বাংলাদেশের হিন্দু মন্দির উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শ্রী চৈতন্য মন্দির বাংলাদেশের সিলেটের গোলাপগঞ্জে অবস্থিত একটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহাসিক তীর্থস্থান।
শ্রী চৈতন্য মন্দির, সিলেট | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | সিলেট জেলা |
ঈশ্বর | কৃষ্ণ |
অবস্থান | |
অবস্থান | মিশ্রপাড়া, ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়ন |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | গোলাব রায় |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | অষ্টাদশ শতাব্দী |
সিলেটের গোলাপগঞ্জের উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামে ভারতীয় উপমহাদেশের বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্য দেবের পৈতৃক নিবাসে মন্দিরটি অবস্থিত; যা হিন্দু ধর্মালম্বীদের নিকট তীর্থস্থান ।[১]
শ্রী চৈতন্য দেবের দাদা শ্রী উপেন্দ্র মিশ্রের বাড়ি ছিল ঢাকা দক্ষিণের মিশ্রপাড়ায় যেখানে তার পিতা শ্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং মাতা শচীদেবী বিবাহ পরবর্তী সময়ে বসবাস করতেন। বিবাহের কিছু দিন পর শচীদেবীর গর্ভবতী হলে তার দিদিমা স্বপ্নে দেখেন যে এই সন্তান হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান; তবে শচীদেবীর সন্তান যেন অন্যত্র ভূমিষ্ঠ হয়। তাই তিনি শ্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং শচীদেবীকে নবদ্বীপে পাঠিয়ে দেন ও বলেন যেন তার নাতি তার সাথে দেখা করতে আসেন। ফলে শ্রী চৈতন্য দিদিমার কথা রক্ষার্থে ঢাকা দক্ষিণে এসেছিলেন।[২]
অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে তৎকালীন সিলেটের গোলাব রায়ের উদ্যোগে এখানে একটি মন্দির নির্মীত হয়। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের নিকট একটি ঐতিহাসিক তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে তীর্থস্থান পরিদর্শনে অসংখ্য পর্যটক আসেন।[৩]
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তার দিদিমার কথা রক্ষার জন্য ঢাকা দক্ষিণে আসেন এবং সেখানে ২ দিন অবস্থান করেন। যদিও কেউ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বলতে পারেন না যে তিনি ঠিক কবে এখানে এসেছিলেন; তবে ধারণা করা হয় যে সেটি চৈত্র মাসের কোন এক রবিবার ছিলো। তাই প্রতি বছর চৈত্র মাসে তার আগমন উপলক্ষে এখানে উৎসবের আয়োজন করা হয়। মাসব্যাপী চলমান এই উৎসবে মেলা, সংকীর্তন, পূঁজা প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়।[৪]
কয়েক বছর আগে সরকারী উদ্যোগে বিশেষত সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে মন্দির সংস্কার করা হয়। এখানে বর্তমানে অতি সুদৃশ্য ৪টি মন্দির রয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.