জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিং (ইংরেজি: Joseph Rudyard Kipling; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৩৬) একজন ইংরেজ লেখক, কবি এবং সাহিত্যিক ছিলেন যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত তার অসাধারণ শিশু সাহিত্যের জন্য সুখ্যাতি লাভ করেন। তার অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য দ্য জাঙ্গল বুক, জাস্ট টু স্টরিস, পাক অফ পুক্স হিল, কিম; উপন্যাস কিম; কবিতা ম্যান্ডালে, গুঙ্গা ডিন ইত্যাদি। এছাড়াও ১৮৯৫ সালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা ইফ - রচনা করেন।[২] ছোটগল্প রচনার আধুনিক শিল্প নির্দেশনার একজন অন্যতম উদ্ভাবক হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।[৩] তবে সব দিক দিয়ে তার শিশু সাহিত্যগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এগুলোকে শিশু সাহিত্যের ইতিহাসে একেকটি অনন্য রচনা হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। জেমস জয়েস একবার মত প্রকাশ করেছিলেন যে, 'ঊনবিংশ শতাব্দীর তিন ক্ষণজন্মা লেখক তলস্তয়, কিপলিং এবং দ্য'আনুনজিও; তাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ছিল সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তারা কেউই তাদের এই উপহারের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেননি।' তিনি আরও বলেন, 'এই তিনজনেরই ধর্ম ও দেশপ্রেম সম্পর্কে অর্ধ-ফ্যানাটিক ধারণা ছিল।'[৪]
রুডইয়ার্ড কিপলিং | |
---|---|
জন্ম | ডিসেম্বর ৩০, ১৮৬৫ মুম্বাই, ভারত |
মৃত্যু | ১৮ জানুয়ারি ১৯৩৬ ৭০) মিড্লসেক্স হাসপাতাল, লন্ডন, ইংল্যান্ড[১] | (বয়স
পেশা | ছোটগল্প লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, সাংবাদিক |
জাতীয়তা | ইংরেজ |
ধরন | ছোটগল্প, উপন্যাস, শিশু সাহিত্য, কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দ্য জাঙ্গল বুক জাস্ট টু স্টরিস কিম |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯০৭) |
১৯০৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাকে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
কিপলিংয়ের জন্ম ১৮৬৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের মুম্বাই নগরীতে। তার জন্মের কিছুদিন আগে তার বাবা-মা জন লকউড কিপলিং ও অ্যালিস কিপলিং ভারতে আগমন করেন। কিপলিংয়ের বাবা ছিলেন মুম্বাইয়ের নবগঠিত স্যার জামসেটজি জিজিভয় স্কুল অব আর্টের ভাস্কর্যবিদ্যা বিভাগের প্রধান। বাল্যকাল থেকে মুম্বাইয়ে পরিচর্যাকারী নারীর সাথে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইহুদিদের শহরটির ব্যস্ত বাজারগুলো পর্যবেক্ষণ করে কিপলিং উপলব্ধি করেন যে, ভারতবর্ষ একটি বিস্ময়কর জায়গা। তিনি স্থানীয় ভাষা শিখে ফেলেন। এ দেশ এবং তার সংস্কৃতির প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি তিনি আগ্রহী ছিলেন। অপরাহ্নের ঘুমাতে যাওযার সময় পর্তুগিজ আয়া কিংবা পরিচর্যাকারী ভারতীয় হিন্দু পুরুষ তাদের গল্প কিংবা ভারতীয় শিশুতোষ গান শোনাতো, যা তিনি কখনো ভুলতে পারেননি। পাঁচ বছর বয়সে কিপলিং নিজ দেশ ব্রিটেনে গিয়ে স্কুলে ভর্তি হন এবং আবার ভারতবর্ষে ফিরে আসেন ১৮৮২ সালে। তখন তার বাবা ছিলেন লাহোরের মায়ো কলেজ অব আর্টের অধ্যক্ষ এবং লাহোর জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক। কিপলিং সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ‘সিভিল অ্যান্ড মিলিটারি গেজেটে’ চাকরি পান। ১৮৮৭ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এলাহাবাদের পত্রিকা ‘দ্য পাইওনিয়ারে’। এখানে ছিলেন ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত। ১৮৮৬-৮৭ সালে ‘সিভিল অ্যান্ড মিলিটারি গেজেটে’ থাকাকালে কিপলিংয়ের মোট ৩৯টি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়। ১৮৮৩ সালের গ্রীষ্মে কিপলিং শিমলায় ভ্রমণ করেন। তখন থেকে তিনি ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয়ের শাসন প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করেন। ১৮৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি রুডইয়ার্ড কিপলিং আমেরিকার ক্যারোলিন ব্যালেস্টিয়ারকে (ক্যারি) বিয়ে করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট রাজ্যের ব্রাটলেবরোতে স্থায়ী হন। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ভারতের মুম্বাইয়ের স্যার জামসেটজি জিজিভয় স্কুল অব আর্টের কাছে কিপলিংয়ের জন্মস্থানকে তার জীবন ও কর্মসংক্রান্ত জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়।[৫]
সাহিত্য-কর্ম
- The Story of the Gadsbys (১৮৮৮)
- Plain Tales from the Hills (১৮৮৮)
- The Phantom Rickshaw and other Eerie Tales (১৮৮৮)
- The Light That Failed (১৮৯০)
- মান্দালয় (১৮৯০) (কবিতা)
- Gunga Din (১৮৯০) (কবিতা)
- দ্য জাঙ্গল বুক (১৮৯৪) (ছোট গল্প)
- The Second Jungle Book (১৮৯৫) (ছোট গল্প)
- If— (১৮৯৫) (কবিতা)
- Captains Courageous (১৮৯৭)
- The Day's Work (১৮৯৮)
- Stalky & Co. (১৮৯৯)
- Kim (১৯০১) (উপন্যাস)
- Just So Stories (১৯০২)
- Puck of Pook's Hill (১৯০৬)
- Life's Handicap (১৯১৫) (ছোট গল্প)
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.