিম উপাধি লাভ করেন। তার চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষে তিনি দারুল-উলূম, ব্যারিতে বিশিষ্ট পণ্ডিতদের দ্বারা সিহা-সিত্তার ৬ টি কিতাব অধ্যয়ন করেছিলেন। ইসলামুল-হক মুহাজির মাদানীর অধীনে সহীহ আল-বুখারী, ইউসুফ মুতালার কাছে সহীহ আল-মুসলিম, হাশিম ঝোঘোয়ারি কাছে আবু দাউদ, বিলাল বাওয়া এবং আবদুর রহিম লিম্বদার কাছে ইবনে মাজাহ । ১৯৯৬ সালে তিনি ইফতা কোর্স সম্পন্ন করেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মুফতি উপাধি লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে মুফতি সাইফুল ইসলাম জামিয়া খাতামুন নবীয়ীন নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন তার সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে জে কে এন ।
পাশাপাশি জামেয় খাতামুন নবীয়ীন (জে কেএন ইনস্টিটিউট) এর প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যক্ষ ও পরিচালক, শাইখ মুফতি সয়ফুল ইসলাম স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অন্যান্য অনেক বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি ‘আল মু’মিন ম্যাগাজিনের সম্পাদকও। তিনি বর্তমানে তাওয়াক্কুলিয়া জামে মসজিদের সভাপতির পদে রয়েছেন। আল কাওথার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ইউকে শাখায় জমিয়তুল উলামা বাংলাদেশের সচিব। মজলিস তাহাফুজ-এ-খাতমে-নবুওয়াত (ব্র্যাডফোর্ড) এর ভাইস-চেয়ারপারসন এবং ওল্ডহ্যামের ইজহার-হকের ভাইস-চেয়ারপারসন। [৫] তিনি আল মু'মিন প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালক ও বালিকা উভয়ের জন্য অলিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও ওল্ডহ্যামের আল-হুদা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকও।আরো শায়খ মুফতী সয়ফুল ইসলাম হলেন জামিয়া জাকারিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, সিলেটের বিশ্বনাথের জামিয়া আল-কাওসার এর দায়িত্বশীল।
শায়খ মুফতী সয়ফুল ইসলাম তার ছাত্রত্ব থেকেই দারুল উলূম, বুড়িতে ছাত্র-ছাত্রী কে কুরআন ও ইসলামিক জ্ঞান শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন। জে কেএন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি আরবি, ফিকহ ও তাজবীদ, উসোল, হাদীস ও তাফসিরের প্রতিটি বিষয় শিক্ষাদান করেন ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.