সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ

সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ (ইংরেজি: Ceded and Conquered Provinces) হল ১৮০৫ থেকে ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসিত ভারতের উত্তর দিকের একটি অঞ্চল।[] এটি অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রায় সমস্ত অঞ্চল (অবধের লখনউফৈজাবাদ বিভাগ ছাড়া) এবং দিল্লি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। ১৮১৬ সালের পর কুমায়ুন বিভাগ এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই সঙ্গে অধুনা উত্তরাখণ্ড রাজ্যের[] ১৯৩৬ সালে এই অঞ্চল নিয়ে উত্তরপশ্চিম প্রদেশ (লেফট্যানেন্ট-গভর্নরের অধীনে) গঠিত হয়। পরে ১৯০৪ সালে আগ্রা প্রদেশ গঠিত হয় আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশের মধ্যে।[] গাড়ওয়াল বিভাগের একটি বড়ো অংশও[] এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

দ্রুত তথ্য সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ Ceded and Conquered Provinces, রাজধানী ...
সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ
Ceded and Conquered Provinces
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঞ্চল
১৮০৫–১৮৩৪
Thumb
পতাকা
রাজধানীআগ্রা
আয়তন 
 ১৮৩৫ (?)
৯,৪৭৯ বর্গকিলোমিটার (৩,৬৬০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
 ১৮৩৫ (?)
৪৫০০০০০
ইতিহাস 
 প্রতিষ্ঠিত
১৮০৫
 বিলুপ্ত
১৮৩৪
উত্তরসূরী
আগ্রা প্রেসিডেন্সি
বর্তমানে যার অংশউত্তরপ্রদেশ
উত্তরাখণ্ড
রাজস্থান
মধ্যপ্রদেশ
হিমাচল প্রদেশ
হরিয়ানা
দিল্লি
অঞ্চলের অংশবিশেষ
বন্ধ

সমর্পিত প্রদেশসমূহ

১৯শ শতাব্দীর প্রথম দিকে শুধুমাত্র অধুনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেনারস বিভাগএলাহাবাদের দুর্গটি ব্রিটিশ শাসনাধীনে ছিল।[] ১৮০১ সালে অবধের নবাব সাদাত আলি উত্তরপশ্চিম দিক থেকে আহমদ শাহ দুরানির নাতি জামান শাহ দুরানির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে অবধের কিছু অঞ্চল ব্রিটিশদের হাতে সমর্পণ করেন।[] এই অঞ্চলের মধ্যে ছিল গোরখপুররোহিলখণ্ড; এলাহাবাদ, ফতেপুর, কানপুর, এটাওয়া, মৈনপুরি, এটা জেলা; মির্জাপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল; এবং কুমায়ুনের "তরাই" পরগনাগুলি। এই অঞ্চলটি "সমর্পিত প্রদেশসমূহ" নামে পরিচিত হয়।[] এক বছর বাদে ফারুকাবাদের নবাব ফারুকাবাদ জেলাটিকে ব্রিটিশদের হাতে সমর্পণ করেন।[]

বিজিত প্রদেশসমূহ

দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সময় জেনারেল লেক মিরাট বিভাগ (আলিগড়ের যুদ্ধের পর আলিগড় সহ) এবং অনতিবিলম্বে আগ্রা বিভাগের অবশিষ্টাংশ (আগ্রা শহর সমেত) এবং দিল্লির পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি জয় করেন।[] সেই সঙ্গে বান্দাহামিরপুরের "যমুনোত্তর জেলাসমূহ" যুক্ত হয়। সেই সঙ্গে জালাউন জেলার অল্প কিছু অংশও যুক্ত হয়।[]

১৮১৬ সালে সুগাউলির সন্ধি সন্ধি সাক্ষরের মাধ্যমে ইঙ্গ-নেপাল যুদ্ধ (১৮১৪-১৮১৬) সমাপ্ত হয়। এই সময় অধুনা উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন বিভাগদেরাদুন জেলা অন্তর্ভুক্ত হয়।[]

প্রশাসন

"সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ" ব্রিটিশ ভারতে কোম্পানির শাসনকালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির একটি অংশ ছিল।[] নতুন অধিকৃত অঞ্চলগুলির থেকে প্রেসিডেন্সির রাজধানী কলকাতার দূরত্ব বেশি হওয়ায় প্রশাসনিক কাজে অসুবিধা হচ্ছিল।[] এই কারণে কিছু সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় ১৮৩১ সালে এই অঞ্চলের জন্য একটি স্বাধীন রাজস্ব বোর্ড এবং একটি পৃথক সদর দেওয়ানি ও নিজামৎ আদালত (প্রধান দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত) গঠিত হয়।[] ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। এই আইন বলে "সমর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ" নিয়ে আগ্রা প্রেসিডেন্সি গঠিত হয়। নতুন প্রেসিডেন্সির জন্য একজন নতুন গভর্নরও নিযুক্ত হন।[] যদিও এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়নি। তাই ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আরেকটি আইন পাস করে এই অঞ্চলটিকে উত্তরপশ্চিম প্রদেশ নামে চিহ্নিত করা হয় এবং এই প্রদেশের জন্য একজন লেফট্যানেন্ট-গভর্নরের পদ সৃষ্টি করা হয়। প্রথম লেফট্যানেন্ট-গভর্নর চার্লস মেটক্যাফে ১৮৩৬ সালে নিযুক্ত হন।[]

আরও দেখুন

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.