- জৈবিক দমনে ব্যাঙ, চিল, পেঁচা, গুইসাপ, মাকড়সা, লেডী বার্ড বিটল, ক্যারাবিড বিটল, বোলতা, মিরিড বাগ, ওয়াটার বাগ, ড্যামসেল ফড়িং প্রভৃতি উপকারী পোকামাকড় ও অন্যান্য প্রাণী ক্ষতিকারক পোকা দমনে যথেষ্ট সাহায্য করে।
- উপকারী পোকামাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য :
- ধান ক্ষেতের আইলে শিম ও শসা জাতীয় ফসল আবাদ করা।
- জমিতে পরিমিত পরিমাণ পানি রাখা।
- ফসল কাটার অন্তত: ৪/৫ ঘণ্টা পর জমিতে লাঙল দেওয়া।
- ফসল কাটার পর আইলে কিছু খরকুটা বিছিয়ে দেওয়া।
- জমিতে বাঁশের বুষ্টার স্থাপনের মাধ্যমে বোলতা প্রতিপালন করা।
- বালাইনাশকের এলোপাতাড়ি ব্যবহার পরিহার করা।
বালাই সহনশীল জাতের চাষাবাদ
ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ অনেকাংশে রোধ করতে পারে। যেমন-
- বি আর ২৬: সাদা-পিঠ গাছ ফড়িং ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধশীল এবং পাতাপোড়া রোগ, বাদামি গাছ ফড়িং সবুজ পাতা ফড়িং আক্রমণে মধ্যম প্রতিরোধশীল।
- বাদামী গাছ ফড়িং ও সবুজ পাত ফড়িং আক্রমণে মধ্যম প্রতিরোধশীল ।
- ব্রি ধান ২৭: সাদা পিঠ গাছ ফড়িং এর আক্রমণে প্রতিরোধশীল।
- টুংরো, ব্লাস্ট, পাতাপোড়া রোগ এবং বাদামি গাছ ফড়িং ও পামরী পোকার আক্রমণে মধ্যম প্রতিরোধশীল।
- ব্রি ধান ৩১: বাদামি গাছ ফড়িং পোকার আক্রমণে প্রতিরোধশীল এবং পাতা পোড়া ও টুংরো রোগে মধ্যম প্রতিরোধশীল ।
- ব্রি ধান ৩৫: বাদামি গাছ ফড়িং প্রতিরোধশীল এবং টুংরো রোগ মধ্যম প্রতিরোধশীল ।
আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির ব্যবহার
সুস্থ বীজ, সঠিক দূরত্বে রোপন, সবল চারা, সুষম সার, আগাছা মুক্ত জমি, সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা, সারিতে রোপণ ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণে অধিক ফলন পাওয়া যায়।
যান্ত্রিক দমন পদ্ধতি
- হাত জালের সাহায্যে পোকা ধরে মারা।
- আলোর ফাঁদে পোকা ধরা।
- আক্রান্ত পাতার আগা কেটে দেওয়া।
- পাখি বসার জন্য ডাল পুঁতা।
- হাত দিয়ে পোকার ডিম সংগ্রহ করে ধংশ করা।
- এসব পদ্ধতি ব্যবহারে বালাইকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা
- নিয়মিতভাবে অপকারী ও উপকারী পোকামাকড়ের উপস্থিতি জরিপ করা।
- সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে কেবল আক্রান্ত জমিতে সঠিক বালাইনাশক, সঠিক সময়, সঠিক মাত্রায় ও সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা।
প্রথম ৪টি উপাদানের সাহায্যে ও যদি ক্ষতিকারক পোকা- মাকড় ও রোগের আক্রমণ দমিয়ে রাখা সম্ভব না হয়, কেবল তখনই সর অর্থনৈতিক দ্বারপ্রান্তে (ইটিএল) পৌঁছে গেলে তখনই বালাইনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার করা দরকার।