শিখ ধর্মগ্রন্থ

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

শিখ ধর্মগ্রন্থ

শিখ ধর্মগ্রন্থ হলো শিখধর্মের মূল বিধি-বিধানাবলীর আকড়। প্রধান শিখ ধর্মগ্রন্থ হল আদি গ্রন্থ (প্রথম ধর্মগ্রন্থ), যাকে সাধারণত গুরু গ্রন্থ সাহিব বলা হয়। শিখদের দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ হল "দশম গ্রন্থ"। এই দুটিই শিখ গুরুদের দ্বারা লিখিত বা অনুমোদিত পাঠ্য নিয়ে গঠিত।

শিখধর্মের মধ্যে "শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব" বা আদি গ্রন্থ কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয়। শিখরা এই গ্রন্থকে (পবিত্র গ্রন্থ) জীবন্ত গুরু বলে মনে করে। পবিত্র পাঠ্যটি ১,৪৩০ পৃষ্ঠায় বিস্তৃত এবং এতে শিখ ধর্মের গুরুদের দ্বারা উচ্চারিত প্রকৃত শব্দ ছাড়াও হিন্দুধর্মইসলাম ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মের অন্যান্য সাধুদের কথাও রয়েছে।

পরিভাষাসমূহ

বীর

শিখধর্মে 'বীর' (গুরুমুখী:ਬੀੜ; রোমানাইজড: Bīṛa; বিকল্পভাবে 'বিরহ' হিসাবে বানান করা হয়) হলো একটি পৃথক লেখার সংকলন হিসাবে একটি শিখ ধর্মগ্রন্থের সম্পূর্ণ আয়তনকে বুঝায়।[][] "বীর" শব্দটি সংস্কৃত ক্রিয়াপদ ভিদ হতে উদ্ভূত; যার অর্থ "শক্তিশালী বা মজবুত করা, অভেদ্য, দৃঢ় হওয়া, বলিষ্ঠ করা, বা তেজী, অটল বা শক্ত করা।"[] শিখ ইতিহাসের প্রথম বীর ছিলো "কার্টারপুরী বীর' ("আদি বীর" নামেও পরিচিত, যার অর্থ "প্রথম সংকলন") এবং 'ভাই ভান্নো বীর'।[] এই সংকলনগুলোর অনুলিপিগুলোকে একত্রে "বীরসমূহ" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।[]

পোথি

'পোথি' (গুরুমুখী: ਪੋਥੀ, প্রতিবর্ণী. Pōthī) শব্দের আসল অর্থ পুরানো পাঞ্জাবিতে 'বই' (হিন্দিতে 'পুস্তক'-এর অর্থ, উভয়ই সংস্কৃত শব্দ "পুস্তক" হতে উদ্ভূত) ছিলো।[] যাইহোক, শিখদের মধ্যে শব্দটি পবিত্র গ্রন্থকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে গুরবাণী বা শাস্ত্রীয় পাঠ্য এবং মধ্যম আকৃতির।[][][] প্রাথমিকভাবে, পূর্ববর্তী শিখ গুরুদের সংকলনকে বীর না-বলে পোথি বলা হত।[] গুরু নানক তার উত্তরসূরি গুরু অঙ্গদকে যে সংকলনটি দিয়েছিলেন তাকে "পোথি" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.