Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সঙ্গীতকল্পতরু হল একটি বাংলা গানের সংকলন গ্রন্থ। এই গ্রন্থের সম্পাদক স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে) ও বৈষ্ণবচরণ বসাক। ১৮৮৭ সালের অগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার আর্য পুস্তকালয় থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত দিলীপকুুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীতসাধনায় বিবেকানন্দ ও সঙ্গীতকল্পতরু বইটিতে সঙ্গীতকল্পতরুর স্বামীজীর লেখা ভূমিকাটি মুদ্রিত হয়। প্রথম প্রকাশেের নয় মাসের মধ্যে সঙ্গীতকল্পতরুর তিনটি মুদ্রণ পাওয়া যায়। এর প্রায় ১১২ বছর পরে, ২০০০ সালে, প্রাসঙ্গিক তথ্য ও আলোচনা-সহ সর্বানন্দ চৌধুরীর সম্পাদনায় সঙ্গীতকল্পতরুর নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়,রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার থেকে।এটির প্রকাশক স্বামী প্রভানন্দ। আনুুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। সঙ্গীতকল্পতরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
লেখক | স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে) বৈষ্ণবচরণ বসাক |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | বাংলা গানের সংকলন |
প্রকাশিত | প্রথম প্রকাশ : ১৮৮৭ নতুন সংস্করণ: ২০০০ (রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৭৩০ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৮১-৮৭৩৩-২৮৮-৬ |
এই বইটি বাংলা গানের একটি সংকলন গ্রন্থ। এখানে কণ্ঠ ও যন্ত্রসংগীতের বিভিন্ন বিষয়ও আলোচিত হয়েছে।[1] বইটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত এবং গানগুলি বিষয় অনুযায়ী সাজানো। প্রথম বিভাগে আছে দেশাত্মবোধক গান।[2] বইটিতে ১২টি রবীন্দ্রসংগীত রয়েছে।[lower-alpha 1][3]
বইটিতে ৯০ পাতা জুড়ে সংগীত তত্ত্ব আলোচিত হয়েছে এবং ১৮ পাতা জুড়ে চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, রামপ্রসাদ সেন প্রমুখ কবিদের জীবনীও আলোচিত হয়েছে।[4] বইটি বিবেকানন্দের সন্ন্যাস গ্রহণের আগে সংকলিত হয়েছিল। এই বইটিতে অন্তর্ভুক্ত ১২টি রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে তিনটি রবীন্দ্রনাথ নিজে বিবেকানন্দ ও অন্যান্যদের শিখিয়েছিলেন। [5] সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে রাজনারায়ণ বসুর কন্যা লীলা দেবীর বিবাহ অনুষ্ঠানে বিবেকানন্দ ও অন্যান্যরা এই গানগুলি সমবেত কণ্ঠে গেয়েওছিলেন। বইটি প্রকাশের আগে বিবেকানন্দ নিজেও তিনটি গান লিখেছিলেন, যার মধ্যে একটি তিনি বরানগর মঠে গাইতেন।[6]
এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গান হল—[7]
গান | বর্গ | রচয়িতা | রাগ | তাল |
---|---|---|---|---|
যাবে কি হে দিন বিফলে চলিয়ে | ব্রহ্মসংগীত | মুলতান | একতাল | |
মন চল নিজ নিকেতনে | ব্রহ্মসংগীত | অযোধ্যানাথ পাকড়াশী | সুরাত মল্লার | একতাল |
গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে | ব্রহ্মসংগীত | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর[7] | জয়জয়ন্তী | ঝাঁপতাল |
মলিন পঙ্কিল মনে কেমনে ডাকিব তোমায় | ভক্তিগীতি | বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী | মুলতান | আধাঠেকা |
বিপদ ভয় বরণ যে করে ওরে মন | ভক্তিগীতি | যদুভট্ট | ছায়ানট | ঝাঁপতাল |
দেখিলে তোমার সেই অতুল প্রেম আনেনা | ভক্তিগীতি | গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর | বাহার | একতাল |
তুমি আমার বন্ধু, কী বলি তোমায় নাথ | কীর্তন | |||
ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন | বাউল গান | — | ||
প্রভু ম্যায় গুলাম, ম্যায় গুলাম, ম্যায় গুলাম তেরা | ভজন | — |
১৮৮৭ সালের অগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার ১১৮, আপার চিৎপুর রোডে অবস্থিত আর্য পুস্তকালয় থেকে প্রথম সঙ্গীতকল্পতরু প্রকাশিত হয়। সংকলকের নাম হিসেবে লেখা ছিল “শ্রীনরেন্দ্রনাথ দত্ত, বি. এ. ও বৈষ্ণবচরণ বসাক”। বিবেকানন্দই এই বইয়ের অধিকাংশ গান সংকলন করেছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণবশতঃ কাজটি শেষ করতে পারেননি। রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সংগীতের উপর ৯০ পাতার পরিচিতিটি বৈষ্ণবচরণ বসাকের লেখা।যদিও এর পক্ষে কোনা প্রমাণই নেই। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত ও নিশ্চিতভাবেই বলা যায় এটি স্বামীজীর রচনা।দিলীপকুমারের সঙ্গীতসাধনায় বিবেকানন্দ -তেে ও সর্বানন্দ সম্পাদিত সঙ্গীতকল্পতরু-র প্রাসঙ্গিক আলোচনায় এই বিষয়ে বহু তথ্য আছে। যদিও এই বইয়ের চতুর্থ সংস্করণে বিবেকানন্দের নামটি বর্জিত হয়। বৈষ্ণবচরণ বিবেকানন্দের নাম ও লেখা বাদ দিয়ে বইয়ের নাম দেন বিশ্বসঙ্গীত। এরপর আবার ২০০০ সালে সঙ্গীতকল্পতরু -র নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন ইন্সটিটিউট অব কালচার থেকে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.